বিকেলে বন্ধুদের সাথে নদীর পাড়ে আড্ডা

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।

young-8208513_1280.jpg

source


বিকেলবেলা মানেই যেন একটা বিশেষ সময়। দিনের ক্লান্তি শেষে মন খুঁজে পায় একটু প্রশান্তি, একটু স্বস্তির ছোঁয়া। সেই বিকেল যদি কাটানো যায় প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে নদীর পাড়ে, তবে তার আনন্দ বর্ণনার অতীত। গত সপ্তাহের এক বিকেলে এমনই এক স্মৃতি তৈরি হয়েছিল আমাদের।

আমরা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিলে ঠিক করলাম, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর ধারে একটু সময় কাটাতে যাব। বিকেলের নরম আলো, আকাশে রঙিন মেঘের খেলা, চারদিকে হালকা হাওয়া,সবকিছু যেন আমাদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল। নদীর পাড়ে পৌঁছানোর পর মনে হলো, প্রকৃতির এ রূপ শুধু চোখে দেখা নয়, হৃদয়ে অনুভব করারও বিষয়।

নদীর ধারে বসে আমরা শুরু করলাম আড্ডা। কারো হাতে চা, কারো হাতে বাদাম, আবার কেউ বা শুধু বসে থেকে দৃশ্য উপভোগ করছিল। আড্ডার মূল বিষয়বস্তু ছিল আমাদের শৈশবের গল্প। কে কেমন করে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল, কে কাকে ডুবিয়ে মজা করেছিল, কিংবা কে সাঁতার শিখতে গিয়ে কতবার পানির নিচে হাবুডুবু খেয়েছিল, এসব গল্পে হাসির ঝড় উঠলো।

আড্ডার ফাঁকে একজন বন্ধু গিটার বের করে গান ধরলো। গানের সুরের সঙ্গে নদীর কলকল ধ্বনি যেন এক হয়ে গেল। মুহূর্তেই চারপাশটা অন্যরকম হয়ে উঠলো। আমরা সবাই মিলে গলা মেলালাম, আর মনে হলো,এমন আনন্দ পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। গান, হাসি, গল্প,সব মিলে আড্ডাটা হয়ে উঠলো এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

কিছুক্ষণ পর আমরা নদীর পাড় ঘুরে ঘুরে হাঁটলাম। হালকা বাতাস মুখে এসে লাগছিল, কানে ভেসে আসছিল পাখির ডাক। প্রকৃতি যেন আমাদের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়েও অনেক কথা হলো। কে কি হতে চায়, কে কোথায় পড়াশোনা করবে বা কাজ করবে,এসব নিয়ে খুনসুটি আর মজা চলতে থাকলো।

আড্ডার সবচেয়ে সুন্দর দিক ছিল, সেখানে কোনো দুঃখ বা চিন্তার ছায়া ছিল না। শহরের ব্যস্ততা, জীবনের দৌড়ঝাঁপ—এসব আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। শুধু ছিল এক টুকরো আনন্দ, এক টুকরো স্বাধীনতা। বন্ধুত্বের মায়াজালে জড়িয়ে বিকেলের সময়টা আমাদের মনে এক অমলিন স্মৃতি তৈরি করেছিল।

সন্ধ্যা নামতে শুরু করলে আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে পড়লো। সূর্য ধীরে ধীরে অস্ত যাচ্ছিল, আর নদীর জলে সেই রঙিন আলো প্রতিফলিত হচ্ছিল। দৃশ্যটা ছিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আমরা সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করলাম। মনে হলো, প্রকৃতি যেন বিদায়ের আগে আমাদের আরও একবার মুগ্ধ করে দিতে চাইছে।

শেষে আমরা একসঙ্গে প্রতিজ্ঞা করলাম,যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, এমন আড্ডা আবার আয়োজন করব। কারণ, বন্ধুত্বের আসল শক্তি এসব মুহূর্তেই ধরা দেয়।সেদিনের বিকেলটা আমাদের কাছে শুধু একটি আড্ডা নয়, বরং বন্ধুত্ব আর প্রকৃতির এক অপূর্ব মিলনের গল্প হয়ে থাকবে চিরদিন।


Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFZw7HFjCLMfDJx3zXx3jXPRfJr7otFtoRfKMmN9rJzpemZGKH1sKHrmfJREqyC...9xLrN7kkzEr3nKpRPcTj6NSZrBzYGbr93rAK2CAinZaxUP2fFhka9ZrPQeMBYoU2r2avcVEfb5m3uJAqvfZ4UMDVMeWvTdncVc9TonRvS2kneML5dvyoyUQZKC.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণরাইটিং ✨
মডেলএম-৩১
ক্যাপচার@alif111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻