কাগজের ফুল ও ফুলদানি তৈরি!
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি।
আজ মনে একটা প্রশ্ন বারবার আসছে।
আমরা যাদের খুব কাছের, খুব আপন, হয়ত রক্তের সম্পর্ক নয় তবে তেমনটাই মনে করি, তাদের সাথে কি আসলেই আমাদের সম্পর্ক ততটাই গভীর?
আমাদের ভিতর বন্ডিং কি সত্যি ওতটাই মধুর? তাদের সাথে আমাদের বন্ধন খুব কাছের নাকি তাদের সাথে আমাদের দুরত্ব সীমাহীন?
আকাশের দিকে তাকালে কোটি কোটি তারা দেখা যায়। আচ্ছা, তারা রা কি আমাদের থেকে অনেক দুরে নাকি খুব কাছের? চাইলেই কি তারাকে স্পর্শ করা যায়?
খালি চোখে দেখলে হয়ত মনে হয়, তারাগুলো আমাদের থেকে দুরে, তবে খুব বেশি নয়। তবে বাস্তবে আমাদের থেকে তারাগুলো অনেক অনেক দুরে যেটা হয়ত আমাদের কল্পনারও বাইরে।
সৌরজগত সব থেকে কাছের তারার দুরত্ব 4.26 Light Year দুরে।
Light year মানে একবছরে আলো যতটা পথ অতিক্রম করে তার দুরত্ব। যেমন চাঁদ থেকে আলো আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১ সেকেন্ডের খানিক বেশি সময় নেয়।
আমাদের কাছের মানুষগুলো তারা র মতোন। সহজ ভাবে মনে হয়, তারা হয়ত খুব আপন, মনের অনুভূতির দিক থেকে তাদের সাথে দুরত্ব অনেক।
যাই হোক, আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা ডিজাইন শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ :-
কাঁচি
কাগজে ব্যবহৃত আঠা
রঙ্গিন কাগজ
আজ আমি যে ডিজাইনটা করতে চলেছি তার জন্য প্রথমে আমাকে কয়েকটা ফুলের নকশা করতে হবে।
তাই 10*10 সাইজের একটা কাগজ নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে কেটে নিলাম। তারপর তৈরি হয়ে গেলো ফুলের নকশা।
অন্যান্য দিন আমি ভিডিও ব্যবহার করি না তবে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আজকে ভিডিও ব্যবহার করেছি। সত্যি বলতে, এই ধরনের নকশা তৈরির জন্য যতটা না লিখে বোঝা নো সম্ভব তার থেকে ভিডিও ব্যবহার করলে সেটা সকলের বেঝার সুবিধা হয়,
ছোটো ছোটো ফুলের নকশা করার জন্য খুব সিম্পল একটা পদ্ধতি রয়েছে যেটার মাধ্যমে আমি নকশা প্রস্তুত করেছি।এই পদ্ধতিটা আমার কাছে ভীষণ প্রিয় । আমি কয়েকটা ফুল তৈরি করে নিলাম। ভিডিও দেখলে আপনারা প্রতিটা স্টেপ সুন্দর মতো বুঝতে পারবেন।
ছোটো ছোটো ফুল তৈরি হয়ে গেলে এবার লম্বা কাগজ পাকিয়ে নিয়ে গাছের শাখা প্রশাখার মতো তৈরি করতে হবে। তারপর ডালের সাথে ফুল ও ফুলের কমড়িগুলো আঠার সাহায্যে লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে দেখতে ঠিক এমন লাগবে।
এবার বড় একটা কাগজ গোল করে পেঁচিয়ে নিয়ে ফুলদানির আকার দিতে হবে। তারপর আগে থেকে ছোটো ছোটো ফুলগুলো ওটার সাথে লাগিয়ে নিতো হবে তাহলে দেখতে ভালো লাগবে।
( Youtube Video) |
---|
আপনারা ভিডিও দেখলে সম্পূর্ণ ধাপগুলো সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন। সব কিছু প্রস্তত হয়ে গেলে আগে থেকে বানিয়ে রাখা ফুলের তোড়া ওটার ভিতর রাখতে হবে।
সত্যি বলতে, ঘর সাজানোর জন্য আমরা বাজার থেকে অনেক কিছু কিনে থাকি। যেটার মূল্য হয়ত অনেক। তবে আমরা চাইলেই নিজেরা বাড়িতে ছোটো উপকরণ দিয়ে অনেক সুন্দর কিছু তৈরি করতে পারি।
বাজার কেনা আর নিজের তৈরি করা জিনিসের প্রতি অনুভূতি অন্যরকম। নিজের তৈরি জিনিসটা খুব বেশি সুন্দর না হলেও নিজের কাছে সুন্দর লাগে।
আমার নকশাটা আপনাদের কাছে কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন আর আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, লাখ লাখ টাকার জিনিস কিনতে পাওয়া যায় তবে নিজের তৈরি নকশার মূল্য তার থেকেও বেশি নিজের কাছে, ঠিক যেন ছোটো ছোটো সাফল্য।
Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ম্যাম, আমাকে সমর্থন করার জন্য। ভালো থাকবেন। 🙏