গল্প :- মানুষ তার কর্মের ফল ঠিক একদিন পেয়ে থাকে।(প্রথম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


against-light-7572922_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি মানুষের জীবনের গল্প। যদিও এই কথাগুলো আমি আমার হাজবেন্ডের মুখে শুনেছিলাম। আমার হাজবেন্ডের একজন মামাতো ভাইয়ের কাহিনী। আমার হাজবেন্ডের মামাতো ভাই ছিল আমার হাজবেন্ডের ক্লোজ বন্ধু। এবং দুইজন একসাথে লেখাপড়া করেছিলেন। এই কারণে তাদের মধ্যে ভালই সম্পর্ক ছিল। তবে আমার হাজবেন্ডের মামাতো ভাই তাদের ক্লাসে রোল ছিল এক। এবং ক্লাসের প্রথম ছাত্র হিসেবে তার কদর ছিল অনেক। এবং তার বাবাও ছিল একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। সে হিসাবে সেই যে কথা বলে তার কথাগুলো সবাই শুনে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সে কয়েকজনের সাথে প্রেম করতেন।

তার নাম হচ্ছে পারভেজ। পারভেজ ভাই মেয়েদের সাথে প্রেম করে টাইম পাস করতেন। সে মন থেকে কখনো কারো সাথে প্রেম করে নাই। এবং সে তার ক্লাসের মেয়ের সাথেও প্রেম করেছেন। এবং নিচের ক্লাসের মেয়েদের সাথেও প্রেম করতেন। বলতে গেলে সে একজন প্রেমিক ছিলেন। যে কেউ তাকে প্রেমের অফার দিলে সে ওই প্রেম করার জন্য রাজি হয়ে যেতেন। তবে একটু চালাক মানুষ ছিল। একদিন এক এক প্রেমিকার সাথে দেখা করেছেন। যখন সে এসএসসি পাস করে কলেজে গেল তখন তার প্রেমিকা আরো বেড়ে গেল। ওই সময় সেই কলেজ এবং বিভিন্ন জায়গা মেয়েদের সাথে প্রেম করতেন। আর প্রেম করা হচ্ছে তার পেশা।

যদিও সে অনেক সুন্দর এবং শিক্ষিত লোক বর্তমানে। আর ওই সময় ছাত্র হিসেবে ভালো থাকার কারণে তার সাথে বেশিরভাগ স্কুলের মেয়েরা প্রেম করার জন্য চেষ্টা করতেন। তবে বাড়ির পাশে একটি মেয়ের সাথে সেই ভালই প্রেম করেছিল। এবং মেয়েটির মন পান দিয়ে তাকে ভালবাসতেন। আর মেয়েটি পারভেজ ভাইকে ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। পারভেজ ভাই যখন স্কুল বা কলেজে যাইতেন তখন মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকতো তাকে দেখার জন্য। যদিও মেয়েটি অন্য মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন। তবে মেয়েটির নিঃশ্বাসে এবং বিশ্বাসে পারভেজ ভাই ছিলেন। আর মেয়েটির নাম হচ্ছে সুমি। তবে সুমি খুব সুন্দর এবং ভদ্র মেয়ে ছিল। আর সুমির বাবার অনেক টাকা পয়সা ছিল।

আর সেই হিসাবে পারভেজ ওই মেয়ের সাথে প্রেম করে তার থেকে টাকা নিতেন। আর মেয়েটি সব সময় পারভেজকে টাকা দিতেন সুন্দরভাবে চলার জন্য। আর বেশিরভাগ মেয়েরা চায় তার ভালোবাসার মানুষটি সুন্দর এবং সুখে থাক। তবে যখন সুমির জন্য অন্য কোন জায়গা থেকে বিয়ের জন্য আসতেন। তখন সুমির তাল বাহানা করে বিয়ে নষ্ট করে দিতেন। যদিও সুমি জানে পারভেজ অন্যান্য মেয়ের পিছনে ঘুরে। তবে সুমি মনে করলো পারভেজকে বিয়ে করলে পরে ও ঠিক হয়ে যাবে। যখন সুমি অন্য জায়গায় বিয়ে বসতে চাচ্ছেন না। তখন তার বাড়ির কিছু লোক বলতে লাগলো পারভেজকে একটু যাচাই করার জন্য। কারণ ছেলে হিসেবে সেই একদম ভালো না। তাকে যেন বলে তোমাকে বিয়ে করার জন্য।

তখন সুমি পারভেজকে বলতে লাগলো তাকে বিয়ে করার জন্য। ওই সময় পারভেজ কলেজে পড়ে এবং সুমি ও কলেজে পড়েন। তবে যখন সুমি তাকে বিয়ে করার জন্য বলল। তখন পারভেজ তুমি কি বিয়ে করার জন্য রাজি না। আর ওই সময় পারভেজ তার কলেজে অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেম করেন। তবে সুমি কান্নাকাটি করে বলতে লাগলো পারভেজ যদি বিয়ে না করে সে মারা যাবে। আর ওই সময় পারভেজ হেসে হেসে বলতে লাগলো তোমার সাথে আমি প্রেম করেছি। বিয়ে করার জন্য না। আর আমি এইরকম আরো অনেক মেয়ের সাথে প্রেম করেছি। আর এই কথা শুনে শুনে একদম ভেঙে পড়েছে। তখন সুমি বলেছে তুমি বিয়ে করলে তোমার ওয়াইফ এতই খারাপ চেহারা পড়বে। তখন তাকে নিয়ে তুমি কোথাও যেতে পারবে না। যাই হোক আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। (চলবে)

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Hello @bdwomen!

This post is captivating! I appreciate you sharing this intriguing story about Parvez. The narrative is well-paced, and I'm already hooked! His relationships with Sumi and the other girls create a compelling drama, and I'm eager to know what happens next. The cliffhanger is excellently placed, leaving readers wanting more! I'm particularly interested to see if Sumi's prediction about Parvez's future comes true.

Thank you for sharing your talent for storytelling with the Steemit community. I will be looking forward to part 2!

 11 days ago 

Screenshot_2025-07-08-20-06-49-358_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-08-20-05-48-973_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-08-20-03-46-942_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-08-17-50-49-968_com.twitter.android.jpg