অফিসের কয়েক জন মিলে মজা করে কাঁঠাল খেলাম।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু/আদাব।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ১৫ জুলাই ২০২৪ ইংঃ সোমবার ।

বাংলায় ৩১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।

আরবি ০৮ মহররম ১৪৪৫ হি:।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু কি আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করি। তেমনি আজকেও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।

IMG_20240701_101440.jpg

কপালের কি মিল বুঝি না আমি ডিউটি থাকলেই একটা না একটা কিছু হবেই। আসলে কপালে থাকলে যা হয় আর কি। সেই ভোর ৬ টার সময় এসেছি ডিউটি করতে। আমার ডিউটি ছিলো সকাল ১০ টা পর্যন্ত। করতে আসার পর থেকে আর বাড়ি যাওয়া হয়নি যার কারণে দশটা পর্যন্ত আমাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। সবাই যখন সকালের নাস্তা শেষ করলো তখন আমার এক বড় ভাই এসে বললো যে সুন্দর দিন যাচ্ছে এই দিনে কাঁঠাল না খেলে কি ভালো লাগে নাকি। সে আমাকে বললো চলো ভাই দেখে আসি গাছে কোন কাঁঠাল পেকেছে কি না। আমি ও আমার বড় ভাই মিলে গেলাম বাগালের দিকে। হাতে একটা লম্বা লাঠি নিলাম কাঁঠাল বাড়িয়ে পরিক্ষা করার জন্য। আমারা দুই জনে মিলে ঘুরে ঘুরে সব গুলা গাছ খুঁজে দেখতে লাগলাম। ৩-৫ টা গাছ দেখার পর একটা গাছের কাঁঠাল পাকা পেলাম। কাঁঠালটা হাতের কাছাকাছি ছিলো যার কারনে গাছে উঠার প্রযোজন পড়েনি। নিচ থেকে হাত দিয়ে কাঁঠাল পেড়ে ফেললাম।

IMG_20240701_101427.jpg

জায়গা মতো নিয়ে এসে হাত দিয়ে কাঁঠাল ভেঙে ফেল্লাম। সবাইকে ডাকা হলো কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। কিন্তু সবাই কাঁঠাল খেতে ভয় পেলো সবাই বল এই গরমে কাঁঠাল খাওয়া যাবে না এই গরমে কাঁঠাল খেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে ওস্তাদ, ফরিদুল ভাই আর আমি মিলে কাঁঠাল খাওয়া শুরু করলাম। কাঁঠালটা খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু আপনারা হয়তো কাঁঠাল দেখেই বুঝতে পারছেন।

খুব মজা করে খেয়েছি তবে সকালের নাস্তা না করতে পারায় খুব একটা বেশি খেতে পারিনি। তাও ৪৫-৫০ টা সার খেয়েছি তবে পেটে একটু ভাত পড়লে হয়তো আরও বেশি খাইতে পারতাম। যাই হোক যা খেয়েছি এতেই অনেক।

IMG_20240701_101419.jpg

আমার আমারদের ওস্তাদ ৫-৬ টা খেয়ে আর খেতে পারলো না। আমার খাওয়া দেখে সবাই অবাক আমি যে এত কাঁঠাল খেতে পারি সেটা কেউই জানতো না। এদিকে ফরিদুল ভাই কোন কথা না বলেই কাঁঠাল খেতেই চলেছে। কাঁঠালটা খুবই স্বাদ এত স্বাদ যে ভোলার মতো না।সবাই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। যাই হক কম বেশি সবাই মিলে কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা।


পোস্টের ধরনলাইফ স্টাইল
পোস্টকারীমোঃ আশিকুর রহমান।
ডিভাইসরেডমি নোট ০৮
লোকেশনপাবানা


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। বাইক নিয়ে ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া আর ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


Logo.png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

সবাই মিলে একসাথে পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা ভাইয়া। তবে এটা শুনে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেলাম যে আপনি ৪৫ থেকে ৫০ টা সার খেয়ে ফেলেছেন। আমি আপনার মত কাঁঠাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি কিন্তু খুব বেশি হলে পনেরোটা সার খেতে পারি। যদি মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয় খেতে তাহলে। আপনি তো দেখছি অনেক কাঁঠাল প্রেমিক। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।

 last year 

আমি যে কোন ফল খেতে অনেক পছন্দ করি তবে আম,কাঁঠাল, কলা, লিচু এই ফল গুলা বেশি পছন্দ করি। আপনিও কাঁঠাল খেতে অনেক পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু

 last year 

সকাল ছয়টা থেকে যেহেতু ডিউটি হয় তাহলে তো বেশ ভালোই পরিশ্রম হয় ভাইয়া। কাঁঠাল খাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া ভালো লাগার মুহূর্তগুলো সবার মাঝে শেয়ার করতেও ভালো লাগে।

 last year 

গভির রাতেও ডিউটি পড়ে আপু তবে কষ্ট হয় না। শুকরিয়া আপু সুন্দর মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

সকল ফলের মধ্যে কাঁঠাল আমার ভীষণ প্রিয়। এর স্বাদ যে একবার নেয় সত্যিই সে কখনো ভুলতে পারে না। আর আস্ত কাঁঠাল খাবার মজাই আলাদা। আপনার ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পারছি কাঁঠালটি আপনাদের সকলকে কিছুটা সময় বেশ আনন্দ দিয়েছে। সকলে মিলে এমন ভাবেই আনন্দ করে থাকার নাম জীবন। পোস্টটি খুব ভালো লাগলো। আর কাঁঠালের গন্ধ ভেসে এলো এই সুদূর প্রান্তরেও। শুভেচ্ছা।

 last year 

আপনার লেখা গুলা পড়তে বেশ ভালো লাগে ভাই। একবার পড়ার পর আরেক বার পড়তে ইচ্ছা হয়। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আনন্দ করে থাকা নামই জীবন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

 last year 

আমিও তেমন কাঁঠাল খেতে পারি না। অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রচুর কাঠাল খেতে পারে। একটু শক্ত কাঁঠাল হলে সর্বউচ্চ পাঁচটা কোয়া খেতে পারি। আপনি তো ভালোই কাঁঠাল খেতে পারেন। ধন্যবাদ।

 last year 

আমার ২ বছরের ছেলে আপনার থেকে বেশি কাঁঠাল খেতে পারে ভাই। আসলে সবাই সব কিছু খেতে পারে না।

 last year 

ভাইয়া আপনি সকাল ছয়টা বাজে ডিউটি হলে তো আপনি কড়া ডিউটি করেন। আর কাঁঠাল খেতে কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনারা দেখতেছি গাছ থেকে কাঁঠাল নিয়ে খুব মজা করে খেয়েছেন। তবে আপনার ওস্তাদ মনে হয় তেমন কাঁঠাল খেতে পারে না এই কারণে পাঁচ ছয়টা খেয়েছেন। খুব মজা করে কাঁঠাল খেলেন এবং আমাদের মাঝে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last year 

আপনিও দেখছি কড়া ডিউটি বোঝেন যাক জেনে ভালো লাগলো। জ্বি আপু আমার ওস্তাদের কাঁঠাল তেমন একটা পছন্দ না।