জেনারেল রাইটিং || অনলাইন NFC পেমেন্ট কতটা নিরাপদ!
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একেবারে অসাধারণ একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আজকের এই পোস্টের টাইটেল দেখে আপনারা বুঝে গিয়েছেন যে আজকে আমি কি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই পোষ্টের মধ্যে আমি যে বিষয়টি শেয়ার করব তার মধ্যে যে অনলাইন পেমেন্টের বিষয়টি রয়েছে সেটি আমরা সকলেই জানি। অনলাইন পেমেন্ট সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা রয়েছে। আমরা সবসময় অনলাইন পেমেন্ট এর ব্যাপারে অনেক কিছু দেখে আসছি। তবে আমাদের দেশে এখনো অনলাইন পেমেন্ট এত বেশি পরিমাণে চালু হয়ে যায়নি। তবে বিভিন্ন দেশে এই অনলাইন পেমেন্ট এত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছে যে তারা সবসময় অনলাইন পেমেন্ট এর উপরে বিশ্বাসী। অন্য কোন ধরনের পেমেন্ট তারা করেই না।
তারা সব সময় অনলাইন পেমেন্ট করে এবং তারা কোন ধরনের ক্যাশ ব্যবহার করে না। শুধুমাত্র অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে তারা যেকোনো ছোট থেকে বড় ধরনের পেমেন্ট গুলো করে থাকে। এই অনলাইন পেমেন্ট এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের জীবনকে অতিবাহিত করছে। তবে এই অনলাইন পেমেন্টের সুবিধার পাশাপাশি অনেকগুলো অসুবিধা রয়েছে। সুবিধা হচ্ছে আমরা যেরকম ক্যাশ নিয়ে হাঁটাচলা করি এবং এই ক্যাশ গুলো বিভিন্নভাবেই আমাদের হাতের স্পর্শ পায় এবং একের পর এক স্পর্শ পেয়ে এগুলো অনেক মানুষের হাতে যায়। এগুলো কিছু কিছু মানুষের হাতে এমন ভাবেও যায় যা হয়তো আর টাকা হিসেবে ধরাও যায় না। এর অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায় এবং কিছুদিনের মধ্যে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে এক্ষেত্রে আমরা অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি দেখতে পাই সেটি বেশিরভাগ সময় মানুষ সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে৷ মানুষ অনেক সুবিধা পেয়েও থাকে। তবে অসুবিধা সম্পর্কে মানুষের হয়তো অনেকেরই ধারণা রয়েছে৷ আবার হয়তো অনেকের ধারণা নেই৷ তবে এই ধারণা থাকা এবং না থাকার মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে। এই অনলাইন পেমেন্টের মধ্য দিয়ে যেরকম আমাদের দৈনন্দিন কাজের যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো করে থাকি৷ তার পাশাপাশি এখানে আমরা অনলাইন পেমেন্ট করার মধ্য দিয়ে অনেকভাবে আমাদের ফান্ড লস করার ক্ষেত্রেও শিকার হতে পারি। এরকম অনেকগুলো বিষয় হয়ে থাকে৷ এই ফান্ড লস হওয়ার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে যদি সার্ভার জনিত সমস্যা থাকে অথবা যদি আমাদের অনলাইন পেমেন্ট যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটি আর কোন ভাবে রিফান্ডেবল হয় না।
এর কারণ হচ্ছে অনলাইন পেমেন্ট শুধুমাত্র অনলাইন এর মধ্যে এই সীমাবদ্ধ৷ অনলাইনে যেসকল বিষয়গুলো রয়েছে এবং অনলাইনে পেমেন্ট মেথডগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।এই অনলাইন পেমেন্ট করার মধ্য দিয়ে মানুষজন অনেক সুবিধা এবং অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে৷ তবে অসুবিধার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা যে মাধ্যমে পেমেন্ট করেছিলাম সেই মাধ্যম কিছুটা খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আমরা যদি আমাদের এই পেমেন্ট এমন কোন জায়গায় করে ফেলি যা হ্যাকিং বা সেরকম কোন ধরনের ওয়েবসাইট, সেখানে আমাদের সকল ডাটা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে, আমাদের অনলাইন পেমেন্টের যে সকল পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে অন্যান্য সেনসিটিভ বিষয়বস্তুগুলো রয়েছে সব কিছু সেই ওয়েব সাইটে ঢুকে যায়। তখন আমাদের আর কিছুই করার থাকেনা। আমাদের সবকিছুই সেখান থেকে চলে যায়।
আর এরকম হ্যাকিং অনেক ভাবেই হতে পারে। এই হ্যাকিং গুলোর মধ্যে অনেক ধরনের পদ্ধতি এখন বের হয়ে গিয়েছে, প্রথমেই একেবারে সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে বলা যায়। সহজ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমরা যদি এমন কোন ওয়েবসাইট অথবা এমন কোন জায়গায় আমাদের অনলাইন পেমেন্ট করে থাকি সেক্ষেত্রে আমাদের কার্ড নাম্বার অথবা কার্ডের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে হয়, যার ফলে সেখানে নিশ্চয়তা খুবই কম যে সেটি স্ক্যাম করবে না। স্ক্যাম করার ক্ষেত্রে এগুলো করতেই পারে৷ আর যদি এখানে অনেক মানুষ বিশ্বাস করে সেখানে তাদের পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য বিষয়বস্তুগুলো দিতে থাকে এমন কোন অবিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইটকে, যার ফলে আমরা আমাদের ফান্ড একেবারে শূন্য অবস্থা হতে পারে। একই সাথে এখানে আমরা আমাদের সেই কার্ড কেও হারাতে পারি।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়ে থাকে আমরা কোথায় হাঁটাচলা করছি অথবা কোথাও ভ্রমণ করছি সেখানে আমাদের সে অনলাইন পেমেন্টের মেথড চালু রয়েছে এবং সেইটি সবসময় চালু রয়েছে এবং এখানকার যেসকল সেন্সর রয়েছে সবগুলোই প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে হয়তো হ্যাকাররা এমন কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করছে যার ফলে তারা এমন একটা ওয়েবসাইট নিজে থেকে তৈরি করে রেখেছে যেখানে কোন ধরনের পাসওয়ার্ড অথবা কোন কিছু দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র সে অনলাইন পেমেন্টের মেথডের কাছে নিয়ে গেলেই সেই সব কিছুই ডিটেক্ট করে নেয় এবং সকল ধরনের পাসওয়ার্ড এবং নাম্বার সেখান থেকে নিয়ে সকল ধরনের তথ্য নিয়ে নিতে পারে। এরকম অনেক কিছু এখন ঘটছে। মানুষজন যখন তাদের মোবাইলে অথবা তাদের ওয়ালেটে এরকম কিছু রেখে দেয় যেখানে এনএফসি চালু রয়েছে সেখান থেকে যখন হ্যাকাররা শুধুমাত্র এখানে টাচ করে অথবা একটু কাছে নিয়ে দাঁড়ায় তখনই সে সবকিছু হ্যাক হয়ে যায়। সবকিছুই তার কাছ থেকে চলে যায়। তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ সবসময় সতর্ক থাকা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1966329550666870888?t=E55KBtGnbVA4a7waEi8d0A&s=19
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1966172819395588209?t=noRR823cAjRXxvEQ_R2HXg&s=19
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1966172767465910368?t=LAYbE0JwvXMqech_-hj6YQ&s=19
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1966172184591872109?t=DY3bOgSZaMaFnGeywO_XQA&s=19