জেনারেল রাইটিং : নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর। শেষ পর্ব
সবাইকে শুভেচ্ছা।
গতকাল নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করর ১ম পর্ব পোস্ট দিয়েছিলাম। আজ ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
সরকারি -বেসকারি সহ ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে কাজ করছে ।কাজ অনেকেই করছে কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না! কোন ভাবেই কমছে না। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের মনোজগতে নারীর প্রতি যে দৃষ্টি ভঙ্গি গেঁথে বসেছে তা থেকে কোন ভাবেই বের হতে পারছে না। এর একটি বড় কারন পরিবার। অনেক পরিবারে আছে সেখান্ব নারীদের কোন গুরুত্ব নেই, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের মতামতের গুরুত্ব নেই। একই পরিবারে থেকেও তারা পর। খেয়াল করে দেখবেন আর্থিক কোন ক্ষমতাই নেই নারীদের। পরিবারের ছোটরা এসব দেখেই বড় হচ্ছে। তাই পুরুষদের মনোজগতে চেঞ্জ হচ্ছে না। সব পরিবার যে এমন তা নয়, কিছু ব্যতিক্রম আছে।
মিছিল -মিটিং,ওয়ার্কশপ-সেমিনার করে কাজের কাজ তেমন হচ্ছেনা। মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন খুব জরুরি। নারীর ন্যায্য অধিকার ও সম্মানের পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আইন প্রতোগকারি সংস্থাকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে যাতে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন হয়। রাজনৈতিক দল গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে, যদি কোন দলের সদস্য বা নেতা নারীর প্রতি সহিংসতা করে রাজনৈতিক আশ্রয় না পায়। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে নারীর প্রতি সহিংসতার হার সবচেয়ে বেশি। একন্য ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ দের নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
একক কারো প্রচেষ্টায় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব। আর এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মূল কারিগর হবে রাষ্ট্র। কারন রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে। আগামীর মানবিক, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ বিনির্মানে নারীর উপর সহিংসতা বন্ধ ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
আসুন নারীর উপর সহিংসতা মুক্ত পরিবার ও দেশ গড়ে তুলি।
ধন্যবাদ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।