সকালের সেই স্নিগ্ধ সমুদ্র দর্শনের পরে আমরা হোটেলে ফিরে একটু বিশ্রাম নিই। দুপুরের দিকে আবার তৈরি হলাম নতুন গন্তব্যের উদ্দেশে – এবার আমাদের টার্গেট লাবণী পয়েন্ট এবং তারপর ইনানি সৈকত। হোটেলের রিসেপশন থেকে সিএনজি ঠিক করেই রওনা হলাম।লাবণী পয়েন্ট পৌঁছাতেই চোখে পড়ল এক অন্যরকম দৃশ্য। সকাল আর দুপুরের আলোতে সমুদ্র যেন আলাদা রূপ ধারণ করে! এখানে পর্যটকের ভিড় বেশি, নানা রকম খাবারের দোকান, বালির উপর বাচ্চাদের খেলা আর জেট স্কি ও ঘোড়ার গাড়ির শব্দে জায়গাটা জমজমাট।

সৈকতের কিনারায় বসে অনেকক্ষণ ঢেউ গোনা হলো। মাঝে মাঝে চোখ বুজে কেবল অনুভব করলাম বাতাসে লবণের গন্ধ, সূর্যের উষ্ণতা আর ঢেউয়ের ছন্দ।একজন বয়স্ক জেলে আমাদের পাশে বসে গল্প করলেন কক্সবাজারের পুরনো দিনের কথা – কীভাবে লাবণী পয়েন্ট ছিল শুধু স্থানীয়দের মাছ ধরা আর বিশ্রামের জায়গা, এখন তা হয়ে উঠেছে পর্যটকের প্রাণকেন্দ্র। সেই সরল কথাগুলো কেমন যেন ছুঁয়ে গেল মনকে।

লাবণী থেকে আমরা সোজা চললাম ইনানি সৈকতের দিকে। পাহাড় আর সাগরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা রাস্তা যেন সিনেমার দৃশ্য! মাঝে মাঝে থামতে হলো – কোথাও চা, কোথাও আবার ছবি তোলার জন্য। ইনানিতে পৌঁছাতে প্রায় ৪০ মিনিট লেগে গেল।ইনানি সৈকতের বিশেষত্বই হলো তার পাথুরে সৌন্দর্য। এখানে সাগরের জল কিছুটা সবুজাভ, আর ঢেউ এসে ছোট ছোট পাথরে আছড়ে পড়ে – তৈরি করে এক অপূর্ব শব্দ।

পাথরের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা সূর্যকে ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়তে দেখলাম। সূর্যের রঙ তখন কমলা থেকে লাল – আর সেই আলো পড়ে সমুদ্রের গায়ে যেন আগুন জ্বলে উঠেছে।এখানে ছবি তোলা, পাথরের উপর হেঁটে চলা আর ঢেউয়ের ছোঁয়া – প্রতিটি মুহূর্ত ছিল ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করার মতো। ইনানির এই বিকেল যেন স্মৃতির খাতায় সোনালি পাতায় লেখা থাকবে চিরকাল।ফেরার পথে শহরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল এক ঝলমলে সন্ধ্যা। রাস্তার দু’পাশে আলোকসজ্জা, ছোট ছোট খাবারের দোকানে ভিড়, ঘুরতে আসা মানুষের হাসি ।

কক্সবাজার যেন সন্ধ্যার আলোয় আরও বেশি জীবন্ত। আমরা গেলাম সী পার্ল মার্কেট– কক্সবাজারের একটি জনপ্রিয় মার্কেট, যেখানে সামুদ্রিক ঝিনুক, হাতে তৈরি গয়না, জামা-কাপড় পাওয়া যায়। কিছু কেনাকাটা সেরে, হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম হোটেলে।হোটেলের ছাদে বসে এক কাপ চা আর হাতে সদ্য কেনা শাঁখের চুড়ি – মনটা ভরে গেল। দূরে তখনও সমুদ্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে। মনে হলো, এই শহর শুধু চোখ নয়, মনেও একটা ছাপ রেখে যায়।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।