আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ফুলবাগানে পানি সেচ দেওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ রবিবার। ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি সেই ছোটবেলা থেকেই ফুল অধিক পছন্দ করি। শুধু তাই নয়, ফুল গাছ লাগাতে এবং ফুলের বাগান তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। ফুলের বাগান তৈরি করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি শখের কাজ। যাহোক, আমি যখন ছাত্র অবস্থায় ছিলাম তখন আমার বাড়ির উঠানের একপাশে সুন্দর একটি ফুলের বাগান তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সেই বাগানটি বেশিদিন স্থায়ী করতে পারেনি। কারণ, আমাদের চাষী পরিবারে ছাগল পালন অন্যতম প্রধান একটি কাজ ছিল। আমাদের বাড়িতে প্রায় সারা বছরই তখন পাঁচ-সাতটি করে ছাগল থাকতো বা ছাগল পালন করা হতো। আর সেই ছাগলের কারণেই আমার ফুলের বাগান বিনষ্ট হয়ে যেত।
যাহোক, ছাত্র জীবন শেষ করে কর্মজীবনে এসেই ফুলের বাগান তৈরি করার বারবার চেষ্টা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে রাজি করে আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুন্দর একটি ফুলের বাগান তৈরি করেছি। ফুলের বাগানটি আমাদের অফিস বিল্ডিং এর এক্কেবার সামনে। আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণের ফুলের বাগানে বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগানো হয়। কিন্তু এখানে দুঃখের বিষয়, আমাদের বিদ্যালয়ে পাঁচ জন কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও তারা চোখে দেখে কাজ করতে চায় না। আবার হুকুম করলেও সহজে সেই কাজ করতে চাই না, যখন আমাদের প্রধান শিক্ষক একটু কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন তখন বেশ কাজ করতে থাকে তারা।
কয়েকদিন যাবৎ দেখছি আমাদের ফুলবাগানের মাটি একেবারেই শুকিয়ে গেছে। আর এমনিতেই শীতের একটি মৌসুম গেল, শীতের মৌসুম মানেই তো একটি শুষ্ক ঋতু। যার কারণে আমাদের ফুলবাগানের মাটি একেবারেই শুকিয়ে গেছে অথচ ফুল বাগানে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে না। তাই আমি নিজ দায়িত্বেই আমাদের স্কুলের মোটর পাম্পে পাইপ লাগিয়ে আমাদের ফুলবাগানে পানি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। আর তখন আমার এই দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রধান শিক্ষক কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দিলেন, দ্রুত ফুল বাগানের প্রত্যেকটি গাছের গোড়ায় পানি সেচ দেওয়ার।
যাহোক, পাইপ দিয়ে যখন আমাদের ফুল বাগানে পানি দিচ্ছিলাম তখন আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী দাঁড়িয়ে দেখছিল। ফুলবাগানে পানি দেওয়ার মুহূর্তটি আমার জন্য বেশ আনন্দের ছিল এবং আমার খুবই ভালো লেগেছিল। প্রত্যেকটি ফুল গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, পুরো ফুলবাগানের মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছিলাম। যাতে পুরো বাগানের মাটি একরসা হয়ে যায়। ফুল বাগানের প্রত্যেকটি গাছ পানি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো যেন গাছগুলো স্বস্তি পেল। আসলে ফুলবাগান তৈরি করার জন্য এবং ফুলবাগানের পরিচর্যা করার জন্য আলাদা একটি মন থাকা দরকার। যাহোক আমি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করি আমাদের বিদ্যালয়ের ফুল বাগানের যত্ন নেওয়ার।
বর্তমানে আমাদের ফুলবাগানে আরো বেশ কয়েকটি ফুলের গাছ লাগানোর জন্য আমি আমার প্রধান শিক্ষক নিকট প্রস্তাব করেছি। তবে প্রধান শিক্ষক বললেন, রমজান মাসের ছুটির পরে ফুলের গাছ লাগানো হবে। আমিও চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, প্রধান শিক্ষকের কথাটাই সঠিক। যাহোক বর্তমানে আমাদের স্কুল প্রাঙ্গণের ফুলবাগানের অবস্থাটা মোটামুটি সন্তুষ্ট জনক। আশা করি আগামী দিনে আমাদের ফুলবাগানটি আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
আজকের কাজ সম্পন্ন।