আমরা এমন কেন?
মানুষের স্বভাব তার সব থেকে বড় পরিচয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে তার চেহারা দেখে চিনে থাকলেও তার প্রকৃত পরিচয় তার স্বভাব।
চিন্তা, অনুভূতি, উদ্দেশ্য বিবেচনায় প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা স্বভাবের।
কিছু মানুষের স্বভাব তার মুখের কথা আর কিছু মানুষের স্বভাব তার কার্যক্রম।
কিছু মানুষ শুধু নিজের কথা ভাবে, মনে একটাই প্রশ্ন নিজে কিভাবে ভালো থাকবো। কিভাবে বাড়ি, গাড়ি করবো, নিজের মনের সকল ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপদান করবো, এটাই তাদের ভাবনার প্রধান বিষয়!
এই প্রকৃতির মানুষগুলো কখনও অন্যের ভালো দেখতে পারে না। সব সময় মনে করে, অন্য কেউ আমার থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে না তো? অন্য কারো সম্পদের পরিমাণ আমার থেকে বেশি হচ্ছে না তো?
একটা সত্যি কথা হলো -
মানুষ তার অচেনা- অজানা মানুষের সাফল্য সহ্য করতে পারলেও নিজের পরিচিতজনদের উন্নতি সইতে পারে না।
হোক সে নিজের কাছের কেউ, বা হোক সে প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর উন্নতিতে তাদের মনে ঈর্ষার জন্ম নেয়।
জানি না কেন?
মানুষের মন এত ঈর্ষার পূর্ণ থাকে।
যে যেমন কাজ করবে তার জীবন তেমনটাই হবে!
তবে কেউ এগিয়ে গেলে, পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে? এটা জানতে খুব মন চায়!
কেন আমরা অন্যের সাফল্যে খুশি হতে পারি না?
কেনই বা অন্যের ক্ষতিতে সুখ পাই?
জানি এই প্রশ্নগুলো সবার মনে আসে, তবে উওরটা কেউ জানে না! কেন এমন হয়?
আমরা জানি সৎ পথে থাকা উচিত, তবে অধিকাংশই স্বয়ং নিজের কাছেই সৎ থাকতে পারি না।
নিজের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অসৎ পথ অনুসরণ করতেও ভাবি না একবার।
আমরা জানি কোন টা করা উচিত আর কোনটা নয়,
কিন্তু সেটা মানতে পারি না। কেন এমন হয়?
কেউ অপরাধ করলে তাকে নিয়ে বিচার সভা করি।
অথচ তার শাস্তি মৌকুফ করার জন্য ছদ্মবেশী জ্ঞানী বিচারক সমাজ ঘুষ নিতেও দ্বিধা করে না। তাহলে অপরাধী আর বিচারকের মধ্যে তফাত কোথায়?
তফাতটা বোধহয় শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গিতে।
কেউ জলে আটাগুলে খাচ্ছে আবার কেউ সুন্দর করে রুটি তৈরি করে খাচ্ছে!
কেউ সরাসরি অপরাধ করছে আবার কেউ লোকচক্ষুর আড়ালে অপরাধকে অন্যভাবে রূপ দিচ্ছে!
কিছু মানুষ আছে, তারা যেটা বলে সেটাই ঠিক,
তারা যেটা সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই সর্বোত্তম। সেখানে সে যদি ভুল হয়েও থাকে তাহলেও সেটা ঠিক।
অন্যদের মতামত প্রকাশের সুযোগ নেই।
উপদেশ দিতে পারে সবাই তবে সেই উপদেশ নিজে কতটা মেনে চলে সেটাই বড় প্রশ্ন!
শিক্ষিত হলেই সবাই জ্ঞানী হয়ে যায় না!
Thank you ma'm