উপকরণপরিমাণ |
মুড়ি | ৩ কাপ |
সিদ্ধ আলু | ৩ টি |
পেয়াজ | ২ টি |
কাচামরিচ | ৭ টি |
টমেটো | ১ টি |
আদাকুচি | ১ চা চামচ |
লবণ | ১ চা চামচ |
গোলমরিচ গুঁড়ো | দেড় চা চামচ |
বেসন | ৩ টেবিল চামচ |
আটা | দেড় কাপ |
সেমাই | ১ প্যাকেট |
সয়াবিন তেল | ৩ টেবিল চামচ |


পেয়াজ,টমেটো, আদা আর কাচামরিচ কুচি করে কেটে নিলাম। তার সাথে সিদ্ধ আলুগুলোকে হাত দিয়ে কচলে নিলাম।

আমি মুড়ি গুলোকে একটি বাটিতে দেড় কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলাম প্রায় ১০ মিনিটের জন্য। এক্ষেত্রে অনেকটা নরম হয়ে গেলে পানি শুকিয়ে গেল।

এই ভেজানো মুড়ির উপরে আমি টমেটো, পেঁয়াজ,আদা আর কাঁচামরিচ কুচিগুলোকে দিয়ে দিলাম। এরপরে কচলানো আলুকে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।

এরপরে এগুলোকে আমি হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি। ভালোভাবে মেখে নেয়ার পরে এরমধ্যে আমি পরিমাণ মত লবন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।

গোলমরিচ গুঁড়ো দেয়ার পর দিয়ে দিলাম লেবুর রস। তারপর আবার ভালোভাবে মেখে নিলাম।


এরপরে আমি এরমধ্যে বেসন দিতে থাকলাম। আমি অল্প অল্প পরিমাণ করে বেসন দিয়ে মাখাতে থাকলাম। ২/৩ বার অল্প অল্প করে বেসন দিয়ে ভালোভাবে মেখে একটি ডো তৈরী করে নিলাম।

এরপরে আমি হাতের তালুতে সামান্য পরিমাণ তেল মেখে নিয়েছি।তেল মেখে নেয়ার পরে আমি হাতের তালুতে কিছুটা পরিমাণ ডো নিলাম। তারপরে আমি চৌকো করে কাটলেটের সাইজে তৈরি করে নিলাম।

এভাবে এক এক করে আমি সবগুলো কাটলেট তৈরি করে নিলাম।


তারপরে একটি বাটিতে আমি পরিমাণমতো আটা নিয়ে নিলাম। তারপরে এর মধ্যে পানি দিয়ে একটি ঘন ব্যাটার তৈরী করে নিলাম। এটি খুব বেশি পাতলা হবে না, আবার খুব বেশি ঘনও হবে না।

আর অন্যদিকে একটি বাটিতে আমি সেমাই গুঁড়ো করে নিয়েছি।


এরপরে আমি একটি করে কাটলেট নিয়ে আটার ব্যাটারের মধ্যে দিলাম। কাটা চামচের সাহায্যে এটিকে এদিক-ওদিক ডুবিয়ে ভালোভাবে ব্যাটার লাগিয়ে নিলাম। তারপরে আমি এটিকে সেমাইয়ের গুড়োর মধ্যে দিয়ে দিলাম।


এরপরে আমি সেমাইয়ের গুড়ো দিয়ে কোটিং করে নিলাম। অর্থাৎ কাটলেটটিকে সেমাইয়ের গুড়ো দিয়ে মুড়িয়ে নিলাম। এরপর একটি প্লেটে তুলে নিলাম।

এভাবে আমি সবগুলো কাটলেট আটার ব্যাটারে ডুবিয়ে সেমাইয়ের কোটিং করে নিয়েছি।


সবগুলো তৈরি করার পরে আমি এগুলোকে ফ্রিজের নরমাল টেম্পারেচারে রেখে দিলাম ৩/৪ ঘন্টার জন্য।এগুলো সেট হয়ে গেলে আমি এগুলোকে ভাজার জন্য নিয়ে নিলাম।


এক্ষেত্রে আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসালাম। আর এর মধ্যে পরিমান মত তেল দিয়ে দিলাম।


তেল হালকা গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে আমি এক এক করে কাটলেট গুলো দিয়ে দিলাম। মিডিয়াম আঁচে আমি এই কাটলেগুলো ভাজতে থাকলাম। একপাশ ভাজা হয়ে গেলে অপর পাশ ভাজার জন্য উল্টে দিলাম। আর এইভাবে এগুলো যখন সম্পূর্ণভাবে ভাজা হয়ে গেল তখন আমি এগুলোকে তুলে নিলাম।


এখন একটি প্লেটে পরিবেশন করে নিলাম। আর ২ মিনিটেই আমরা এগুলো খেয়ে শেষ করে দিলাম।








এটি এতটাই মজার ছিল যে না একবার খাওয়ার পর বারবারই খেতে ইচ্ছে করতেছে। আপনারাও বাসায় ট্রাই করতে পারেন। আর এর স্বাদ নিতে পারবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

মজাদার মুড়ির কাটলেট তৈরির রেসিপি দেখে
ভিশন খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুবই চমৎকার করে উপস্থাপন করেছেন। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটি আমি কোনদিন কখনোই করিনি। আপনার রেসিপি দেখে একদিন ট্রাই করব। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা অবিরাম♥♥
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু, সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনি ব্যতিক্রমধর্মী একটি রেসিপি উপহার দিলেন।আগে কখনোই, এটা আমি দেখিনাই।মুড়ির কাটলেট রেসিপিটির উপস্থাপন,উপকরণের বর্ণনা এটা তৈরিতে আমাদের সাহায্য করবে।ধন্যবাদ আপনাকে,এমন একটি স্পেশাল রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ, আমন্ত্রন রইলো আবার আসার জন্য।
মুড়ির কাটলেট এর রেসিপি টা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার প্রতিটি ধাপের উপস্থাপন গুলো দারুন ছিল। শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ রইল ভাইয়া।
মজাদার মুড়ির কাটলেট তৈরি রেসিপি সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি। রেসিপি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে, প্রতিটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মুড়ির কাটলেট আমি কখনো খাই নি আপু। তবে আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে খেতেই হবে। দেখতে খুবই মজাদার লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
তৈরি করতে পারলে অনেক মজার হয় ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ।
এমন রেসিপি তো আগে কখনো খাইনি আপু। তবে রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশী মজাদার হবে। মুড়ি অনেকভাবে খেয়েছি তবে মুড়ির কাটলেট নামও শুনিনি কখনো খাওয়া ও হয়নি। এবার ভাবছি বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখতে হবে। আশা করছে আমার কাছে দেখতে যতটা ভালো লাগছে খেতেও ততটাই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেয়ে দেখতে পারেন আপু। আশা করি আপনার কাছেও ভাল লাগবে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে টমেটো সস দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগবে।
মুড়ির কাটলেট রেসিপি ওয়াও!!
রেসিপি টা আমার কাছে একদম নতুন ও ইউনিক মনে হচ্ছে।।
এ রকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি।।
তবে দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে খেতে ও অনেক সুস্বাদু হবে।।
প্রস্তুত প্রণালী সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।।
ধন্যবাদ
মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
➡️ মজাদার মুড়ির কাটলেট তৈরির রেসিপি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে খাওয়ার সময় আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার হাতের তৈরি রেসিপি গুলো খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। সব সময় এসব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি করে আমাকে খাওয়াতে পারেন।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একটু অন্যরকম এই রেসিপির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । একদিন বাসায় ট্রাই করতে হবে। খুব সুন্দর করে বিবরণ দিয়েছেন আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে।
জি ভাইয়া বাসায় ট্রাই করতে পারেন। ধন্যবাদ রইল।
এমন রেসিপি এই প্রথম দেখলাম। জানিনা কেমন লাগে খেতে তবে মনে হচ্ছে খুব মজা হবে। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। যাইহোক আপনার মাধ্যমে নতুন একটা রেসিপি দেখলাম। পরে একসময় চেষ্টা করবো খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।