বাঁচুন নিজের জন্য
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে গত কয়েকদিন ধরে শরীরে অবস্থা খুব বেশি একটা ভালো নয়। বিভিন্ন সময় জ্বর সর্দি ঠান্ডা মাথা ব্যথার মতো ছোটখাটো রোগ বালাই লেগেই রয়েছে। সব মিলিয়ে কোনরকম বেঁচে আছি। এর মধ্যেই বর্তমানে আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল, ইতিমধ্যেই গতকাল এটা শেষ হয়েছে। একটা প্যারা অন্ততপক্ষে একটু কমেছে।
আমরা প্রত্যেকেই করো না কোন কাজের সাথে জড়িত। প্রত্যেকেই জীবন নির্বাহ করার জন্য চাকরি করছি ব্যবসা করছি কিংবা অন্যান্য কোন পেশায় রয়েছি। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই, আমাদের নিজেদেরকে ভালো রাখতে হবে, নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে হবে। এই সমাজে যেন সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি সেই সুবাদেই কিন্তু আমরা এসব কাজ করি এবং ভালো মানুষ হয়ে এই সমাজে বিতরণ করার চেষ্টা করি।
তবে কিছু কিছু মানুষের জীবনে থেকে আমি দেখেছি এবং তারা সবসময় অন্যের জন্য করেও মাঝেমধ্যে অন্যের কাছ থেকে শুনতে হয়, তারা তার জন্য কি করেছে! এই বিষয়গুলো যখন হয়ে থাকে তখন আসলেই কোন কিছু করার থাকে না। বরংচ নিজেকেই সবথেকে বড় অপরাধী বলে মনে হয়। এইতো এই ঘটনাটি আমার বন্ধুর সাথেই ঘটেছে, যেটা শোনার পরে আমার নিজের কাছেই অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।
একটা মানুষ সবকিছু উজাড় করে তার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করেন, সেই পরিবারের মানুষগুলো যখন বলে আমাদের জন্য কি করেছো তখন সত্যি অনেক খারাপ লাগে। জীবনে আমাদের যে সকল দায়িত্ব এবং কতর্ব্য রয়েছে সে সবকিছু আমাদেরকে পালন করে যেতেই হবে। এটাই বাস্তবতা এবং এভাবেই চলতে হবে। কিন্তু নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে নিজের ছোট ছোট চাহিদা গুলো বিসর্জন দিয়ে যখন পরিবারের জন্য কোন কিছু করা হয় আবার সেই পরিবার থেকেই যখন এ ধরনের কথাবার্তা আমরা শুনতে পারি তখন আসলেই মনটা ভেঙে যায়। এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। পরিবারের জন্য তো আমাদের সকলকে নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতেই হবে, সেই সাথে নিজেদের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলোকে পূরণ করতে হবে বলে আমি মনে করি।
আমরা এই পৃথিবীতে বাঁচবোই আর কয়দিন! এই বিষয়টা আমাদের অনুধাবন করতে হবে, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলোকে পূরণ করতে হবে। নিজেদেরকে ভালো রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে নিজেদের ভালো নিজেদেরকে বুঝতে হবে, অন্য কেউ আমাদের নিজেদের ভালোটা বুঝতে পারবে না। তাই নিজের জন্য বাঁচুন নিজের পরিবারের জন্য বাঁচুন দেখবেন অনেকটাই ভালো সময় থাকবে। যাইহোক আজকের মত এখানে শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বাঁচুন নিজের জন্য
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
একজন মানুষের জীবনের বাস্তবতা ও আত্মত্যাগের সত্যিটা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। সত্যি, নিজের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলোও গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য। শুধু পরিবার বা সমাজ নয়, নিজের জন্য বাঁচাটাও প্রয়োজন। এই লেখাটি মন ছুঁয়ে গেছে। ধন্যবাদ এমন বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা শুনে খুব খারাপ লাগলো। ফাইনাল পরীক্ষার চাপ ও শারীরিক অসুস্থতা—দুটোই নিশ্চয় কষ্টদায়ক ছিল। দয়া করে বিশ্রাম নিন, পুষ্টিকর খাবার খান এবং প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজের যত্ন নেওয়া কিন্তু অপরিহার্য! আপনার কথাগুলো খুবই সত্যি। আমরা আসলে নিজেদের ও পরিবারের টুকতেই ব্যস্ত, কিন্তু সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখানে ব্যালেন্স জরুরি—অন্যকে সাহায্য করার সময় নিজেকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
এই সময় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া। সত্যি বলতে আমরা অনেক সময় নিজের ইচ্ছে অনুভূতি সব কিছু বিসর্জন দিতে বাধ্য হই। নিজের জন্য বাঁচা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একেবারে যথার্থ বলেছেন ভাই, তখন আর বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও থাকে না। আসলে বেশিরভাগ মানুষ দিনদিন প্রচন্ড স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। তাইতো পরিবারের লোকজন এসব কথা বলতে পারে। তবে এসব কথা বলা মোটেই উচিত নয়। বরং পরিবারের সদস্যদের উচিত একে অপরকে সাপোর্ট করা। এতে করে সুন্দর একটি পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব। তাহলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসিখুশি ভাবে সমাজের মধ্যে বসবাস করা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।