The September contest #1 sduttaskitchen| Can a best friend become a good life partner?
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি খুব ভালো কাটেছে। আজ আমি অংশগ্রহণ করবো আমাদের কমিউনিটিতে অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের কনটেস্টে। যার বিষয়বস্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে জড়িত।
বন্ধু হোক কিংবা জীবনসঙ্গী, দুজনই আমাদের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। যার মধ্যে কোনো একটিকে ছাড়া আমাদের জীবন কিন্তু অসম্পূর্ণ। আজ এই বন্ধু এবং জীবনসঙ্গী বিষয়ক কিছু অনুভূতি, বন্ধুত্ব ও বিবাহিত জীবন সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত মতামত, কনটেস্টে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক, -
|
---|
![]() |
---|
এই প্রশ্নটির উত্তরের ক্ষেত্রে হ্যাঁ বা না, এই দুটোর মধ্যে যেকোনো একটা বেছে নেওয়া আমার জন্য কঠিন। কারণ কিছু কারণের উপরে ভিত্তি করে আমি যেমন মনে করি একজন বন্ধু আমাদের খুব ভালো জীবন সঙ্গী হতে পারে, ঠিক একই সাথে কিছু কিছু কারণে আমার মনে হয় বন্ধু আমাদের জীবনের একটা অংশ হিসেবে ঠিক আছে, কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে আজীবন তার সাথে পথ চলা কঠিন।
বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে বললে বোধহয় আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। বন্ধুত্ব এমন একটা অনুভূতি যা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে আমরা অনুভব করেছি। হ্যাঁ কখনো কিছু মানুষ বন্ধু রুপে এসে আমাদের জীবনে রয়ে গেছে, আবার কিছু মানুষ পরিস্থিতির কারণেই হোক বা অন্য যেকোনো কারণে হারিয়ে গেছে।
আমরা প্রত্যেকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে অতিক্রম করে এগিয়ে চলি। এরকম এই একটি পর্যায়ে হলো যৌবনকাল। যখন আমরা আমাদের জীবনে এক নতুন মানুষের স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। যার সাথে আমরা বাকি জীবন পথ চলতে চাই। সে ক্ষেত্রে এক একজনের পছন্দ এক এক রকমের হয়। তবে আমরা কাল্পনিক এক চরিত্রকে নিজের মনের ভেতরে এঁকে ফেলি এবং তাকে খুঁজে চলার এক আপ্রাণ প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
একটা সময় কিছু মানুষের সাথে যখন আমরা তাদের মিল পাই, তাকেই সেই জায়গায় বসিয়ে ফেলি। যদিও তাদের মধ্যেও কিছু অমিল থাকবে এটা তখন মন মানতে চায় না। বেশিরভাগ সময়েই তারা আমাদের জীবনের কোনো বন্ধু হয়ে থাকে। কারণ সেই সময় আমরা বন্ধুর সাথে সব থেকে বেশি সময় অতিবাহিত করি।
তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে ভাবতে শুরু করি, সেই মানুষটা হয়তো তার জীবনে অন্য কাউকে পছন্দ করা শুরু করেছে। তাই সেই মুহূর্তে জোর করে তাকে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার প্রচেষ্টা বেশিরভাগ সময়েই নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বটা নষ্ট করে। আর সেই সময় বন্ধুত্বে থাকা দুটি মানুষ যদি একে অপরকে পছন্দ করেও নিজেদেরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়, পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের মধ্যে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
কারণ তারা শুধুমাত্র সেই সময় ভালোলাগাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের জীবনের সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। কিন্তু তার পাশাপাশি এইটুকু তাদের মধ্যে কাজ করেনি যে, দুজন মানুষ শুধু ভালো হতে পারে না। তাদের মধ্যেও কিছু কমতি থাকতে পারে। বিবাহিত জীবনে যখন সেই কমতি গুলো ধীরে ধীরে সামনে আসে, তখনই তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। ফলে বন্ধুত্বও নষ্ট হয়ে যায়। তখন যা চলতে থাকে তা হলো একে অপরকে দোষারোপ করা। যা সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ায়।
তবে অনেক ক্ষেত্রে যদি আমরা হটকারী সিদ্ধান্ত না নিই, দুজন বন্ধু হওয়ার পরেও জীবন সঙ্গী হিসেবে একসঙ্গে থাকতে গেলে কোন কোন পরিস্থিতি আসতে পারে, আর সেই সময় দুজনের প্রতিক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত, এই বিষয়ে আলোচনা করে একটা বয়সের পর গিয়ে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে, সেই বন্ধুত্ব এবং বিবাহিত সম্পর্ক দুটোই কিন্তু আজীবন আগলে রাখা সম্ভব।
|
---|
![]() |
---|
হ্যাঁ এই বিষয়টিকে আমি সম্পূর্ণ সমর্থন করি। বন্ধুত্ব এবং জীবনসঙ্গী এই বিষয় দুটি কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। বন্ধুত্ব আমাদের জীবনের এমন একটা অঙ্গ যেটা আমাদের জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে ঠিকই, কিন্তু বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই অর্থে আমাদের একে অপরের কোনো দায়িত্ব নিতে হয় না। বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিক।
তবে যদি জীবনসঙ্গীর কথা বলি, তাহলে কিন্তু একে অপরের জীবনের এই তিনটে বিষয়ে দায়িত্ব অবশ্যই নিতে হয়। এরপরেও রয়েছে মানসিক ও শারীরিক দায়িত্বগুলো যেটা বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে আবশ্যক নয়।
হ্যাঁ আমাদের খারাপ সময়ে বন্ধুরা আমাদের পাশে থাকে, তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান পাই। অনেক ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাও আমরা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে থাকি। কিন্তু তারা আমাদের জীবনের সমস্যা গুলোর সমাধান সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করতে পারে, কিন্তু আমাদের জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতন অধিকার তাদের থাকে না, যেটা জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে থাকে।
বন্ধুত্বে পরিবার খুব কম যুক্ত হয় অর্থাৎ আপনার বন্ধু কে হবে, তার সাথে আপনি কিভাবে মিশবেন, এই বিষয়ে পারিবারিক মতামত কিন্তু খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে যদি আসি জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে তখন সম্পর্কটা কিন্তু শুধু আপনার বা আপনার পার্টনারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সে ক্ষেত্রে দুটো পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, সকলে যুক্ত থাকে আপনাদের সাথে। তাই যে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের কথা আপনাকে মাথায় রেখেই হতে হবে।
তাই বন্ধুত্ব এবং জীবনসঙ্গী এই দুটো বিষয় আমাদের জীবনে অপরিহার্য এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই দুটি বিষয়ের মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে যেটা আমরা অস্বীকার করতে পারবো না বলেই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।
|
---|
বন্ধুকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভালো দিক:-
![]() |
---|
বন্ধুকে যদি জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তাহলে তার সব থেকে ভালো দিক হলো, তার সাথে আমরা মন খুলে কথা বলতে পারি। আমার কোন কথা তার মনে কেমন প্রভাব ফেলবে, সেই সম্পর্কে আমাদের আগে থেকেই একটা আন্দাজ থাকে।
বন্ধুর ভালোলাগা, খারাপ লাগা, পছন্দ-অপছন্দ, এই জিনিসগুলো আমরা পূর্বে থেকেই জানি। তাই নতুন করে সেই জিনিসগুলোকে জানার প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না।
বন্ধুত্ব কখনো একদিনে বা স্বল্প সময়ে গড়ে ওঠে না। আমাদের জীবনের বেস্ট ফ্রেন্ড সেই হয়ে ওঠে, যার সাথে আমরা অনেকগুলো বছর সাথে থাকি। তাই আমাদের খারাপ লাগা গুলো কিংবা ভালো লাগাগুলো তাদের কাছে পরিষ্কার থাকে। তাই তারা যখন জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাদের জীবনে আসে, তখন ভালো সময় হোক কিংবা মন্দ সময়ে কিভাবে পাশে থাকতে হয়, সেটা তাদেরকে আর ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় না।
জীবনে অনেক কঠিন সময়ে আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড আমাদের সাথে থাকে। তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় সমাধান খুঁজে পাই। হয়তো বন্ধুত্ব থাকাকালীন তারা আমাদের সেই সিদ্ধান্তের দায়ভার নেয় না, তবে যদি সেই বন্ধুই আমার জীবন সঙ্গী হয়, তাহলে এই একই ভাবে আমরা জীবনের যেকোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে, দুজনের মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে করতে পারবো।
বন্ধুকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু মন্দ দিক:-
![]() |
---|
বন্ধু যখন জীবন সঙ্গী হয় তার কিছু ভালো দিক তো অবশ্যই রয়েছে, পাশাপাশি মন্দ দিকগুলোকেও উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আমি প্রথমেই যে বিষয়টির কথা বলব সেটি হল - "শারীরিক সম্পর্ক"।
বন্ধুত্ব আমাদের জীবনে গতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, সম্পর্কের একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। যেটা কখনোই উলংঘন করা উচিত নয়। বন্ধুর সাথে মানসিক পরিতৃপ্তি কতখানি পাচ্ছি, এটা আমরা বন্ধুত্ব থাকাকালীনই অনুভব করতে পারি। কিন্তু আমাদের জীবনে শারীরিক সম্পর্কও ততখানি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বন্ধুকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার পর, আমাদের জীবনের সেই চাহিদা কতখানি পরিপূর্ণ হবে, সেটা কিন্তু পূর্বে থেকে আন্দাজ করা সম্ভব নয়।
বন্ধুত্ব থাকাকালীন সময়ে পড়াশোনার কারণে হোক, বা কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে হয়তো আমরা আমাদের বন্ধুদেরকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু পরিবারের সকলের সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন, এই বিষয়ে আমরা খুব বেশি গভীরভাবে আলোচনা করি না। কিন্তু জীবনসঙ্গী হওয়ার পর এই পারিবারিক আলোচনা গুলো আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। একে অপরের পরিবারের সম্পর্কে কোনো কথা বলার সময়, নিজেদের সম্পর্কের কথাটাও মাথায় রাখতে হয়। কারণ অনেক সময় এই মতামত আদান-প্রদান করার কারণেও পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে থাকে।
"অধিকারবোধ" আমাদের জীবনে একটা বড় সমস্যা। যখন আমরা বন্ধুত্বে থাকি, তখন দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধু আমাদের সাথে থাকে। আর বাদবাকি সময়ে সে হয়তো তার পরিবার বা অন্যান্য বন্ধুদেরকে সময় দিয়ে থাকে। কিন্তু জীবন সঙ্গী হওয়ার পর কোথাও আমরা এটা মনে করি তাদের সবটা সময় আমার জন্য। কাজে জায়গা থেকে ফিরে সম্পূর্ণ সময় সে আমার সাথেই কাটাবে। কিন্তু আমাকে বাদ দিয়েও তার যে আলাদা বন্ধুর জগৎ থাকতে পারে, এই বিষয়টা মেনে নেওয়া তখন কঠিন হয়ে পরে, ফলতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
|
---|
যাইহোক এরকম আরও ছোটো ছোটো অনেক ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে, যখন একজন বন্ধু আমাদের জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠে। তবে ওই যে বললাম আমাদের জীবনের সবথেকে মূল্যবান জিনিস হলো সময়। যদি নির্দিষ্ট সময়ে, জীবনে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গুলো নেওয়া যায়, এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একে অপরের সাথে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে এগোনো যায়, তাহলে বন্ধু কিন্তু আজীবন কাল জীবনসঙ্গী রূপে আমাদের সাথে থেকে যেতে পারে।
যাইহোক এগুলোই ছিলো আমার ব্যক্তিগত মতামত। শেষ করার পূর্বে আমি কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমার তিনজন বন্ধু @tanay123, @isha.ish ও @piya3 কে আমন্ত্রণ জানাই। আশাকরছি তারাও অংশগ্রহণ করে নিজেদের মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। আমাদের সকলের আজকের দিনটি ভালো কাটুক এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট লেখা শেষ করছি।
Thank you for your support @ninapenda.🙏