ইনানির সেই মোহনীয় বিকেল শেষে রাতটা কেটে গেল সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতেই। সকালের আলো ফোটার আগেই আমরা তৈরি হয়ে নিলাম নতুন দিনের জন্য। এবার আমাদের গন্তব্য কক্সবাজার শহরের একটু বাইরে — হিমছড়ি ও মহেশখালী।সকালে হোটেল থেকে বের হয়েই রওনা দিলাম হিমছড়ির দিকে। রাস্তার দু’পাশে পাহাড় আর সমুদ্র যেন পাল্লা দিয়ে সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। রিকশা আর সিএনজির ভিড় পেরিয়ে পাহাড়ি বাঁক ঘুরতে ঘুরতে মনে হচ্ছিল আমরা যেন কোনো রোমাঞ্চকর যাত্রায় নেমেছি।

হিমছড়ি পৌঁছাতেই প্রথমে চোখে পড়ল সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা ঝরনা। ছোট হলেও ঝরনার জলের শব্দ আর চারপাশের শ্যামলিমা মনকে অন্যরকম প্রশান্তি দিল। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই দেখা মিলল সমুদ্রের বিস্তৃত রূপ। পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে নীল জলরাশি যেন অসীম দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। বাতাসে লবণ আর সবুজ ঘ্রাণ মিলেমিশে এক অদ্ভুত সতেজতা এনে দিল।হিমছড়ি থেকে ফিরে আমরা রওনা দিলাম মহেশখালী দ্বীপের দিকে। ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে যাত্রা শুরু হলো। নৌকায় বসে যখন চারপাশে জল আর দূরে সবুজ পাহাড় দেখতে পেলাম, তখন মনে হচ্ছিল যেন কোনো চিত্রকর্মের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।

মহেশখালী মূলত মন্দির আর মঠের জন্য বিখ্যাত। আমরা গিয়েছিলাম আদিনাথ মন্দিরে, যা পাহাড়ের উপর অবস্থিত। সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে উঠতে কক্সবাজার শহর আর সমুদ্রের দৃশ্য যেন একেবারে অন্য রূপে ধরা দিল। শান্ত পরিবেশে ঘণ্টার শব্দ আর ভক্তদের ভক্তি মিলে জায়গাটিকে করে তুলেছিল স্বর্গীয়।দ্বীপ থেকে ফেরার পথে সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছে। পানির উপর পড়া কমলা রঙের আলোতে নৌযাত্রাটা হয়ে উঠল আরও মায়াবী। মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ শুধু ঢেউ আর আলোর খেলা দেখতেই ইচ্ছে করছিল।শহরে ফিরে আমরা গেলাম কক্সবাজারের বিখ্যাত সীফুড রেস্টুরেন্টে। চিংড়ি ভাজা, কোরাল মাছের ঝোল, আর সামুদ্রিক খাবারের নানা পদ আমাদের টেবিলে। সারা দিনের ভ্রমণের ক্লান্তি যেন মুহূর্তেই মিলিয়ে গেল এই স্বাদে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।