ভ্রমণ :- হাজবেন্ডের সাথে চর এলাহী জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বিগত কয়েক মাস আগে হাসবেন্ডের সাথে চর এলাহি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। মাঝেমধ্যে হাজবেন্ডের মাদ্রাসা বন্ধ থাকলে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। বিগত কয়েক মাস আগে হাজবেন্ডের মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে তার সাথে আমি এবং মেয়ে ঘুরতে গেলাম। আর আমার হাজবেন্ডের মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক তাদের পরিবার নিয়ে চর এলাহী ঘুরতে গেল। তখন আমার হাজবেন্ড ও আমাকে সাথে করে নিয়ে গেল। আর চর এলাহী জায়গাতে আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে হবে। আর ওই জায়গাতে শুধু চর আর চর। আর এই কারণে ওই জায়গাটির নাম হচ্ছে চর এলাহী। তবে জায়গাটি খুব সুন্দর আমি অনেকবার শুনেছিলাম অনেকের মুখ থেকে।

একদিন আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই বাইর হলাম চর এলাহী উদ্দেশ্যে। কারণ চর এলাহী ওই জায়গার মধ্যে তেমন কোন রেস্টুরেন্ট নেই। শুধু কিছু দোকান আছে হাতের নাস্তা বিক্রি করা হয়। এই কারণে আমরা বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাহির হলাম। আর আমার হাজব্যান্ড তারা কয়েকজন মিলে একটি মাইক্রো গাড়ি ভাড়া করেছিল। যদিও সব শিক্ষকের তাদের ওয়াইফদেরকে নিয়ে গেলেন। এই কারণে আমিও আমার হাজবেন্ডের সাথে গেলাম। তবে গাড়িতে ওঠার পর হঠাৎ করে আমার মাথা চক্কর দিয়ে বমি হল। এরপর আমার হাজব্যান্ড একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিলেন খাওয়ার পর ঠিক হলো।

আর আমরা প্রায় দেড় ঘন্টার মধ্যে চর এলাহী জায়গার মধ্যে পৌঁছে গেলাম। তবে ওইখানে গিয়ে একদম অবাক হয়ে গেলাম। কারণ ওইখানে বাড়ি ঘর খুবই কম। চারপাশে শুধু ফসলের মাঠ। আর যতটুকু চোখ যায় শুধু ধান ধান। কারণ পাকা ধান দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগলো।। কিছু ধান মানুষ কাটলো আর কিছু ধান গাছের মধ্যে ধান পেকে রইলো। আর সত্যি বলতে এরকম ধানক্ষেত আমাদের এই দিকে দেখা যায় না। আর ওই সময় বৃষ্টিও ছিল না প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিন্তু অসাধারণ ছিল। যদিও ওই সময় গরম ছিল মোটামুটি অনেক। আর আমরা যখন ওইখানে গেলাম তখন বিকেল হয়ে গেল। তখন দেখি মানুষও মোটামুটি কম।

আর মাদ্রাসার সবাই হুজুর বিদায় কারো ফটোগ্রাফি বা তাদের ওয়াইফের ফটোগ্রাফি আমি করি নাই। তবে আমার মেয়ে সারাক্ষণ তার বাবার সাথে ছিল। আর ওইখানের পরিবেশ চরের কারণে দেখতেও কিন্তু ভালো লাগলো। চারপাশে ঘরবাড়ি কম নির্জন পরিবেশ দেখতে অন্যরকম লাগলো। আর প্রত্যেক বাড়ির সামনে ধানের সিন আছে। আর ওই দিকের মানুষগুলো বেশিরভাগ ফসল করে জমির মধ্যে। এবং এই সব জায়গাতে দূর থেকে রাতের বেলা গেলে ভয়। কারণ মানুষ খুব কম আর বাহির থেকে মানুষের নিয়ে ঘুরতে যায়। ঐদিন আমরা কয়েকজন মিলে ঘুরতে গেলাম সত্যি খুব ভালো লাগলো।

আর যাওয়ার সময় আমার হাজব্যান্ড এবং মাদ্রাসার শিক্ষকগুলো কিছু নাস্তা নিয়ে গেল এখানে।। আমরা ওইখানে বসে নাস্তাগুলো খেলাম। যদিও আমরা মহিলারা গাড়ির মধ্যে বসে নাস্তা খেলাম। আর ওই সময় সূর্য গাছের উপর থাকার কারণে দেখতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক ভালো লাগলো। ওই সময় আমি আরো কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে আমরা আসরের পর এবং মাগরিবের আগে ওইখান থেকে আবার রওনা দিলাম। কারণ এইসব জায়গাগুলো নিরিবিলি। দূর থেকে মানুষ গেলে সন্ধ্যার পরে ভয় আছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলে এসব জায়গাতে যাওয়া দরকার। চর এলাহী জায়গাটি যেমন চর বুঝাই। তেমনি ওই জায়গার মধ্যে গেলে বড় বড় ফসলের মাঠ দেখলেই বোঝা যায় জায়গাগুলো এখনো চর। আর এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। এই হচ্ছে চর এলাহী ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰