গল্প:- মা মারা গেলে বাবা হয়ে যায় পর।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মা মারা গেলে বাবা হয়ে যায় পর। বর্তমানে অনেক সময় দেখা যায় বাবা মারা গেলে মা ছেলে-মেয়েকে সুন্দর করে লালন পালন করে এবং মানুষ করার চেষ্টা করে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মা মারা গেলে বাবা হয়ে যায় সে সময় পর। মায়ের মত বাবা ছেলে মেয়েকে মানুষ করে না। আর ওই সময় বাবা চিন্তা করেন নিজের কথা। আর কিন্তু মা সবসময় ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে। আমাদের এইখানে একটি পরিবারে দুটি ছেলেমেয়ে আছে। ছেলে মেয়েগুলো এখনো ছোট। একজনের বয়স ১২ বছর আরেকজনের বয়স ৮ বছর। হঠাৎ করে এমন অবস্থা ছেলে-মেয়ে দুইজনের মা মারা গেল।

আর মা মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেমেয়ে দুটি অসহায় হয়ে পড়েছে। যদিও কিছুদিন যাবত বাবা অনেক আদর করত ছেলে-মেয়ে দুজনকে। এখন বাবা নতুন করে বিয়ে করার কারণে ছেলেমেয়ে দুজনকে দেখতে পারে না। বিয়ের পর থেকে ছেলে মেয়ে দুইজনকে বাবা দেখলে বকাঝকা করে এবং অনেক সময় মারধর করে। আর বর্তমানে যে মহিলাকে সেই বিয়ে করেছে ওই মহিলা যাই বলে সেই কথা শুনে। আর লোকটির নাম হচ্ছে আব্দুর রহমান। আব্দুর রহমানের ছেলের নাম হচ্ছে তুহিন মেয়ের নাম হচ্ছে অহনা। আর ছোট ছোট বাচ্চা দুজনকে দেখলে সত্যি অনেক মায়া হয়।

তবে বাবা ছেলেমেয়ে দুজনের কথা একদম শোনে না। তাদের সৎ মা কিন্তু ঠিকমতো তাদেরকে খাওয়া-দাওয়া দেয় না। কারণ খাওয়া দাওয়া না দিয়েও বলে সে খাওয়া-দাওয়া দিয়েছে। আর সৎমা মিথ্যা কথা বললেও ওটাই সত্য কথা প্রমাণিত হয়। যদি ওর ছেলে মেয়ে দুজন ছোটোর কারণে কিছুই বলতে পারে না। তবে ছেলে মেয়ের দুইজনের ভাগ্য ভালো তাদের দাদি বেঁচে আছে। আর এই দুই ছেলে মেয়ের জন্য দাদী আব্দুর রহমানের সাথে ঝগড়া করে। আর দাদিকে কিছু খেতে দিলে দাদি না খেয়ে তার নাতি এবং নাতিন কে দিয়ে খাওয়ার জন্য। এবং দাদী নিজে চেষ্টা করে দুইজনকে মানুষ করতে।

যদিও দাদি বৃদ্ধ হয়ে গেছে দাদীর হাতে কোন টাকা-পয়সা নাই। তবে দাদীর ভালোবাসা দেখলে সবাই তাদের কথা সুনাম করে। এবং জন্মদাতা বাবা মা মারা যাবার পর থেকে আস্তে আস্তে পর হয়ে গেল। আর বিয়ে করার পর তো আরো বেশি পর হয়ে গেল। এতে করে বোঝা যায় বাবা জীবিত থাকলে টাকা ইনকাম করে। আর মা জীবিত থাকলে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করে এবং পরিবারকে সুন্দর করার চেষ্টা করে। আর মায়ের মতো ভালোবাসা কেউ দেয় না। কারো মায়ের মতো ভালোবাসা এই পৃথিবীতে কারো সাথে তুলনা করা যায় না। আর মা হচ্ছে ছেলে মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। কারণ মায়ের কাছে ছেলে মেয়ে থাকে চোখের মনি।

আর মা মারা গেলে তখন বোঝা যায় ছেলেমেয়েদের কষ্ট। আমাদের পাশের বাড়ি বিদায় আমরা অনেক সময় দেখি এবং শুনি ছেলেমেয়ে দুজনকে জন্মদাতা বাবা দেখতে পারে না। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো খাওয়া দাওয়া কষ্ট করে। তাই আমি মনে করি এ ধরনের ছেলেমেয়েগুলোকে মা-বাবার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন সবাই খেয়াল রাখা দরকার। জানি মায়ের ভালোবাসা কখনো পূরণ হবে না। তবে সবাই যদি একটু ভালোবাসা দেখায় ছেলেমেয়েগুলো মানুষ হবে। কারণ হয়তো এই ছেলে মেয়েগুলো কষ্টের কারণে একসময় খারাপ হয়ে যাবে। আর ছোট বাচ্চারা যেখানে আদর পায় তার কাছে বেশি থাকে। তাই মা না থাকলেও অন্যান্য মানুষগুলো তাদেরকে ভালোবাসা এবং আদর করা দরকার। আশা করি আমার এই পোস্ট করে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে