সময়ের পরিবর্তন!

বর্তমানে লেখা উপস্থাপনের সময় পরিবর্তিত হওয়ার কারণে যে সমস্যায় পড়েছি সেটা হলো লেখায় ছেদ পড়ে যাচ্ছে!
আগে যখন রাত বারোটার পর লেখা ভাগ করে নিতাম সেটাই সঠিক সময় থাকতো, কারণ যেটা লক্ষ্য করতাম রাত বারোটা বাজলে গতকাল দেখাতো আর এখন সেটা দুদিন দেখায়, ভীষণ বিরক্ত গিয়ে আছি যদিও নানা কারণে তবুও এই পাঁচ বছরের অধিক সময় লেখায় কখনও ছেদ পড়েনি!
তাই আজকে থেকে ঠিক করেছি পূর্ব অবস্থানে নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, আর ঠিক সেই কারণে এখন এই দুপুর বেলায় ঘরের কাজ সেরে পুজো দিয়ে উঠে লিখতে বসেছি।
লেখা শেষে এই লেখাটি পোস্ট করে আজকে পুনরায় রাত বারোটার পর ইচ্ছে আছে আরেকটি লেখা পোস্ট করবার।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই বিগত বছর গুলোতে কাজ করে গেছি, প্রচুর উত্থান পতনের মাঝেও লেখায় খুব কম ছেদ পড়েছে, তবে আজকাল নিজের লেখার উপরের দিনের সংখ্যা দেখ নিজেরই বিরক্ত লাগছে!

অনেকেই মনে করেন ৮-১০ দিন অন্তর যারা লেখেন তারা খুব স্বনামধন্য লেখনী নিয়ে হাজির হন, তবে কোনো সমালোচনায় না গিয়ে বলতে পারি, আমার নজরে তেমন কিছু ধরা পড়েনি।
এখানে, গুরুত্বকর্ষণের বিষয় ভিন্ন, যেটা অনেকেই জানেন এবং সেই অনুসারে নিজেদের সময় সময় বিভিন্ন সাচে ঢেলে পরিবর্তন করে নেন, ওই একর্থে জলের মতন!
তবে, লাভের জন্য নিজের পছন্দ অপছন্দ কে গুরুত্ব দেবো না, নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করবো, তোষামোদ করবো, এই সমস্ত আমার দ্বারা না কোনোদিন করা সম্ভব হয়েছে আর না হবে!
যেটা বলি, যেটা করি সবটাই মনের সাড়া এবং তৈল মর্দন প্রক্রিয়া বহির্ভূত থেকেই করে চলেছি।
আমি তো কোনো বাজারে বিক্রিত দ্রব্য নই, সকলে নেড়েচেড়ে দেখে, দাম দস্তুর করে পছন্দ হলে কিনবেন নইলে নয়!
আসলে, বেশ কিছু অপছন্দের বিষয় যেমন ব্যাক্তি জীবনে থাকে তেমনি থাকে কর্ম জীবনেও কাজেই, উভয় ক্ষেত্রে খানিক মানিয়ে চলতে হয় বটে তবে তার সীমারেখা আমার তৈরি করা থাকে, আর বিশেষ করে এখন তো সেই সীমারেখা আর অধিক পরিমাণে গভীর ভাবে কেটে দিয়েছি উভয়ক্ষেত্রেই!
কাজের জায়গায় বিচারের ভেদাভেদ আমার মানিয়ে নিতে বেশ অস্বস্তিকর লাগে।
একটা নিয়ম একজন উলঙ্ঘন করলে দোষ নেই, সেটাই আরেকজনের ক্ষেত্রে ঘোরতর অপরাধ, এই বিষয়গুলো আমি দেখেও নির্বাক থাকি তার পিছনে কারণ আছে, যদি সঠিক সময়ে আসে, আর যদি সৃষ্টিকর্তা চান উত্তর লেখার মাধ্যমে নিশ্চই তুলে ধরবো।
নিজেকে কেনো জানিনা আজকাল মানুষের ভিড়ে বড্ডো বেমানান লাগছে!
আর এই অনুভুতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো, চিন্তাধারার পার্থক্য!

(লতানো গাছ, অবলম্বন অত্যাবশ্যকীয়!) |
---|
খুব সাধারণ গোদা বাংলায় লাইনটি লিখছি, আজকাল অর্থের জন্য মানুষ কতখানি নিচে নেমে গেছে সেটা দেখলে মনে মনে চিন্তা করি এদের কি আদেও মেরুদণ্ড আছে?
অধিক পাওয়ার লালসায় নামতে নামতে নিজেদের সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে দাসত্ব প্রথায় নিজেদের নামিয়ে এনেছেন!
কি বিস্ময়কর! কি ভয়ঙ্কর! নাহ্, আমার সাথেও একই প্রয়াস করবার চেষ্টা চালানো হয়নি এমনটা নয়, তবে ওই যে যার কেউ নেই, তার ভগবান আছেন!
তাই, ওই নিম্ন মানসিকতা শুরুতেই ধরে ফেলেছিলাম, ক্ষমতার দম্ভে অধিক মানুষকে দাসত্ব প্রথায় বাধ্য করা গেলেও কিছু ব্যতিক্রমী আজও বর্তমান।
তাদের রক্তে আসলে আত্মসম্মান বোধ হারিয়ে যায়নি, তাই দুদিনের ধনীদের দেখে তারা হাসে মনে মনে, আর চিন্তা করেন এদের পরিণত ভেবে।
পূর্বেও কথাটি উল্লেখিত জুতো যত দামী হোক, সেটা পায়েই পরিধান করা হয়;
আর টুপি যত সস্তাই হোক তার স্থান মাথায়!
এই শিক্ষা আমার বড় পিসিমার কাছ থেকে পাওয়া, তাই শৈশব থেকেই এটা জানি কাকে কোন জায়গায় রাখা প্রয়োজন, আর পরিধানের নিরিখে কার স্থান কোথায়!
ঠিক সেই কারণে নিজের পারিবারিক ঐতিহ্য তথা শিক্ষাকে কোনো মূল্যেই বিসর্জন দিতে পারিনি, আর পারবো না।
কারণ, এটা আমার আত্মমর্যাদার প্রশ্ন! সত্যি বলতে নত হতে হলে ঈশ্বরের সামনে হবো, মানুষের সামনে কেনো?
তাও কেবলমাত্র আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য!
উপরিউক্ত অভিমত সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত কাজেই, সহমত পোষণ এর কোনো রকম আশা ছাড়াই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলাম।
আসলে ভালবেসে কেউ কিছু করতে বললে এক্ রকম কিন্তু তার আড়ালে যদি সুপ্ত উদ্দেশ্য বিদ্যমান থাকে, তাহলে সেটাকে ছলনা ছাড়া কিছুই আখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।

