সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো এবং আগের থেকে অনেকটা সুস্থ রয়েছি। এইতো ঈদের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এই ঈদকে কেন্দ্র করেই প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা থাকে, বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উদ্দীপনা কাজ করে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট বর্তমানে আগের মতো ঈদের সময়টা আমরা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারি না।
বর্তমানে নীলফামারীতে অবস্থান করছি এখানেও নীলফামারীতে ঈদের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। যদিও আমি বাসা থেকে খুব একটা বেশি বের হই না। তারপরও সন্ধ্যার পরে একটু বাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু আমার বাসা বাজারের দিকেই তাই বাজারে গিয়ে একটু বন্ধুদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। তখনই ঈদের আমেজ বুঝতে পারা যায়। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন ঈদ আসার 10-15 দিন আগে থেকেই একটা আনন্দ উদ্দীপনা কাজ করতো। কিন্তু বর্তমানে সেই আনন্দ এবং উদ্দীপনা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে।
মুসলমানদের বছরে দুটা ঈদ হয়। একটি হচ্ছে ছোট একটি হচ্ছে বড় ঈদ। এবার বড় একটি কেন্দ্র করে বর্তমানে পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে আগের বছরের তুলনায় এখনো ততটা জমজমাট হয়ে উঠতে পারেনি। কারণ বর্তমানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এই বৃষ্টিপাতের কারণে ঠিকভাবে পশুর হাট বসতে পারছে না। যার কারণে বিক্রি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমিও গত কয়েকদিন আগে আমার বাবার সাথেই কুরবানীর হাটে গিয়েছিলাম তবে আসাম রূপ কোন ফল পাইনি।
সব জায়গায় দেখাচ্ছিলো পশুর দাম অনেকটা কম কিন্তু তারপরও যখন আমরা হাটে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র মার্কেট যাচাই করার জন্য তখন দেখছিলাম পশুর হাটেও দাম অনেকটা চড়া। তাই এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। যদি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এদিকে ঈদ এবং পুজোর ছুটিতে সকলেই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে আসে। সবাই বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে আর ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। সবাই আমরা একত্রিত হই ঈদের এক দুই দিন আগে। কারণ ওই সময়টা সবাই বিভিন্ন ছুটিতে নীলফামারীতে আসে তখনই বন্ধুরা মিলে একটু আড্ডা দেওয়া যায়, পিকনিক খাওয়া যায় কিংবা অন্যান্য কোন পরিকল্পনা করা যায়। এবারও চিন্তা করছি বন্ধুদের নিয়ে কোন একটি আয়োজন করা যায় কিনা।
সাধারণত এই ঈদে আর তেমন কোন কিছু কেনাকাটা হয় না। কারণ খরচ অন্যদিকে চলে যায়। সবমিলিয়ে এই ঈদের ব্যস্ততা অন্যদিকে এবং সবমিলিয়ে এই ঈদের উদ্দীপনা এবং পরিবারের সকলেই মিলে একসাথে ঈদ উদযাপন করার মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে সেই আনন্দ হয়তো আমরা উপভোগ করতে যাচ্ছি। এর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনাদের সকলকেই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ঈদ মোবারক , ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
ওয়াও @alsarzilsiam, ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে দারুণ একটি পোস্ট করেছেন! আপনার আন্তরিকতা এবং ঈদের স্পৃহা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। নীলফামারীর ঈদের বাজারের চিত্র এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জেনে ভালো লাগলো। ছোটবেলার ঈদের আনন্দের স্মৃতিচারণ মন ছুঁয়ে যায়।
বৃষ্টির কারণে পশুর হাটের বেহাল অবস্থার কথা জেনে খারাপ লাগলো, আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়ে ঈদ উদযাপনের পরিকল্পনাটি দারুণ!
আপনার পোস্টটি একদিকে যেমন ঈদের আনন্দ ও ব্যস্ততা তুলে ধরেছে, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোকপাত করেছে। এমন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক! সবাই মিলেমিশে সুন্দর একটি ঈদ কাটান, সেই কামনাই করি। আপনার অন্যান্য বন্ধুদেরও এই পোস্টে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, ঈদ নিয়ে তাদের অনুভূতিও জানতে চাই।
আপনার লেখায় ঈদের আগের সেই শিশুসুলভ উত্তেজনার কথা পড়ে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল! আসলেই এখন ঈদের আমেজ আগের মতো অনুভব করা যায় না। নীলফামারীতে ঈদের বাজার কেমন হয়েছে তার বর্ণনা খুব সুন্দর লিখেছেন। আমাদের এলাকায়ও একই অবস্থা – বৃষ্টির কারণে পশুর হাটের জমজমাট পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা পিকনিকের পরিকল্পনা শুনে ভালো লাগলো, এমন সামাজিক বন্ধনই তো ঈদের আসল আনন্দ।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। দেখতে দেখতে আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আজহা চলে আসলো। আশা করছি এবছর আমাদের পবিত্র ঈদুল আজহা বেশ ভালো কাটবে সকলের। সকলেই যেন পবিত্র ঈদুল আজহা খুবই সুন্দর ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
ঈদ মোবারক ভাই। কোরবানির পশুর দাম এবার আসলেই অনেক বেশি। তবে কোরবানির পশু গত বুধবার কিনে ফেলেছি। যাইহোক ছোটবেলায় ঈদের সময় ভীষণ আনন্দ লাগতো। কিন্তু সেই আনন্দ এখন একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।