ভ্রমণ: জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক (২য় পর্ব)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো এবং সুস্থ রয়েছি। গত দুদিন আগে আমি আমার পরিবারকে নিয়ে জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার অভিজ্ঞতা গুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গত পর্বে আমি বেশ কিছু বিষয় শেয়ার করেছি। আজ সেখান থেকেই শুরু করছি।
আমরা সকলের টিকিট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে ঢুকতেই চমৎকার একটি ওয়াটারফল আমরা দেখতে পারলাম। যেখানে তৎক্ষণিকভাবে কোন ওয়াটারফল এর কোন খেলা হচ্ছিল না। পানির খেলা দেখায় সাধারণত সন্ধ্যার পরে। যাতে করে লাইটিং টা দেখতে আরো বেশ চমৎকার লাগে। যাইহোক পরবর্তীতে আমরা সেখানেই বেশ কিছু সময় অতিক্রম করলাম এবং জায়গাটাও বেশ চমৎকার ছিল এবং এতটাই নিরিবিলি ছিল ঢাকার মধ্যে এরকম মনরোম পরিবেশ পাওয়া আসলেই দুস্কর একটি বিষয়।
এরপরে আরেকটু সামনে এগোতেই আমরা বিশাল এক মাঠ দেখতে পারলাম। হাতের ডান সাইড দিয়ে চলে গেছে এক বৃহৎ নদী এবং সেই নদীর পাড়ে বসার জন্য বড় বড় ব্রেঞ্চ রাখা হয়েছে এবং দেখতেও আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে এবং সেই রাস্তার দুই ধারে লম্বা লম্বা বাঁশের গাছ রয়েছে যা একটি আলাদা লুক দিয়েছে। পার্কের দুই সাইডে রয়েছে বড় বড় গাছ এবং সেই গাছগুলো দেখতে অনেক চমৎকার এবং তথাকথিত যেসব গাছ আমরা আশেপাশে দেখতে চাই তার থেকে অনেকটাই ভিন্ন এবং দেখতে অনেক আকর্ষণীয়।
আমরা মাঠের মধ্য দিয়েই সামনে এগোতে থাকলাম বিশাল। এক মাঠ এবং সেই মাঠের মাঝখানেই রয়েছে শিশুদের জন্য খেলার নানান ধরনের ব্যবস্থা। সেখানেও গিয়ে বেশ কিছু সময় উপভোগ করলাম এবং সেখানেই বসে আম্মু একটু জিরিয়ে নিতে থাকল। যেহেতু আম্মুর শরীরের সমস্যা রয়েছে তাই বেশি হাঁটতেও পারছে না। পার্কের ঠিক মাঝখানে ডাইন সাইডে রয়েছে গণ শৌচাগার এবং সেখানকার পরিবেশ ও মোটামুটি অনেক ভালো ছিল। তার ঠিক সামনেই রয়েছে এক ধরনের গাছের ভুলভুলাইয়া। যেখানে গেলেই আপনারা হারিয়ে যেতে পারেন। এমনভাবে তারা তৈরি করেছে সেখানে বেশিক্ষণ সময় আমরা খেলাধুলা করেছি এবং ভিতরে ঢুকে কেমন যেন সেখানে হারিয়ে গিয়েছিলাম। বের হতো বেশ খানিকটা সময় লেগেছে।
সেই জায়গাটি এত বিশাল ছিল যে আমরা সেখান থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে সেখানকার মাঝখানের একটি টাওয়ারে উঠে আমি সবাইকে নির্দেশনা দেই কিভাবে বের হতে হবে। পরবর্তীতে সেখান থেকে আমিও বের হয়ে যাই। এই বিষয়টি সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে কারণ এ ধরনের বিষয় বাংলাদেশের খুব একটা বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। তার ঠিক সামনেই রয়েছে 3d মুভি দেখা কাউন্টার এবং সেখানে আমরা বেশ কিছু মুভির কিছু দৃশ্য দেখেছে যেতে আসলে একদম বাস্তবিক অর্থেই অনেক চমৎকার লাগছিল। মনে হচ্ছে আমি একদম সিনেমার ভিতরে ঢুকিয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক এরপরও আরও অনেক কিছু আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে। সেগুলো আগামী পর্বে আপনার সাথে আলোচনা করব আজকের মত এখানে শেষ করছি ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ভ্রমণ: জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক (২য় পর্ব)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......