The July contest #2 by sduttaskitchen| Feel-good factors in my life!
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে। আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত জুলাই মাসের দ্বিতীয় কনটেস্টে।
আশাকরছি ইতিমধ্যে আপনারা প্রত্যেকেই এই কনটেস্ট সম্পর্কে অবগত আছেন এবং এখানে অংশগ্রহণ করার আজই শেষ দিন। তাই যারা এখনও পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেননি তাদেরকেও অনুরোধ করবো কন্টেস্টের বিষয়বস্তুর সংক্রান্ত নিজস্ব অনুভূতি অবশ্যই অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য। চলুন আমি আজ নিজের অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি এই পোস্টের মাধ্যমে, -
|
---|
জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেককেই বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় এবং সবকটি পরিস্থিতিতেই আমরা বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাই। কখনো সীমাহীন আনন্দে আনন্দিত হই, আবার কখনো তলিয়ে যাই কষ্টের গভীর সমুদ্রে। কখনো কখনো ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্ত আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে, আবার কখনো কিছু মুহূর্ত চোখে জল আনে, এমনটা আমাদের সকলের সাথেই হয়।
ছোটবেলায় এই অনুভূতিগুলির বহিঃপ্রকাশ আমরা অনায়াসে করে ফেলি, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পারি কিছু পরিস্থিতিতে নিজের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ করা বোধহয় উচিত নয়। আর ঠিক তখন থেকেই শুরু হয় নিজের অনুভূতিকে নিজের ভেতরে লুকানোর প্রচেষ্টা, বিশেষ করে নিজের কষ্ট, নিজের চোখের জল, নিজের মন খারাপ, এই জিনিসগুলোকে আমরা নিজের ভেতরে লুকানোর চেষ্টা করি। যাতে সেগুলো মানুষের দৃষ্টিগোচর না হয়। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এই প্রচেষ্টার আলাদা আলাদা কারণ রয়েছে।
একথা বলবো না যে আমি নিজেই যখন প্রচন্ড মন খারাপের মধ্যে দিয়ে যাই তখন চোখে জল আসে না, কিন্তু সেই জলটাকে আটকানোর প্রবল চেষ্টা আমিও করি। কখনো কখনো সেটা বাঁধ না মানলে লুকানোর চেষ্টা করি, আবার কখনো কখনো লোক চক্ষুর আড়ালে গিয়ে অঝোরে কান্না করি। কিছু কিছু মুহূর্তে জীবনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। কখনো কখনো মনে হয় আমার থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে বোধহয় সেই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীর আর কেউ নেই।
- এই ভাবনাগুলো যখন মনের ভেতরে বাসা বাঁধে তখন হঠাৎ করেই নিজের ভেতর থেকে কোনো এক অজানা আওয়াজ বলে ওঠে, আমার থেকেও ঢের বেশি কঠিন পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বহু মানুষ রয়েছে। যাদের জীবনে লড়াই আমার থেকে অনেক বেশি। সেটা আর্থিক হোক, পারিবারিক হোক, কিংবা শারীরিক লড়াই। আর তাদের লড়াইয়ের কাছে নিজের লড়াই কিছুই না। আর এই জিনিসগুলো মনে হলেই আমি ইউটিউব খুলে এই ধরনের লড়াই সংক্রান্ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মতন কিছু প্রোগ্রাম রয়েছে সেগুলো দেখি। আর নিজের ভিতর থেকে তখন আওয়াজ আসে যদি এরা সারভাইভ করতে পারে তাহলে আমি নয় কেন? কারণ আমার পরিস্থিতি সেই মানুষগুলোর তুলনায় অনেকটাই ভালো।
![]() |
---|
গান শুনতে আমি ভীষণ ভালোবাসি, প্রচন্ড মন খারাপে নিজের পছন্দের গান চালিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকার ঘরে শুয়ে থেকে, কান্না করে, নিজের মনটাকে হালকা করেছি এমন অসংখ্য দিনের কথা মনে পড়ে।তারপরই ভিতর থেকে আমি বেশ হালকা অনুভব করি এবং নতুন উদ্যোমে জীবনের লড়াই আবার শুরু করি।
আজকাল ছবির অ্যালবাম প্রায় দেখতে পাওয়া যায় না, কারণ আমাদের সকলের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। তাই একটা সময় আমার অভ্যাস ছিলো পুরনো অ্যালবাম গুলো দেখা, যেখানে পুরনো আনন্দের স্মৃতির ছবি জমা থাকতো। এখনও অভ্যাসটা রয়েছে, শুধু অ্যালবামের বদলে হাতে নিয়ে নিই ফোন এবং পুরনো দিনের অনেক আনন্দের মুহূর্তের ছবি দেখতে থাকি।সেগুলো দেখতে দেখতে কখনো কখনো জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা কাজ করে যে, এমন সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমি জীবনের কাছ থেকে উপহার পেয়েছি।
কয়েক মাস আগে পর্যন্ত আরও একটা কাজ আমাকে ভিতর থেকে আনন্দে থাকতে সাহায্য করতো, কিন্তু বর্তমানে সেই বিষয়টা ভাবলে মন অনেক বেশি ভারাক্রান্ত হয়। আমার পোষ্য পিকলুর কথা বলছি। ওকে হারানোর পর আমার কষ্ট শেয়ার করার মত আর কেউ নেই, কারণ একটা সময় আমার প্রচন্ড মন খারাপের ও আমার পাশে এমনভাবে শুয়ে থাকতো যেন ও সব বুঝতে পারছে। কিন্তু ওকে হারানোর কষ্ট আজকাল যেন সব কষ্টকে ছাপিয়ে গেছে।
![]() |
---|
- বাড়িতে ওর উপস্থিতি সর্বক্ষণ অনুভব করি। প্রচন্ড মন খারাপে যখন ওর কথা ভাবি তখন দু চোখের জল এমনিতেই বেরিয়ে আসে। তবে এর ভিতরেও আমি পজেটিভ কিছু খোঁজার চেষ্টা করি, কারণ পিকলু আমার জীবনের না এলে পোষ্যদের প্রতি মানুষের অনুভূতি কেমন হয়, কিভাবে তারা সন্তানতুল্য হয়ে ওঠে, আমার জীবনের এই অনুভূতিটা কখনো অনুভব করা হতো না। তাই ওর সাথে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিগুলো দেখেও আমি ভিতর থেকে অনেক বেশি পজিটিভ ফিল করি।
|
---|
একদমই তাই, আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি ভিতর থেকে ভালো না থাকলে ব্যক্তিগত জীবন হোক বা কর্মজীবন সব দিকটা ব্যালেন্স করে চলাটা আসলেই অনেক বেশি কঠিন কাজ। নিজের উপরে জোর খাটিয়ে আমরা একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নিজেকে টেনে নিয়ে যেতে পারি, কিন্তু এই টেনে নেওয়া কালীন যে যে কাজগুলো আমরা করবো, সেগুলো কোনঝটাই নিজেদের ইচ্ছেতে হবে না। আর একথা বোধহয় সকলেই মানবেন যে, নিজের ইচ্ছাতে কোনো কাজ করা, আর জোরপূর্বক কোনো কাজ করতে বাধ্য হওয়ার মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য রয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে অন্য কাউকে ভালো রাখার থেকেও নিজে ভালো থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এই বিষয়টা অনেক গুলো বছর বাদে এসে আমি শিখেছি। তাই এখন যখন নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করি, তখন আশেপাশের সমস্ত পরিস্থিতিকে খুব সহজেই ঠিক করে নেওয়ার ক্ষমতা নিজের ভেতরে তৈরি হয়েছে, এটা অনুভব করতে পারছি।একটা সময় অনেক বেশি মন খারাপের কাজের জায়গা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতাম, কিন্তু তাতে মন খারাপ ঠিক হতো না বরং মাথায় জায়গা করে নিত আরও অনেক ভাবনা। তবে এখন নিজেকে ভালো রাখার পাশাপাশি, নিজের কাজের জগতের সাথে কিভাবে ভালো সময় কাটাতে হয় সেটাও শিখেছি।
তাই এখন মন খারাপ হয় না এই কথা বলবো না। কিন্তু মন খারাপের মধ্যে থেকেও কিভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়, সেটা শিখেছি। আর ব্যক্তিগত ও কর্ম জীবনটাকেও সুন্দরভাবে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করে চলেছি।
|
---|
![]() |
---|
সবার প্রথমে আমি যে সাজেশনটা দিতে চাই সেটি হল নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে, নিজেকে ভালবাসতে হবে, আমাদের ব্যক্তিগত কষ্ট অন্য কেউ সহজেই বুঝতে পারবে এই প্রত্যাশা ত্যাগ করতে হবে। কারণ এই পৃথিবীতে আমাদের নিজেদের কষ্ট নিজেদের থেকে অন্য কেউ ভালো বুঝতে পারে না, এই সত্যিটাকে স্বীকার করলে জীবনের অর্ধেক কষ্ট কমে যায়।
অন্যের জন্য নয়, নিজের জন্য কোন কাজটা করতে আমরা সব থেকে বেশি পছন্দ করি, আগে সেই বিষয়টিকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেকে গান শুনতে পছন্দ করে, কেউ ছবি আঁকতে, কেউ সেলাই করতে, কেউ হাতের বিভিন্ন কাজ করতে। যে কাজটা করার সময় অন্য কোনো বিষয় মাথায় আসে না, সেই রকম একটা কাজকে বেছে নিতে হবে এবং খুব খারাপ মুহূর্তে সেই কাজগুলোর প্রতি মনোনিবেশ করার চেষ্টা করতে হবে।
বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল ও অনলাইনের প্রতি আসক্ত, এ কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু কিছু প্রোগ্রাম আপনাকে বেছে নিতে হবে যেটা দেখলে আপনার ভেতরে পজিটিভিটি কাজ করবে, অথবা আপনি প্রাণ খুলে হাসতে পারবেন। এই দুটোর মধ্যে থেকে যেটা আপনার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ হবে, সেই রকমই কোনো একটা প্রোগ্রাম প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বের করে দেখার চেষ্টা করবেন।
নিজের ভেতরে একটা ধারণাকে সবসময় জায়গা দিতে হবে যে, পৃথিবীতে আপনি একমাত্র নন যার জীবনে সমস্যা রয়েছে। বরং আপনার থেকে আরও অনেক বেশি সমস্যায় মানুষ জীবনযাপন করে। তাই আপনার যতটুকু আছে ভালো থাকার জন্য বোধহয় এতোটুকুও অনেক মানুষের কাছে নেই, এই ভাবনাটা আমাদেরকে ভেতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- আর সবশেষে এই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ ঈশ্বরের ওপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। জীবনের প্রতি অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই আপনি ঈশ্বরের যে রূপকে বিশ্বাস করেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা প্রতিদিনকার অভ্যাস করবেন, এতেও নিজের ভেতরে পজেটিভিটি ও ভালোলাগা কাজ করে।
|
---|
যাইহোক এই ছিলো আমার নিজস্ব অনুভূতি আর কিছু সাজেশন, যেটা আমি আমার মতো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের কেমন লাগলো আমার পোস্ট পড়ে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। লেখা শেষ করার আগে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @pinki.chak, @samima1 ও @tanay123 কে আমন্ত্রণ জানাই, আশাকরছি আপনারা এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজস্ব অনুভূতি গুলি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
Thank you so much for your support @ruthjoe. 🙏