কোপাই নদীর তীরে।।শান্তিনিকেতন।।১৯.০৪.২০২২।।
সব ফটো unedited
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা কয়েকদিন আগে আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম শান্তিনিকেতনে।বাঙালি হয়ে অন্তত একবার শান্তি নিকেতনে যাওয়া উচিত।শান্তিনিকেতনে না গেলে বলে সত্যিকারের বাঙালি হওয়া যায় না।সেই দিক বিবেচনা করলে আমার সত্যিকারের বাঙালি হতে অনেক বছর লেগে গেল।
যাই হোক যেতে পারলাম সেটাই বড় কথা।বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জায়গায় ভ্রমনের পথে বিশ্রাম নিয়ে অপার শান্তি লাভ করেছিলেন।তাই তিনি সেখান কার জমিদার ভুবন বাবুর কাছ এই জায়গাটি কিনে নেন আর নাম দেন শান্তিনিকেতন।পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সারা পৃথিবীর কাছে এক অসাধারণ জ্ঞান ও কলা চর্চার পীঠস্থান পরিচিত করেন।
বহুদিন ধরে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার ইচ্ছে।তাই হঠাৎ করে প্ল্যান হলো আর বেরিয়ে পড়লাম সবাই মিলে।সাধারণত ট্রেনে করে গেলে ঘন্টা দুইয়ের মতো লাগে।কিন্তু যেহেতু অন্যদের ট্রেনে ওঠার অভ্যাস নেই তাই আমরা ঠিক করলাম গাড়িতেই যাবো।মোটামুটি সাড়ে তিন ঘন্টার পথ।তবে পথে একটু ব্রেক নেয়ার জন্য আমাদের ৪ ঘন্টা লেগে গিয়েছিলো।
পৌঁছে গিয়ে আমরা একটা মোটামুটি ভালো মানের একটি হোটেল দেখে চেক ইন করে নিলাম এবং ওই হোটেলের রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে নিলাম।তাদের খাবারের মান যথেষ্ট ভালো ছিল।খিদে পেয়ে গিয়েছিলো তাই খাবার গুলো একটু বেশিই ভালো লেগেছিলো।
এরপর একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম কোপাই নদীর কাছে বেড়াতে।কঙ্কালীতলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই কোপাই নদী।এই নদীতে জলের পরিমান যথেষ্ট কম।যদিও বর্ষাকালে এই নদীতে জলের বান ডাকে।কোপাই নদী হলো ময়ূরাক্ষী নদীর একটি উপনদী।এই নদীর তীরের ৫১ পিঠের একটি সতী পিঠ কঙ্কালীতলা অবস্থিত।
বিকেলে দিকে এই নদীর উপরিস্থিত ব্রিজ সংলগ্ন তীরে মেলা বসে।বাউল একতারা নিয়ে গান করে।সত্যি এক অসাধারণ সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।এই নদীকে নিয়েই রবি ঠাকুর লিখেছিলেন-
"আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।"
আমরা ওখানে গিয়ে অনেক উপভোগ করলাম।প্রচুর লোকজন এসেছিলো বেড়াতে।শনিবার ও রবিবার বিশাল মেলা বসে এখানে।কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।সত্যি দ্বিতীয় বার যাওয়ার ইচ্ছে রইলো।
আলোকযন্ত্র:নিকন ক্যামেরা
বীরভূম,শান্তিনিকেতন ,পশ্চিমবঙ্গ
কোপাই নদী
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
আসলেই মনে হয় শান্তি নিকেতন।কোপাই নদীর কথা বইতে পড়েছিলাম।যাই হোক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গাটা ভালো লেগেছে বলে কিনেই ফেলেছে,😀।যাক বাঙালি বলে কথা।যাই হোক খিদা লাগলে খাবার দাবার বেশিই ভালো লাগে,😃।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
দাদা শান্তিনিকেতনের ছবি দেখব আশা করেছিলাম কিন্তু কাঙ্খিত ছবিগুলো পেলাম না। তবে যা দেখলাম তাও একেবারে খারাপ না। সত্যি বলতে কি শান্তিনিকেতনে যাবার ইচ্ছা বহুদিনের। ভারত ভ্রমণে গেলে অবশ্যই শান্তিনিকেতনে যাবো একবার। সবশেষে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি দাদা জায়গাটি কিন্তু অনেক সুন্দর। আপনি শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। হয়তো কোনদিন যাওয়া হবে না তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং আপনার লেখনি গুলো পড়ে অনেক আইডিয়া পেলাম এই জায়গাটি সম্পর্কে। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ইশ দাদা, বড্ড ইচ্ছা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার ।আপনার কথার সঙ্গে আমি সহমত জানাচ্ছি, আমি এখনো মনে হয় প্রকৃত বাঙালি হতে পারিনি প্রকৃতপক্ষে ।কারণ শান্তিনিকেতনে ভ্রমণ আমার এখনো হয়নি । তবে ইচ্ছা জাগল, বেঁচে থাকলে একবার সেখানে যাবো । বাউলদের ছবিগুলো এবং কোপাই নদীর ছবি এবং অন্যান্য ছবিগুলো বেশ ভালই তুলেছেন । সর্বোপরি যথার্থ ভাই । ভালোবাসা রইল।
দাদা বাংলা সাহিত্যে আপনার যে দক্ষতা রয়েছে, তাতে শান্তিনিকেতনে না গিয়েও অনেক আগে আপনি বাঙালি হয়ে গিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের সুন্দর কবিতাটি এই জায়গার জন্যই যে তিনি লিখতে পেরেছেন সেটা আমার জানা ছিল না। আপনারা পারিবারিকভাবে শান্তিনিকেতনে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে দাদা আগে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করিনি ☺️। আপনি কত সুন্দর ভাবে গ্রামীণ জনজীবনের প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। আর এরকম ফটোগ্রাফি সত্যি মনটাকে প্রফুল্ল করে তোলে। আর বাঙালি হওয়ার জন্য দেখছি শান্তিনিকেতনে একবার যাওয়াই দরকার 😍
প্রিয় দাদা, আশা করি ভাল আছেন? আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। দাদা জায়গাটি কিন্তু অনেক সুন্দর।প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আলোকচিত্র গুলো দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা।
দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।এতদিন শুধু শান্তিনিকেতনের নাম শুনেছি আজ জানতে পারলাম কেন শান্তিনিকেতনের নামকরণ করা হয়েছিল। বেশ চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন আপনারা। মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। দাদা শান্তিনিকেতনে না গেলে নাকি সত্যিকারে বাঙালি হওয়া যায় না তাহলে তো আমি এখনো বাঙালি হতে পারলাম না । প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে ।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে অন্যরকম একটা জায়গা ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনাদের ঘুরাঘুরির আরো গল্প চাই।সত্যিই ভালো লাগলো।আর এতোদিন এসবের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।আমি যে কবে বাঙালি হবো তাই ভাবছি এবার!!
দাদা,আমার কবে থেকে ইচ্ছা শান্তিনিকেতন যাওয়ার। আমাকে কেও নিয়ে যায়না। এত সুন্দর জায়গা বাঙ্গালী হয়ে একবারও যাওয়া হলো না। আপনার প্রত্যেকটা ছবি
বেশ ভালো উঠেছে। জায়গাটির বেশ সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন দাদা।ভালো থাকুন।