Incredible India monthly contest of April #1| your preferred art form!
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। গতকাল কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবো বলে পোস্ট লেখার শুরু করলেও, শেষ পর্যন্ত লেখা হয়ে ওঠেনি। তবে আজ অংশগ্রহণের একেবারে শেষ দিন, তাই রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সমস্ত কাজ গুছিয়ে বসে পড়লাম কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।
কমিউনিটিতে আয়োজিত সবকটি কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা আমি করি, আর এই সপ্তাহের প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমার বেশ পছন্দের ছিলো। যদিও জানিনা আমার ভেতরে তেমন কোনো প্রতিভা আছে কিনা, তবুও নিজের মতো করে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবো। চলুন খুব বেশি দেরি না করে শুরু করি, -
|
---|
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। যার মধ্যে কিছু জিনিস আমাদের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসলেও, বেশ কিছু জিনিসের বিলুপ্তি ঘটেছে এ কথা ও অস্বীকার করার জায়গা নেই। তার মধ্যে আলপনাও অন্যতম।
একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে যেকোন পুজো বা শুভ কাজে আলপনা দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিলো। তবে ব্যস্ততম সময়ে মানুষের কাজ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে বাজারে কিনতে পাওয়া আলপনার স্টিকারগুলো। আপনারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের ডিজাইন আজকাল দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলো এনে খুব সহজেই আপনার মেঝেতে লাগিয়ে দিতে পারেন।
কারণ স্টিকার গুলোর নিচের অংশ তুলে যে আঠা থাকে তার সাহায্যে সেগুলো ঘরের মেঝেতে সুন্দরভাবে বসিয়ে দেওয়া যায় এবং সেগুলো বেশ অনেকদিন পর্যন্ত ঘরে থাকেও। দেখতেও বেশ ভালোই লাগে। তবে যদি ঐতিহ্যের কথা বলি তাহলে আজও খড়ি মাটি দিয়ে হাতে আঁকা আলপনার মাধুর্য্য অনেকের কাছেই প্রশংসনীয়। তার মধ্যে আমি নিজেও একজন।
বাড়ির যে কোনো পূজোতে নিজের হাতে আলপনা দিয়ে যে প্রশান্তি পাওয়া যায়, তা বাজার থেকে কিনে আনা স্টিকারের মাধ্যমে কোনোমতেই পাওয়া সম্ভব নয়। আমি যে খুব ভালো আলপনা দিতে পারি এমনটা নয়, তবে আমি খুব ভালোবাসি নিজের হাতে যত্ন করে পুজোর সামনে আলপনা দিতে, বিশেষ করে লক্ষ্মী পূজাতে আরো বেশি ভালোলাগা কাজ করে। তাই প্রতি বছর পূজোর আয়োজন করার পাশাপাশি, এই আলপনা দেওয়ার বিষয়টা লক্ষ্মীপূজোর একটা বিশেষ আকর্ষণ বলতে পারেন।
|
---|
খুব সত্যি কথা বলতে আমি নিজে কখনোই আলপনা দেওয়া কোথাও শিখিনি। আমার দিদি নিজেই সুন্দর করে আলপনা দিতো। তাই ছোটবেলা থেকে ওর আলপনা গুলো দেখে দেখে আমিও কিছুটা রপ্ত করেছি বলা চলে। তাই এ কথা বলবো না যে আমি খুব ভালো আলপনা দিতে পারি, তবে নিজের বাড়িতে পুজো হলে অন্ততপক্ষে সেই জায়গাটাকে সাজানোর প্রচেষ্টা আমি করি।
এছাড়াও হাতে মেহেন্দি পড়তে ও পড়াতেও আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও পেশাগত দিক থেকে যারা মেহেন্দি আর্টিস্ট হন, তাদের কাছে আমার আঁকা মেহেন্দি একেবারেই নগণ্য। কারণ তাদের মেহেন্দি করা দেখলে যেন মনে হয় কত নিখুঁতভাবে তারা হাতের মধ্যে ডিজাইন গুলো তৈরি করেছে।
আমি তেমনটা পারি না ঠিকই, তবে কখনো কখনো ভালোই লাগে নিজের মতো করে নিজের হাতে হাতে আঁখি বুকি করতে। তেমনি কয়েকটা ডিজাইন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের দেখতে কেমন লাগলো মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন।
|
---|
জিনগত দিক থেকে কিছু প্রতিভা আমাদের মধ্যে থাকে এই বিষয়টি আমি অস্বীকার করতে পারবো না। তবে একথাও ঠিক যে প্রত্যেকেই যে জিনগতভাবেই প্রতিভাবান হবে তারও কোনো মানে নেই। ব্যক্তি হিসাবে আমরা সকলেই আলাদা, তাই একই পরিবারে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।
তবে হ্যাঁ ঈশ্বর আমাদের সকলের মধ্যে কিছু প্রতিভা নিশ্চয়ই দেন। আমরা সেগুলো হয়তো সময়ের অনেক পরে গিয়ে বুঝতে পারি, কিংবা আগে বুঝতে পারলেও সেটাকে রপ্ত করার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি আমাদের থাকে না। কখনো আর্থিক দিক থেকে আমরা পিছিয়ে পরি, আবার কখনো উৎসাহের দিক থেকেও।
ছবি আঁকতে আমার ছোটবেলা থেকে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবার একার পক্ষে পরিবারের সকলের দায়িত্ব, আমাদের পড়াশোনা, এই সমস্ত কিছু সামলে নিয়ে আলাদা করে ড্রয়িং ক্লাসে ভর্তি করার মত সামর্থ্য ছিল না। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো নিজের ভেতরের এই ভালোলাগার কথা কখনো প্রকাশ করিনি।
আর স্কুল-কলেজে পড়াশোনাকালীন যে সকল ড্রয়িং করা লাগতো, সেগুলো বই দেখে দেখেই করে নিতাম। মোটামুটি ভালোই করতে পারতাম বলে আঁকার প্রতি আরো একটু আগ্রহ জন্মেছিলো। যাইহোক ভালোলাগা ছিল বলে নিজের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য অন্যের উপরে নির্ভর করতে হয়নি, এটাই আমার জন্য অনেক।
জিনগত দিক থেকে অনেকেই অনেক প্রতিভা পেয়ে থাকেন। তবে প্রতিভা থাকলেও শুধু হয়না, সেগুলোকে আরও সুন্দর ভাবে বিকাশ করার ক্ষেত্রে আরো ভালোভাবে শেখার প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ যে কোনো জিনিস নিখুঁতভাবে করার জন্য সঠিকভাবে শেখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
|
---|
এই শুধু আমার নিজস্ব মতামত যেটা আমি নিজের মতো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আপনাদের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন শেষ করার পূর্বে আমি আমন্ত্রণ জানাতে যাই আমার তিনজন বন্ধু @tanay123, @ahp93 ও @adylinah কে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।