চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কিছুটা সময় কাটানো ।
সপ্তাহ দুয়েক আগে আমাদের অনেকটা হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম যাওয়া হয়েছিলো বেড়ানোর জন্য। চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম গেলে কোন সি বিচে বেড়াতে যাব না এমনটা হতেই পারে না। চট্টগ্রামে বাঁশখালী, গুলিয়াখালি কিংবা পারকির মতো বেশ কয়েকটি সমুদ্র সৈকত থাকলেও এগুলো পর্যটকদের কাছে এখনো তেমন একটা জনপ্রিয় হয়ে উঠে নাই ।
চট্টগ্রামে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত হলো পতেঙ্গা ও নেভাল বিচ। এই দুটো সমুদ্র সৈকতে আমার আগেও যাওয়া হয়েছে কিন্তু বাকি গুলোতে যাওয়া হয়নি। এবার ভেবেছিলাম যে পতেঙ্গা ও নেভাল বীচ বাদ দিয়ে অন্য সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাব।
কিন্তু এই সি বীচগুলো চিটাগাং শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত যার কারণে এই ভাবনা কোনমতে বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি কারণ আমাদের হাতে সময় ছিল কম।
হাতে দুই -একদিন একদিন ঘোরার জন্য সময় নিয়ে গেলে ইচ্ছেমতো সব জায়গায় বেড়ানো সম্ভব হতো।
কিছু আমাদের ওই দিনই ঢাকাতে চলে আসার প্ল্যান থাকার কারণে আমাদের পক্ষে তেমন কোথাও-ই যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এজন্য আমরা দুপুরের পরে প্ল্যান করলাম যে পতেঙ্গাতে যাব। আর কাছাকাছিই নেভাল বিচ, তাই সেখানেও যাওয়া হয়ে যাবে অনেকটা এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের মত।
আমরা দুপুরে খাওয়ার পরে পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পরলাম।
আমার অবশ্য ইচ্ছে ছিল পতেঙ্গা যাওয়ার পথে প্রজাপতি পার্কে যাওয়ার। শুনেছি এখানে প্রায় ১২০০ প্রজাতির তো প্রজাপতি ঘুরে বেড়ায়।কিন্তু সময়ের অভাবে সেখানে যাওয়ার প্ল্যানও বাতিল করে দিলাম।
করোনার আগে আমরা যখন পতেঙ্গা তে গিয়েছিলাম তখন যেতে অনেক বেশি সময় লেগেছিলো। কিন্তু এখন নতুন করে ফ্লাইওভার করে দেওয়ার কারণে ১০-১২ মিনিটেই আমরা পতেঙ্গাতে পৌঁছে গেলাম, যা ছিল আমাদের কল্পনার বাইরে।
এখানে পৌঁছানোর পরে আমাকে আরো একটা জিনিস অবাক করলো আর সেটা হল এখানকার মেরিন ড্রাইভ । আমি আগেরবার যখন এসেছিলাম তখন রাস্তায় ছিল সরু এবং কিছুটা ভাঙ্গাচুড়া। যে এবার রাস্তা পুরোপুরিই বদলে গেছে। অবশ্য রাস্তার সাথে সাথে সমুদ্রের চেহারাও কিছুটা পাল্টে গেছে।
নেভাল বিচে যাওয়ার পরে আমি প্রচুর লাইটার জাহাজ দেখেছিলাম আগেরবার। কিন্তু এবার পতেঙ্গাতেই অনেক বেশি লাইটার জাহাজ দেখতে পেলাম।
চট্টগ্রামে এখনো গভীর সমুদ্র বন্দর না হওয়ার কারণে মাদারশিপগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে ঢুকতে পারে না।
যার কারণে এই লাইটার জাহাজগুলো দিয়ে মাদারশিপ থেকে মালামাল পরিবহন করা হয়। অবশ্য চট্টগ্রামকে গভীর সমুদ্র বন্দরে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা যেখানে থেমেছিলাম তার সামনেই দেখতে পেলাম যে একটা বিশাল জাহাজকে প্রায় তীরের উপর তুলে রাখা রয়েছে। জাহাজের গায়ে লেখা দেখে বুঝতে পারলাম যে এটাকে এল এম জি গ্যাস পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত করা হতো।
শিপটাকে ভালো করে দেখার পরে মনে হল যে, এটা হয়তো আগুন কিংবা কোন একটা বিস্ফোরণের শিকার হয়েছিল।
সামনে সামান্য এগুতেই একটা সিড়ি দেখতে পেলাম।আশেপাশে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেলাম।
আমরা যেখানে থেমে ছিলাম এই জায়গাটাতে পর্যটকেরা একটু কমই আসে এবং দুপুর এর পর পর হওয়ার কারণে লোকজন আরো কম ছিল।
আমরা সিড়ি দিয়ে নেমে সমুদ্রের পানিতে পা ভেজালাম। বর্ষার মৌসুম হওয়ার কারনেই হয়তো পানি একদমই ঘোলা।এখানে আমরা বিকেল পর্যন্ত কাটালাম।
এরই মাঝে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল এবং আমাদের ঢাকায় ফিরতে হবে তাই আমরা উপরে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
The TEAM FORESIGHT has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen ,
Thank you so much for your encouraging support,ma'am