সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
আজকে শুভ নববর্ষ, দীর্ঘ একটি বছর পরে এই নতুন বছর আমাদের মাঝে এসেছে। বাঙালির ঐতিহ্যময় এই নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে নানা আনন্দ এবং হাসির মাধ্যমে। আসলে নতুন বছরকে আমরা বরণ করে নেই বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে। পুরাতনকে ভুলে গিয়ে নতুনকে আঁকড়ে ধরার জন্যই এই নতুন বছরগুলো আমরা ঐতিহ্যবাহী পালন করি। আসলে বাঙালি জাতি তাদের নববর্ষকে খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপনের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয়। আর এই নববর্ষকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ধরনের আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এবং শহর বাজারে স্কুল কলেজে নববর্ষ খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করা হয়। এমনকি বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় মেলার আয়োজন হয়। তাই আজকে নববর্ষ সবাইকে জানাই মনের গভীর থেকে শুভ নববর্ষ। আশা করছি আজকের দিন আপনারা সবাই অনেক আনন্দের সাথে সময় উপভোগ করেছেন।
নববর্ষকে কেন্দ্র করে অনেকের অনেক ধরনের পরিকল্পনা থাকে। তবে এবারও আমার পরিকল্পনা ছিল বন্ধুদের সাথে নববর্ষকে নতুন ভাবে উদযাপন করব। আসলে দীর্ঘ একটি বছর পর নতুন বছর আমাদের মাঝে আসে আর পুরাতন বছরের সকল কিছু ভুলে গিয়ে নতুনকে আঁকড়ে ধরে জীবনের পথ চলা যেন আনন্দ হয়। এই আশায় করি। তাই বাংলা নববর্ষ ঐতিহ্যময় মুহূর্তগুলো আমরা উপভোগ করি আজকে যখন শহরের মধ্যে দিয়ে নববর্ষ রেলী মিছিল গুলো যাচ্ছিল। তখন অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল উপভোগ করতেছিলাম। নববর্ষ এই নতুন দিনে সবাই যেন নতুন পোশাকে এবং অনেক রকমের সুন্দরভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তার ঐতিহ্যের মধ্যে দিয়ে আর বাঙালি জাতি তাদের ঐতিহ্যকে এই নববর্ষের মাধ্যমে সকলের মাঝে তুলে ধরে এবং নববর্ষের মাধ্যমে বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষা পায়।
এখন আধুনিকতার যুগ, আর এই যুগে বাঙালি জাতি তাদের ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছে। তাদের নববর্ষের ঐতিহ্যের মধ্যে দিয়েই যেন বাঙালি জাতি তাদের বাঙালি পরিবেশকে রক্ষা করে এবং বাঙালি জাতি তাদের ঐতিহ্যকে বরণ করে নেয়। আর এই নববর্ষের মধ্যে দিয়েই বাঙালি জাতির তাদের জাতিগত সকল মানুষকে এককভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে আসলে বাঙালির মাঝে যদি নববর্ষ না থাকে তাহলে বাঙালি জাতি তার ঐতিহ্য হারাবে আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই নববর্ষকে বিভিন্নভাবে সাজানো হয়। তার বাঙালি জাতির ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য সেইসাথে বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলা সহ নানা ধরনের আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য।
আজকের নদীর পাড়ে গিয়ে দেখতে পেলাম বাঙালি জাতি তাদের ঐতিহ্য পোষাক পড়ে নদীর পাড়ে এসেছে গৃহবধূরা তাদের বাঙালি পোশাক শাড়ি পড়েছে। আসলে বাঙালির মেয়েদেরকে শাড়ি পড়াতে এত ভালো লাগে যা বলার মত না। তাদের ঐতিহ্যময় পোশাক এবং ঐতিহ্যময় জিনিসগুলোই তারা প্রতিষ্ঠা করেছে এ নববর্ষ মাধ্যমে আজকে নববর্ষ অনেক আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রেলী বের করা হয়েছিল। বিশেষ করে নদীর পাড়ে এসে দেখতে পেলাম বিশাল বড় সাতদিনের জন্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরেও এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাঙালি জাতি যাতে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে সেই আলোকে এই মেলাগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছ খাবার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। এই পান্তা দিয়ে যখন ইলিশ মাছ খাওয়া হয় তখনই যেন মনে পড়ে যায় আমরা বাঙালি জাতি আর এই নববর্ষের মধ্যে দিয়ে আমরা বাঙালি জাতি নিজেদেরকে মনে করিয়ে নেই। তাই আজকের দিনটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি এবং আপনাদের মাঝে কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্যই আজকের পোস্টটি করা। আশা করছি আপনারা সবাই অনেক আনন্দের সাথে উদযাপন করেছেন এবং পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন। আশা করছি নতুন বছরে পথ চলা অনেক ভালো এবং আনন্দময় হবে।তাই আবারো জানাই শুভ নববর্ষ। 🖤✨।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাইটিং ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাকেও নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ঐতিহ্যকে এত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখায় বাঙালির সংস্কৃতি, আনন্দ ও আবেগ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং সাথে এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার নববর্ষের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। সত্যি নববর্ষের দিনটা আমরা নিজেদের মধ্যের বাঙালিয়ানাকে খুঁজে পাই। আমরা আমাদের বাঙালি নববর্ষকে বাঙালির মতো করে বরণ করি এবং ইংরেজি নববর্ষ কে পুরো ইংরেজদের মতনই ওয়েলকাম জানাই। তবে এটা সত্য যে আমাদের বাঙ্গালীদের কালচার এবং অনুষ্ঠানগুলো অনেক সুন্দর যা গোটা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।