নীলফামারীতে মাত্রা অতিরিক্ত গরম
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো আছি। গত দুদিন ধরে নীলফামারীতে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়ছে। এইতো গত সপ্তাহে এই প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টিপাত হলো এবং বৃষ্টিপাত এত পরিমাণে হয়েছিল আমাদের আশেপাশের এলাকাগুলো বৃষ্টির পানিতে ডুবে গিয়েছিল। কিন্তু গত দুইদিন ধরে এতটাই তীব্র গরম যে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো করাও অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে আমি নীলফামারী শহরে অবস্থান করছি, বর্তমানে আমার বাসারও টুকটাক কাজ করাচ্ছি। যার জন্য আমাকে নীলফামারীতে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং এই কাজ করানো কে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন জায়গায় আমাকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু গত দুদিন ধরে এই যাওয়া সাথে আমার অবস্থায় একদম খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যদিও গুগল ম্যাপে কিংবা ওয়েদার অ্যাপে খুব বেশি একটা তাপমাত্রা দেখাচ্ছেনা। ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু সেই তাপমাত্রার হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একবার কল্পনা করে দেখুন সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এখন পর্যন্ত সেই লেভেলের গরম পড়ছে যা কোনোভাবেই কমছে না। এতে করে জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আজকের দিনটা অনেকটাই খারাপ গেছে নীলফামারী বাসীর জন্য। কারণ এত পরিমান রোদ এবং গরম ছিল এবং একটুকুও বাতাসও ছিল না আজকে। যার কারণে গরমের প্রভাবটা আরো বেশি হলে মনে হচ্ছে। এতে করে জনজীবন যেরকম অধিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন কাজ করতেও নানান ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। যেহেতু মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়েছে তাই আবার লোডশেডিং এর পরিমাণও কিন্তু বৃদ্ধি পেরেছে। এই টুকটাক কাজ করতে করতেই এদিকে কারেন্ট চলে যাচ্ছে। এই আজকের দিনেই প্রায় চার পাঁচ বার কারেন্ট চলে গেল। একবার কারেন্ট গেলে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে।
আজকের গরমটা কোনোভাবেই সহ্য হচ্ছিল না। আমি সারাদিনই ২-৩ বার গোসল করেছি। এখনো মাত্রা অতিরিক্ত গরম লাগছে। যদিও এখনো রাত হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও সেই প্রভাব এখন লেখা দিচ্ছে। এখনো বাহিরে তেমন কোন বাতাস নেই। কয়েকদিন আগে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলো আমরা অনেকেই কল্পনা করেছিলাম। এই বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়েই হয়তো শীতকাল চলে আসবে কিন্তু সেটা হলো না উল্টো তার বিপরীত অবস্থানে চলে গেল। জানিনা শীতকাল কখন আসবে কিংবা আসবে কি না।
বর্তমানে আমাদের দেশ গ্রীষ্ম প্রধান দেশ হয়ে গেছে। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা পড়তাম বাংলাদেশে ছয়টি ঋতু ছিল কিন্তু এখন খুব বেশি একটা ঋতুর প্রভাব বুঝতে পারা যায় না। শুধুমাত্র একটু বর্ষাকাল এবং একটু শীতকাল বুঝতে পারা যায়। যাইহোক আপনাদের এলাকার কি অবস্থা? আপনাদের এলাকাতেও কি এরকম মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়েছে! তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারীতে মাত্রা অতিরিক্ত গরম
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
বর্তমান ঢাকার ওয়েদার অনেকটা গরম যাচ্ছে সকালের দিকে যদিও বা একটু আকটু ঠান্ডা ভাব থাকে কিন্তু দশটার পর থেকেই শুরু হয় কঠিন তাপদাহ। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে আবার বৃষ্টি হলেও তারপর পরই শুরু হচ্ছে তীব্র গরম। ওয়েদারের কি অবস্থা চলছে। তবে নীলফামারীতেও দেখতেছি খুবই তীব্রমাত্রাই গরম পড়ছে। ৪৪ ডিগ্রি মানে তো অনেক কিছুই।