Better Life With Steem | The Diary game ,July , 25 , 2025।দুঃসংবাদ পাওয়ার এর দিন।
আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে ঘুম ভাঙার পরে মনে হয়েছিল দিনটা বেশ ভালোই কাটবে। অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই অথবা বলা চলে প্রায় পুরো জুলাই মাস জুড়েই কেমন জানি একটা বাজে অবস্থা চলতেছে। একটার পর একটা দুর্ঘটনার খবর পাচ্ছি। মনটা একটু ভালো হয়ে উঠে সাথে সাথে একটা দুঃসংবাদ চলে আসে।
আমি কুসংস্কারে খুব একটা বিশ্বাসী না কিন্তু অনেকের মুখেই অভিশপ্ত জুলাই শব্দটা ইদানিং শুনতেছি। কারণটা হয়তো গতবছরও এই মাসে অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলো।
আজকে আমার ঘুম ভেঙেছে খানিকটা লেট করেই। উঠে দেখি আমার হাসবেন্ড রেডি হচ্ছেন। কোথাও যাবে জিজ্ঞেস করার আগেই জানালো শিবালয় যাচ্ছে। আমাকে অবশ্য দিনদুয়েক আগে জানিয়েছিল শিবালয় তার সাথে যাওয়ার জন্য ।কিন্তু আমি সেটা ভুলে বসে আছি।
সেদিনই আমি মানা করে দিয়েছিলাম। কারণ আমার নতুন বিড়ালছানাটাকে বাড়িতে রেখে এই মুহূর্তে কোথাও যাওয়া সম্ভব না।
বাচ্চাটা এমনিতেই খুব ছোট তার উপরে পেটের সমস্যাতে ভুগতেছে। ও রাস্তায় কদিন না খেয়ে ঘুরেছে সেটা আমরা কেউ জানি না। এই না খেয়ে থাকার কারণে ওর পেটে প্রচুর পরিমানে গ্যাস তৈরী হয় ,সাথে হয়তো হাবিজাবি খেয়েছে এজন্য কৃমিও থাকতে পারে। বাসায় আনার পরপরই ভেটের কাছে নিয়ে গিয়ে ওষুধ নিয়ে এসেছি কিন্তু পেট খুব একটা ভালো হয় নাই এখনো।
আজকে বেশ অনেক দিন পরে সকাল বেলাতে নাস্তা বানালাম। আমি ও আমার ছোট ছেলে সকাল বেলাতে কিছুই খাই না। তাই বাকি দুজনের জন্য রুটি ও ভাজি করলাম।
আমার হাসবেন্ড শিবালয়ের উদ্দেশ্যে বের হবার পরে আমার বড় ছেলে মাত্রই নাস্তা সামনে নিয়ে বসেছে আর সাথে সাথে বিকট শব্দে আমার দরজা বন্ধ হবার শব্দ ও আমার বিড়ালছানার চিৎকার শুনতে পেলাম। ওকে একটু আগেও সোফায় শুয়ে থাকতে দেখেছি কিন্তু ও'যে কখন আমার রুমে গিয়ে ঢুকেছে সেটা আমরা কেউ দেখি নাই।
সাথে সাথে আমরা সবাই দৌড়ে গেলাম। গিয়ে দেখি ওর পা দরোজার মাঝে আটকে আছে। আসলে বারান্দার দরজা খোলা ছিল আর ও ঐ সময়টাতে হয়তবা বারান্দার দিকে গিয়েছ। ও বেশি ছোট হওয়ার কারনে এখনো ওপরে উঠতে পারে না তাই এখনো দরজা আজকে প্রচন্ড রকমের বাতাস যার কারণে দরজা বাতাসের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেছে।
ওকে বের করে আনার মুহূর্তে আমরা ভেবেছিলাম যে , ওর পা হয়তোবা ভেঙে গেছে। দেখলাম ও এক পা উঁচু করে রয়েছে ও পা দিয়ে কোনো কিছুতে ভর দিতে পারতেছে না।
সাথে সাথে আমরা ওকে নিয়ে ভেটের কাছে গেলাম। কিন্তু তখনও ভেট আসেন নাই। এখানে আসলে মন খারাপ হয়ে যাই। একটা বিড়াল এমনভাবে চিৎকার করতেছে মনে হচ্ছে ওর শরীর থেকে কোনো একটা অংশ কেটে নেয়া হচ্ছে। ও হয়তো রাতেও এখানেই ছিল। ওদের বেশিরভাগেরই কষ্টের কারণ মানুষ। ঘন্টাখানেক বসে থাকার পরে চিকিৎসক আসলেন।
তিনি ওকে দেখে জানালেন যে হয়তোবা ও হাড় ভাঙেনি কিন্তু কয়েকদিন সময় লাগবে ঠিক হতে। আমরা ভেবেছিলাম ওর এক্সরে করতে হবে , সেটাও আপাতত লাগবে না বলে জানালেন।
ওকে বেশ কয়েকটা ওষুধ দিয়েছেন। এরপরে ওকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম ।
দুপুরে তেমন কিছু রান্না করি নাই। ফ্রিজে মাংস ছিল তাই শুধু একটু পোলাউ ও বেগুন ভাজা করে দিয়েছি। অন্যকিছু করতে হলে সময় বেশি লাগতো তাই এই সহজ রান্না।
দুপুরে খাওয়া শেষ করে ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
You have been supported by the Team 02:
@pelon53
Thank you so much for your encouraging support, sir .