হিমছড়ি আর মহেশখালীর মোহনীয় অভিজ্ঞতার পর রাতটা কেটে গেল ক্লান্তি আর আনন্দের মিশেলে। পরের সকালে ঘুম ভাঙতেই জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা গেল রোদের সোনালি ঝিলিক সমুদ্রের উপর পড়ে ঝিকমিক করছে। সেই আলো যেন নতুন দিনের ডাক দিল। সকালের নাশতা সেরে আমরা প্রস্তুত হলাম কক্সবাজারের আরও কিছু অপরূপ স্থান ঘুরে দেখার জন্য।

প্রথমেই গেলাম লাবণী পয়েন্টের দিকে। এখানে ঢেউয়ের তীব্রতা যেন অন্য রকম। বিশাল জলরাশি বারবার এসে পায়ের কাছে আছড়ে পড়ছিল, আর তার সাদা ফেনায় ভিজে যাচ্ছিল বালুর চাদর। ভোরবেলা সমুদ্রের সেই দৃশ্য আমাদের মনে এনে দিল এক অবর্ণনীয় প্রশান্তি। কিছুক্ষণ সমুদ্রের ধারে হেঁটে হেঁটে আমরা চলে গেলাম রাঙামাটি সমুদ্রপাড়ে।এখানে ভিড় তুলনামূলক কম, তাই ঢেউয়ের শব্দ আরও স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছিল। বালুকাবেলায় বসে দূরের জেলেদের নৌকা আর আকাশে ওড়া সাদা বক দেখে সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল।

বেলা বাড়তেই আমরা সিএনজি করে গেলাম “সুভদ্রার বাগান” নামক এক গ্রামীণ এলাকায়। এটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত এক অনন্য স্পট—সবুজের সমারোহ আর ফলজ গাছের সমাহারে ভরপুর। আম, লিচু, কাঁঠাল, নারকেল—কোনোটা বাদ নেই। গ্রামের সরল পরিবেশ, মাটির গন্ধ আর মানুষের আন্তরিকতা আমাদের মনে দাগ কেটে গেল। স্থানীয়রা আমাদের তাজা নারকেলের জল খাওয়ালেন, আর তার মিষ্টি স্বাদ যেন গরম দুপুরে স্বর্গীয় লাগছিল।

বিকেলে আবার আমরা সমুদ্রসৈকতে ফিরে এলাম। এবার সূর্যাস্ত দেখার পরিকল্পনা ছিল। পশ্চিম আকাশে সূর্য ডোবার সাথে সাথে আকাশ রাঙা হয়ে উঠল, আর সেই লাল-কমলা আলো ঢেউয়ের সাথে মিশে তৈরি করল এক যাদুকরী দৃশ্য। সবাই চুপচাপ বসে শুধু সেই মুহূর্তটা উপভোগ করছিলাম।
রাতে শহরে ফিরে আমরা জমে উঠলাম আড্ডায়। এক কাপ গরম চা আর সামান্য ভাজা—তাতেই শেষ হলো আমাদের আরেকটি সুন্দর দিন।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।