ফেসবুকের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ একটু ব্যতিক্রমধর্মের বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলব। এই বিষয়গুলো আমরা সকলেই ফেস করি কিন্তু আসলে আমাদের চিন্তাধারা কিংবা মস্তিষ্কে এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা বেশি চিন্তিত আমরা হয়ে থাকি না। যার কারণে আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত সময়গুলোকে প্রতিনিয়তই নষ্ট করে যাচ্ছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবেই মনে করি আমার ব্লগ আপনারা যারা পড়ছেন আপনারা সকলেই ফেসবুক ইউজ করে থাকেন। কিন্তু এই ফেসবুক ব্যবহারের যে একটি বিষয় রয়েছে সেই বিষয় সম্পর্কে আমরা কিন্তু খুব একটা বেশি সচেতন নই বরং আমাদের কোন কিছু ভালো না লাগলেই টুক করে ফেসবুকের মধ্যে ঢুকে পড়ি। মনে মনে চিন্তা করি মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য ফেসবুকে থাকব পরবর্তীতে আমার দৈনন্দিন কাজগুলো শেষ করব। কিন্তু যখন আমরা পাঁচ মিনিটের জন্য ফেসবুকে ঢুকে যাই, কখন যে এক থেকে দুই ঘন্টা অতিক্রম হয়ে যায় সেটা কিন্তু আমরা নিজেও বুঝে উঠতে পারি না। আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো যেখানে শেষ করার কথা ছিল এক কিংবা দুই ঘণ্টার মাধ্যমে কিন্তু মোবাইল ফোন এবং ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে সেই কাজটি করতে একদম সারা দিন লেগে যায়।
এই ফেসবুকের একটি অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে। যেই ক্ষমতা ব্যবহার করে ফেসবুক আমাদের থেকে অনেক কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের যে বর্তমান সময় রয়েছে এই সময় গুলো অপচয় হচ্ছে একটার পর একটা ভিডিও নিউজ ফিড এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেনশন, বিভিন্ন ধরনের খারাপ নিউজ ভালো নিউজ আমাদের মাথায় সেটআপ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে আমরা এমনিতেই অশান্তির মধ্যে থাকি যখন নানা বিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা শুনে তখন আমরা আমাদের মেন্টালিটির দিক থেকেও অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। আমরা মনে করি এই পৃথিবীটা আসলে আর ভালো নেই। সবাই খারাপ পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব কিছু আমরা নিজের অজান্তেই চিন্তা করে ফেলি।
ফেসবুকের মধ্যে একটা অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে। এই ফেসবুকের মাধ্যমেই আমরা একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। বন্ধু-বান্ধবের সাথে সরাসরি দেখা করা আড্ডা দেওয়ার ক্ষমতা কে দিন দিন হারিয়ে ফেলেছি। সরাসরি কথা না বলে আমরা সব সময় ফেসবুকে চ্যাটিং করাই ব্যস্ত থাকি। এতে করে আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা কমে যায় আমাদের মধ্যে ভালোবাসার ঘাটতি দেখা যায়। যেখানে আগে সকলে মিলে ঘুরতে যেতাম এখন সেই ফেসবুকের মধ্যে এই গ্রুপ খুলে আড্ডা দেওয়া হয়। এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এছাড়াও চোখের তো অনেক বেশি ক্ষতি হয় যার কারণে প্রত্যেকেরই চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ফেসবুকের একটি অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে। যার কারণে আমাদের মধ্যে সম্পর্কের দুরুত্ব সৃষ্টি করে দিচ্ছে। একে অপরের সাথে ভালো লাগা মন্দল লাগা ঠিকই শেয়ার করা যাচ্ছে কিন্তু এখানে আমাদের ব্যক্তিগত যে প্রাইভেসি রয়েছে সেটা ঠিক থাকে না। প্রতিনিয়ত ফেসবুকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। যেটা আসলে কোন সমাজের জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আগে অনেক বেশি ফেসবুক ব্যবহার করতাম। কিন্তু যখন থেকেই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করেছি তখন থেকেই facebook ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি। এখন হয়তো সারাদিনে দশ মিনিটের জন্য ফেসবুকে যাওয়া হয় না। আমরা চেষ্টা করব যেন আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আমাদের আত্মীয় স্বজনের সাথে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আমরা সবসময় সলভ করার চেষ্টা করব এবং একে অপরের সাথে দেখা হলে কথাবার্তা হলে সেখানে আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দুটোই বৃদ্ধি পাবে ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ফেসবুকের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
একসময় আমি ফেসবুকে আসক্ত ছিলাম। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করার পর তো ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি। কারণ ফেসবুকের কারণে অযথাই সময় নষ্ট হয়ে যায়। আসলে আমি মনে করি ফেসবুক ইউজ করার সুফলের চেয়ে কুফল-ই বেশি। তাই ফেসবুক থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত আমাদের। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেসবুকের এই অদ্ভুত ক্ষমতা আমাদের জীবন থেকে অনেক সময় কেড়ে নিচ্ছে। নিউসফেড দেখে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নস্ট হচ্ছে, কেউ বুঝতেও পারে না। ফেসবুক আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের জন্য অগ্নি পরীক্ষার মতো।
ফেসবুক বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংযুক্ত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি দূরত্ব কমিয়ে আনে এবং মানুষকে তাঁদের প্রিয়জনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করে। এই সংযোগ শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কই নয়, পেশাদার নেটওয়ার্ক গঠনেও সহায়ক।ফেসবুক বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মানুষকে একত্রিত করে এবং তাদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করে। আপনি আজকে চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটি খুবই চিন্তনীয় এবং বাস্তবতা তুলে ধরেছে। ফেসবুকের অতিরিক্ত ব্যবহারের প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক গভীরভাবে ধরা পড়েছে, বিশেষ করে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব এবং সময়ের অপচয় নিয়ে আপনি যেভাবে আলোচনা করেছেন তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি যোগাযোগের গুরুত্ব এবং আন্তরিকতার অভাবও বেশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ফেসবুকের এই ‘অসম্ভব ক্ষমতা’ নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ খুবই বাস্তব এবং সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। আপনার অভিজ্ঞতা এবং চিন্তাধারা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এই বিষয়টি আমাদের অনেকেরই ভাবনার সুযোগ করে দেয়।
ফেসবুক আমাদের সময় নষ্ট করছে এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করছে। সামাজিক যোগাযোগের সুবিধা থাকলেও, অতিরিক্ত ব্যবহারে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। সরাসরি যোগাযোগের গুরুত্ব বাড়ানো উচিত, যাতে আন্তরিকতা এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। ফেসবুক ব্যবহারের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন।
আসলে এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি মাদকদ্রব্যের মতো নেশার মত কাজ করে। এইগুলির সঙ্গে আমরা যত সম্পৃক্ত হয়ে পড়ি, তত ডোপামিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সম্পূর্ণ বিষয়টি আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে মস্তিষ্কের চালক হয়ে পড়ে। তাই নিজেকে জোর করে হলেও এই ধরনের কাজগুলি থেকে দূরে রাখা উচিত। না হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।