"বাবার বাইক সার্ভিসিং করালাম"

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৬ ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ঢাকা থেকে গ্রামে আসার পরে গ্রামীণ প্রাকৃতির মাঝে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আমি বাড়িতে আসার পরে বাড়িতে যত সময় থেকেছি তার থেকে বেশি সময় থেকেছি বাড়ির বাইরে। এক কথায় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে প্রচুর পরিমাণে ঘুরেছি। যেকোনো জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আমার শখ।

আমি বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। যদিও তেমন কোনো ভালো ভাই এখন পর্যন্ত কিনতে পারি নাই। তবে বাবার একটা পুরনো বাইক আছে সেটা নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ায়। এই বাইকটি বাবা অনেক আগে বেশ শখ করে কিনেছিল। কিন্তু বাবার এই শখের বাইক নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার এক্সিডেন্ট করেছি। আর এক্সিডেন্ট করলে বাইকের অবস্থা কেমন হয়ে যায় সেটা তো আপনারা ভালই জানেন।

তারপরেও বাবা আমাকে কিছু না বলে বারবার বাইক ঠিক করতো। আর আমাকে বলতে যে, বাইক একটু দেখেশুনে চালাবি। আমি এত পরিমাণ এক্সিডেন্ট করতাম যে বাবার বাইক ব্যতীত অন্য কোন বাইক তেমন একটা চালাতাম না এক্সিডেন্টের ভয়। কারণ আমার বাবার শখের বাইক নিয়ে এক্সিডেন্ট করলে বাবা কিছুই বলবে না কিন্তু অন্য কারো শখের বাইক নিয়ে যদি এক্সিডেন্ট করা যায় তাহলে সেই ব্যক্তির মন ভীষণ খারাপ হবে এবং আমাকে হয়তো কটু কথাও বলতে পারে।

অনেকদিন হলো বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বাবা বাইকটি সার্ভিসিং করে না। আমি বাড়িতে আসলে বাবার বাইকটি নিয়েই ঘোরাফেরা করি। তাই ভাবলাম যে, বাবার বাইকটি যদি সার্ভিসিং করে দিই বাবাও বেশ শান্তিতে বাইটা চালাতে পারবে আর আমিও মাঝেমধ্যে ঢাকা থেকে এসে বাইকটা চালাতে পারবো। আর তাই গত পরশুদিন বাইকটি সার্ভিসিং করানোর জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ভিতরে কুষ্টিয়া শহরের দিকে রওনা দিলাম।

কুষ্টিয়া শহরে যে শুধু বাইক সার্ভিসিং করানোর কাজ ছিল আমার সেদিন তেমনটা নয়, আরো অনেক কাজ ছিলো। তবে বাইক সার্ভিসিং করার ওটা মেয়ে উদ্দেশ্য ছিল। আমি বেশিরভাগ সময় বাবার বাইকটি সার্ভিসিং করে থাকি আমাদের খোকসা থেকে। কিন্তু কয়েকদিন আগে খোকসাতে নিয়ে গেলে মেকার জানাই যে, কুষ্টিয়া ছাড়া এখানে এই বাইকে সার্ভিসিং সম্ভব হবে না। কারণ বাবার বাইকে পিছনের চাকার রিংয়ের ভিতরে বেশ কিছু জটিল প্রবলেম হয়েছিল যেগুলো লেদ মেশিন ছাড়া সার্ভিসিং করা সম্ভব হয় না।

তবে পিছনে চাকার সমস্যা ব্যতীত বাইকের আরো কিছু কেনাকাটা করার দরকার ছিল। আমি প্রথমেই কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে ইসলাম অটোতে চলে যায় সেখানে গিয়ে বাইকের সাইড লাইট, প্লাগ নিই। তারপর সেখান থেকে কুষ্টিয়া অয়েল স্টেশনের পাশে একটি গদি ঘরে যায় বাইকের সিটের কাভার লাগানোর জন্য। আমি গদি ঘর থেকে বেশ ভালো মানের একটি কাভার লাগায় ৪০০ টাকা দিয়ে।

বাইকের কাভার লাগানো শেষ হওয়ার পরে বাইকের পিছনের চাকার রিং ঠিক করার জন্য "সালাম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে" গেলাম। আমি অবশ্য আগেই খোকসার মেকারদের কাছ থেকে শুনে গিয়েছিলাম যে কোথা থেকে বাইকের সার্ভিসিং করালে ভালো। তারপর এখানকার ওয়ার্কশপ ওস্তাদের কাছে বললাম যে, বাইকের চাকার নিয়ে প্রবলেম হয়েছে সেটা ঠিক করতে হবে। আর আমাকে খোকসা থেকে যে, মেকার পাঠিয়েছিলো তার নামটা বললাম।

তারপর আমার বাইকের সার্ভিসিং শুরু করলো। ব্রেক শো অনেক পুরাতন হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন ব্রেকশো লাগাতে হয়েছিলো। প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা ধরে লেদ মেশিনে বাইকের চাকার রিং ঠিক করলো। আর আমি তত সময় বসে বসে স্টিমিটে পোস্ট পড়ছিলাম আর রং চা খাচ্ছিলাম। যেহেতু টায়ার খুলে চাকার রিং টা ঠিক করছে তাই বাইকের টিউবলেস করা ছিল সেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপর আবার নতুন করে বাইকের টিউবলেস করতে হলো। তারপর ভাইকে সার্ভিসিং শেষে ওস্তাদকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, মোট কত টাকা বিল হয়েছে। তখন ওস্তাদ হিসাব করে বলল যে, ২০০০ টাকা বিল হয়েছে মোট।

তারপর ওস্তাদকে টাকা দিয়ে বাইক নিয়ে বাড়িতে দিকে রওনা দিলাম। বাবার বাইকটা সার্ভিসিং করে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

বাইক সার্ভিসিং নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার বাবার পছন্দের বাইকটি, বাড়িত আসলে আপনিও মাঝে মাঝে ব্যবহার করেন যেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে বাইক বিগরে গেলে সার্ভিসিং করতে হয়। আসলে আমাদের প্রয়োজনীয় ও নিত্য ব্যবহারের জিনিস গুলোর মাঝে মাঝে যত্ন নেয়া দরকার। আপনি বাইক সার্ভিসিং করে সেই যত্নের কাজটি করেছেন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যাঁ আপু আমাদের উচিত আমাদের প্রয়োজনীয় ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর যত্ন নেওয়া। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আসলে মানুষ যখন বাইরের দিকে যায়, একটা কাজ হাতে নিয়ে যায় না। একাধিক কাজ মাথায় রেখেই বাইরের দিকে যেয়ে থাকে। আপনি ঠিক তেমনি মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করার উদ্দেশ্যে যাননি। পাশাপাশি আরো কাজ ছিল। তবে মেইন উদ্দেশ্য ছিল মোটরসাইকেল সার্ভিসিং। বানানে কয় একটা ভুল রয়েছে, মেয়ে উদ্দেশ্য লেখা হয়ে গেছে মেন এর জায়গায়।

 last year 

আমি যখনই বাইরে যায় না কেন অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়ে একবারে বাইরে যায় যাতে সবগুলো কাজ একসাথে করতে পারি। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অনেক কাজ করাতে হয়েছে দেখছি। যাইহোক খুব ভালো করেছেন আপনার বাবার বাইকটি সার্ভিসিং করিয়ে দিয়ে। সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিনটি পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ ভাবী বাইকে অনেক কাজ করাতে হয়েছিলো। প্রথমে ভেবেছিলাম যে, পনেরশো টাকার ভিতরেই সার্ভিসিং করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু বাইক সম্পূর্ণ সার্ভিসিং করাতে তিন হাজারেরও বেশি টাকা লেগে গিয়েছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবি।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনার বাইক সার্ভিসিং করার পোস্ট টা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো ভাই বাইক একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর যদি ভালো করে সার্ভিস দেওয়া যায় তাহলে এতে তেমন একটা বেশি সমস্যা দেখা যায় না বিশেষ করে ইঞ্জিন ভালো থাকে আপনার মত আমিও অনেক অ্যাক্সিডেন্ট করেছি অনেক জায়গায় মিল পেলাম অনেক ভালো লাগলো পোস্টটা পড়ে।

 last year 

হ্যাঁ ভাই মাঝেমধ্যে বাইক সার্ভিসিং করলে বাইক ভালো থাকে এবং এক্সিডেন্ট এর ভয় কম থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ভাই আপনার পোস্ট পড়েতে গিয়ে আমি তো দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলাম। আপনি এতবার বাইক এক্সিডেন্ট করেছেন, যার কারণে কখনো বাবার মোটর বাইক বাদ দিয়ে, অন্য কারো মোটর বাইক চালানোর চিন্তাভাবনা করতে পারেন না। যাইহোক ভাই, সব সময় খুব সতর্কতার সাথে মটর বাইক চালানোর চেষ্টা করবেন, যাতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা গুলোও না ঘটে। কেননা মোটরবাইক দুর্ঘটনা খুবই ভয়াবহ হয়ে থাকে। যাক এতবার এক্সিডেন্টের পরও আপনার মহৎ বাবা, তার মহৎ হাতে আপনাকে বাইকটি তুলে দেয়, এর চেয়ে বড় পাওয়া আপনার আর কিছুই হতে পারে না হাহাহা। বাবার বাইক সার্ভিসিং নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

সত্যি বলেছেন ভাই মোটরসাইকেলের অ্যাক্সিডেন্টগুলো বেশ ভয়ংকর হয়। আগের মত মোটরসাইকেল এখন আর চালায় না তবে যতটুকুই চালায় দেখে শুনে চালানোর চেষ্টা করি। আমি মনে করি মোটরসাইকেলের এক্সিডেন্ট সবচেয়ে বড় কারণ হলো অতিরিক্ত স্পিড। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর বন্ধু পুকুরে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile