গল্প :- সরল মনের বড় চালাক মানুষ। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

ক কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

googley-bear-798379_1280.jpg

এর আগে আমি আপনাদের মাঝে এই গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে দেখতে দেখতে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এরপর তার বাড়ির লোক বলতে লাগলো তাহলে আহসান মিয়া যখন আসবে তখন গাছ কাটার জন্য। আর আহসান মিয়া বাড়িতেও কিছু বলে যায়নি গাছ বিক্রি করার ব্যাপারে। এরপর তার বাড়ির মুরুব্বীটি তিনজনকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিলেন বাড়িতে। এবং বলল যখন আহসান নিয়ে আসলে তখন সেই নিজে খবর দিয়ে এটি সমাধান করে দেবে। এবারে আহসান মিয়া প্রায় দুই মাস পর্যন্ত বাড়িতে আসলো না। এরপরে একদিন বাড়িতে আসলো তখন যাদের কাছে গাছ বিক্রি করেছে তাদের সাথে দেখা করলেন। গাছ বিক্রি করা নিয়ে লোকগুলো তার সাথে ঝগড়া করতে চাইলো। তখন আহসান মিয়া তাদেরকে বলল কাল সকালে গাছের ব্যাপার নিয়ে সেই বসবেন। এবং গাছ কেন তিন জায়গা বিক্রি করল এই নিয়ে কথা বললে তখন সে বলতে লাগলো কালকে সমাধান হবে।

এর পরের দিন যখন গ্রাম্য বিচার বসলেন। তখন গাছ কিনা তিনজনে বলতে লাগলো তাদের কাছ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা নিলেন। এরপর আহসান মিয়াকে জিজ্ঞেস করলেন ব্যাপারটি সত্য নাকি। তখন আহসান মিয়া বলতে লাগলো সেই গাছ বিক্রি করেছে তিনজনের কাছে। এবং তাদের থেকে সে গাছের টাকাও নিলেন। এরপর আসান মিয়া সবাইকে বলতে লাগলো এই গাছ কত টাকা যাবে। এই গাছ ২০০০ টাকা বিক্রি করার গাছ নাকি। তখন সবাই বলতে লাগলো এই পাঁচ হাজার টাকার উপরে যাবে। এরপর আহসান মিয়া বলতে লাগলো আমার বাড়িতে কিছু নেই। আমি অভাবের কারণে গাছ বিক্রি করব বললাম। আর এই কারনে সবাই আমাকে এই গাছ দুই হাজার টাকা বললো। এবং আমি অভাবের কারণে তাদের থেকে এই টাকাগুলো নিয়েছি।

তবে আমার এই গাছ 5000 টাকার উপরে যাবে। তাদের আক্কল বা জ্ঞান কিছু নেই। তারা আমার অভাবের সুযোগ নিয়ে অল্প দাম বলে গাছ কিনলো। এখন আমার কথা হচ্ছে যে ৫ হাজার টাকা দিতে পারবে সে এই গাছ নিতে পারবে। কারণ এত বড় গাছ ২০০০ টাকা কেউ দেবেনা। আর তারা যে গাছ কিনেছে তার কোন প্রমাণও নেই। এরপর গ্রাম্য চাল্লিশ এর মধ্যে এটি সমাধান করলেন। এবং বিচারের রায় হল যেই ৫ হাজার টাকা দিতে পারবে সেই এই গাছ নিতে পারবে। আর তখন যারা গাছ কিনলেন তারা বলতে লাগলো এই গাছ তারা নেবে না। তাদের টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর আহসান মিয়া ঐ সময় সাথে সাথে তাদের টাকাগুলো দিয়ে দিলেন। কারণ চট্টগ্রাম গিয়ে চাকরি করে সেই টাকাগুলো নিয়ে আসলো।

আর যখন যে সময় গাছ বিক্রি করেছ ওই সময় তার হাতে টাকা ছিল না বিধায় এই নাটক করেছে। আর পরে টাকাগুলো দিয়ে সেই তার ঋণ শোধ করলো এবং গাছটিও রেখে দিল। এরপর বিচারে অনেকে বলল আহসান মিয়াকে আমরা সহজ সরল মনে করলাম। তবে আহসান মিয়া অনেক চালাক মানুষ। সব মানুষকে তার কথা দিয়ে বোকা বানিয়ে দিলেন। আর এই লোকের কথার মধ্যে অনেক প্যাচ আছে। তারপর ওইখানে তার গাছের সমাধান হলো। বাড়িতে গিয়ে সে তার ওয়াইফ কে বললেন। এই নাটক না করলে ওই সময় সেই ঘরের জন্য বাজার করে আনতে পারতেন না। এই কারণে সেই তিনজনের কাছে এক গাছ বিক্রি করলেন।

এবং একই দিন সেই গাছ কাটার টাইম দিয়েছেন। এবং সেই তার ওয়াইফ কে বলতে লাগলো তিন জন যখন গাছ কাটতে আসবে তখন ঝগড়া করে গাছ কাটবে না। তারপর আমার জন্য তারা অপেক্ষা করবে। এই কারণে গাছ আমি তিনজনের কাছে বিক্রি করেছি। তার চালাকি দেখে তার ওয়াইফও অবাক হয়ে গেলেন। কারণ যাকে সে এতদিন সহজ সরল মনে করলো আসলে সে অনেক চালাক মানুষ। আর আহসান মিয়াকে যারা সহজ সরল মনে করত তারা কিন্তু পরে তাকে চালাক মানুষ বলতেন। আর আহসান মিয়ার ঠান্ডা মাইন্ডের অনেক নাটক করলো। এখনো তার কথা বলে অনেকে হাসে। আমার শাশুড়ির মুখে গল্পটি শুনে আমার নিজের কাছেও হাসি আসলো। তার আরো অনেক কাহিনী আছে আমি আশা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আমার গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemPro

Sort:  
 22 days ago 

Screenshot_2025-08-31-18-20-15-703_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-08-31-18-18-24-810_com.twitter.android.jpg

 21 days ago 

আজকে আপনার গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আহসান মিয়া দেখলাম তো বড় চালাক লোক। আর নিজের সুবিধার জন্য গাছ তিন জায়গা বিক্রি করলেন। হয়তোবা লোকটিকে দেখলে মনে হয় বোকা তবে তার আচরণ কিন্তু চালাক। গল্পটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।