চাকরির দুনিয়া: আশা, হতাশা আর লড়াই
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো আছি। আজ আমি একটি জাতীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলব। যদিও আমরা সকলেই ছোট থেকেই পড়াশোনা করি ভালো একটা চাকরি কিংবা ব্যবসা করার জন্য কিংবা নিজের পায়ে কোন কিছু করার জন্য বা উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। চাকরির প্রতি মানুষের একটা আলাদা দুর্বলতা কাজ করে।
ঠিক যখন ২০১৫ সালে আমি ঢাকায় প্রথমবার গিয়েছিলাম। তখন থেকেই প্রায় জীবনের পথে আমি চাকরি করেছি এবং মাঝেমধ্যে ব্যবসার মধ্যেও কিছু সময় নিয়োজিত ছিলাম। তবে চাকরির জীবনের বিষয়টা আমার কাছে খুবই কষ্টদায়ক বলে মনে হয়েছে। কারণ এই চাকরি মানেই আমাদের কাছে একটি নতুন আশা নতুন স্বপ্ন তৈরি করা। এছাড়াও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটি আত্মনির্ভরশীলতা কাজ করে।
কিন্তু চাকরি করতে গিয়ে যখন আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই কিংবা বড় অফিসারদের কাছ থেকে বকুনি খেতে হয়। তখন আসলে বিষয়গুলো একটু অন্যরকম হয়ে যায়। একসময় আসা আমাদের কাছে হতাশায় পরিণত হয়ে যায়। একপাশে মাথায় চেপে ধরে থাকা বিভিন্ন দায়িত্ব, অন্যদিকে চাকরির ক্ষেত্রে যাওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। এই দুই টানা পরেনের মাঝে আমরা কোথায় যেন হারিয়ে যাই।
কিন্তু তারপরও আমরা অনেকেই লড়াই করতে থাকে। কারণ এই চাকরি ছাড়া আমাদের আর কোন পথ তখন খোলা থাকে না কিংবা যারা একটু দুঃসাহসী তারা চাকরি থেকে নিজে থেকেই অব্যাহতি দিয়ে নিজে থেকে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যাকে আমরা উদ্যোক্তা বলে চিনি। কিন্তু বর্তমানে উদ্যোক্তাদের জীবন আরো কঠিন হয়ে যায় যদি আপনার কাছে কোন পরিমান ক্যাশ না থাকে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট বিজনেস থেকেই আপনাকে বড় কোন বিজনেসের দিকে ধাবিত হতে হয়। কিন্তু এই বিষয়টা যতটা বলা সহজ করা ততটাই কঠিন।
আমি চাকরি জীবন থেকে অব্যাহতি নিয়েছি আরো আজ থেকে দুই বছর আগে। যখন চাকরি করতাম তখন মাথার মধ্যে একটা আলাদা ধরনের পেইন ছিল। যেহেতু অন্যের অধীনে কাজ করা হয় সেহেতু নিজের স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকে না খাতা-কলমে ডিউটি ৮ ঘন্টা হলেও ১০-১২ ঘণ্টাও মাঝেমধ্যে ডিউটি করতে হয়। এছাড়া মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের অডিট এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা হয়। চাকরি ক্ষেত্রে সেই বিষয়গুলো আমাদেরকে হ্যান্ডেল করতে হয়। সব মিলিয়ে প্রতিটা দিন এই চাপে থাকতে হয়।
আবার বিভিন্ন সময়ে আমার ডিউটি শেষ হয়ে আসার পরেও অফিস থেকে ফোন আসে কোথায় কি করেছি না করেছি এই বিষয়ে প্রশ্ন করে আবার মাঝে মধ্যে অফিস আওয়ার এর ব্যতিত আমাদের অফিসে যেতে হয়। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে সাহায্য সহযোগিতা করতে হয়। এটাই নাকি কোম্পানির ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বস্ততার প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয়গুলো আসলে আমাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে ফেলে এবং নিজস্ব সত্তাকে আমরা হারিয়ে ফেলি।
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়গুলো শেয়ার করছি, সব চাকরি ক্ষেত্রেই যে এমনটা ঘটছে তা কিন্তু নয় আবার মাঝেমধ্যে কিন্তু এর ব্যতিক্রম অনেক কিছুই দেখা যায়। যেগুলো আসলে সচরাচর চোখের সামনে আসে না। তবে আমার বন্ধু বান্ধবেরও অনেকেই চাকরি করে তাদের কাছেও একই আমি এক্সপেরিয়েন্স শুনেছি এবং কেউ তাদের নিজের চাকরি ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট নয়। তারপরও আমরা একটি আশা নিয়ে বেঁচে থাকি একটি পরিকল্পনা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং সবসময় লড়াই করতে থাকি। কারণ এই আমাদের ইনকাম সোর্স যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে, এই জীবন নীর্বাহের জন্য।
আপনারা কি মনে করেন এই বিষয়ে তা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজ আর তেমন কিছু লিখছি না। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: চাকরির দুনিয়া: আশা, হতাশা আর লড়াই
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......