"বাঁধাকপির চাটনি/ভর্তা"রেসিপি। 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব।আশাকরি আপনার সকলেই ভালো আছি সুস্থ আছি।ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজকে আমি আমার মায়ের শেখানো একটা রেসিপি
নিয়ে হাজির হয়েছি।মায়ের হাতের যেকোনো খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আমার মা খুবই ভালো ভালো রান্না করতো যা খেতে সবাই খুব পছন্দ করতো।আমার মায়ের হাতের রান্না এখন খুবই মিস করি। প্রায় দুইবছর আগে মায়ের রান্না খেয়েছিলাম,এখন আর চাইলেও খেতে পারবো না। মা শীতের সময় একবার আমার বাসায় ছিল তখন এই রেসিপি টি তৈরি করেছিলো খেতে অনেক ভালো লেগেছিলো। আজ অনেকদিন পর আমি সেই রেসিপি তৈরি করলাম,সেই পদ্ধতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাঁধাকপি | অর্ধেকটা |
পেঁয়াজ কুঁচি | হাফ কাপ |
রসুন | ১টা |
কাঁচামরিচ | ১০ টা |
কালোজিরা | ১ চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
অর্ধেকটা বাঁধাকপি ধুয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
বাঁধাকপি গুলো শিল পাটায় মিহি করে বেঁটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার কাঁচামরিচ, রসুন, কালোজিরা গুলো পাটায় খুব ভালো করে বেঁটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর পেঁয়াজ গুলো বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫
পেঁয়াজ ভাজা হলে কাঁচামরিচ রসুন কালোজিরা বাঁটা গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর লবণ হলুদের গুঁড়া গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
মসলা গুলো ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।মসলা কষানো হলে বাঁধাকপি বাঁটা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
বাঁধাকপি গুলো দেওয়ার পর মসলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে জল শুকিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
জল শুকিয়ে গেলে খুবই অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে বাঁধাকপি গুলো নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি। ভাজতে ভাজতে বাঁধাকপি গুলো লাল লাল হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
"পরিবেশন"
কড়াই থেকে তুলে একটা প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি।তারপর মাঝখানে একটা পুদিনা পাতা দিয়েছি আর পাশে বাঁধাকপির পাতা একটা কাঁচামরিচ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছি। এখন গরম ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত বাঁধাকপির চাটনি/ভর্তা রেসিপি টি।
খুবই সাধারণ একটি রেসিপি কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু।আশাকরি রেসিপি টি সবার ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
OR
আমার দুই ছেলে, আমার হাতে রান্নারর চেয়ে আমার মায়ের হাতের রান্না খুব বেশি পছন্দ করে। মাঝে মাঝে ছোট ছেলে তো বলেই ফেলে তোমার হাতের রান্না মজা লাগেনা নানির হাতে রান্না অনেক মজাদার হয়, হাহাহা। তবে যাই বলুন না কেন মায়ের হাতের রান্নার মজাই আলাদা। আপনার চাটনির রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো, বাসায় একদিন অবশ্যই ট্রাই করে দেখবো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু আমার মেয়েরাও ওর দিদার রান্না খুব বেশি পছন্দ করতো। আসল কথা হচ্ছে মায়েদের অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তাই তাদের রান্নার কাছে আমরাদের রান্না কিছুই না সেজন্য বাচ্চারা আমাদের রান্না একটু কম পছন্দ করে। জ্বি আপু ট্রাই করে দেখবেন আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
বাঁধাকপি দিয়ে এরকম ভর্তা করা যায় তা আজ আপনি প্রথম দেখলাম। রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। বাঁধাকপি দিয়ে এরকম ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি আমি একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমিও জানতাম না বাঁধাকপি দিয়ে এরকম ভর্তা তৈরি করা যায়,আমার মা একদিন করে খাইয়েছিল খুবই ভালো লেগেছিল তারপর থেকে আমিও তৈরি করে খাই।ধন্যবাদ আপু।
মায়ের হাতের রান্না সবার কাছেই অনেক প্রিয়।
আসলে মেয়েরা মায়ের কাছ থেকেই মজার মজার রান্না শেখে। আর মা যা কিছু রান্না করে খেতে ভালো লাগে। বাঁধাকপি দিয়ে নতুন একটি রেসিপি দেখলাম আপু। ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে। একদিন অবশ্যই রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে।
ঠিক বলেছেন আপু সত্যি মায়ের হাতের রান্নার সাথে কারো কোন তুলনা হয়ন। মেয়েরা সবসময়ই মায়ের কাছে প্রথম রান্না করা শেখে। খেয়ে দেখবেন আপু আশাকরি অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
ফুলকপির ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এভাবে বাধাকপি দিয়ে ভর্তা করা যায় তা কিন্তু একদমই জানা ছিল না। দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি তো ভাবছি প্রথমে সিদ্ধ করেই তৈরি করবেন। কিন্তু প্রথমে তো কাঁচাই বেটে ফেললেন। তারপরে সবকিছু করলেন। যাই হোক শিখে নিলাম রেসিপিটি। সামনে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিদ্ধ করার চেয়ে কাঁচা বেঁটে নিয়ে ভর্তা করলে খেতে বেশি সুস্বাদু হয়। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাঁধাকপি দিয়ে চাটনি ভর্তা এ প্রথম দেখতে পেলাম। এর আগে কখনো দেখিওনি খাওয়া তো দূরের কথা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া এটা একেবারে নতুন একটি রেসিপি, এই রেসিপি টি আমার মায়ের কাছে থেকে শিখেছিলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমে আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল। তিনি যেখানে থাকুক না কেন যেন ভাল থাকেন। মায়ের হাতের রান্নার কোন তুলনা হয় না। আপনার মায়ের কাছ হতে শিখে নেওয়া রেসিপিটি আমাদের মাঝে অনেক আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। বাধা কপি দিয়ে চাটনি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না।
আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক ছিল দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করতেছে দিদি।আপনি যে পদ্ধতিতে রান্না করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যে কারো নজরে পড়লে লোভ লেগেই যাবে সত্যি।তবে আপনার মায়ের হাতে জাদু আছে বলা যায়। এমন সুন্দর ইউনিক রেসিপি যিনি করেন তার হাতে যাদু থাকবেনা তা কি করে হয়।মাসি মার জন্য দোয়া রইল পরপারে যেন ভাল থাকেন।
আপু একদম ঠিক বলেছেন আমার মায়ের হাতে যাদু ছিল মা যা রান্না করতো তাই খেতে অমৃতের মতো লাগতো। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাঁধাকপি দিয়ে ভর্তা আমি এই নাম কখনো শুনিনি। আপু ভর্তা দেখে জিভে জল চলে আসল। আমার কাছে আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি তবে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমিও একদিন তৈরি করে দেখবো। আমি আবার ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাঁধাকপির ভর্তা সত্যিই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রসুন,কাঁচামরিচ,কালোজিরা বাঁটা দেওয়াতে এটার স্বাদ গন্ধ অন্যরকমের হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই রকম রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আমি ও বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।