শৈশবে মেলায় গেলে যেন গাড়িটি চাই চাই!
আপনাদের কি মনে আছে শৈশবে গ্রাম্য মেলার কথা, যেখানে যাওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই বাহানা করতাম। যদি কোন গ্রামে গঞ্জের মেলা লাগতো তাহলে নিজের বাবা-মাকে অনেক রিকুয়েস্ট করার পরে হয়তো বাবা-মা সেই মেলায় আমাদেরকে নিয়ে যেত এবং যখন আমরা সেই মেলায় যেতাম তখন কিন্তু বিভিন্নজন ধরনের খেলনা কেনার জন্য আমরা বাহানা করতাম। তার মধ্যে একটি খেনলা ছিল, খেলাটি হয়তো আপনারা অনেকেই চিনবেন।
শুধু একটি লম্বা কাঠ তার মধ্যে একটি ছোট্ট চাকা লাগানো ছিল এবং তার উপরে একটি প্লাস্টিকের একটি জিনিস ছিল। গাড়িটা যখন আমরা মাটিতে দিয়ে টান দিতাম তখন সেই টাকাটা ঘুরতো এবং উপরের ঘূর্ণিটাও ঘুরতো এবং সাথে একটি আলাদা ধরনের সাউন্ড হতো। সেই গাড়িটা নেওয়ার জন্য কত যে বাহানা করতাম তার হিসেব ছিলো না। সেই সাথে ছিল টিনের একটি পিস্তল এটাতে আলাদাভাবে কাটিস লাগিয়ে ফুটুস ফুটুস করে ফোটানো যেত। সেই শব্দগুলো দারুন লাগতো এবং সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো সেই সব শৈশবে হারিয়ে যাই, মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে সেই বিষয়গুলো দেখার সৌভাগ্য হয়। কিন্তু এখন যেন সেই বিষয়গুলো বাস্তবিককে অর্থে দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
এখন যখন আগের কথাগুলো মনে করি শৈশবের সেসব স্মৃতির কথা মনে করি আনন্দে বুকটা ভরে ওঠে। মনে হয় আবারও যদি সেই শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারতাম, যেখানে থাকত না কোন ধরনের টেনশন না, থাকতো না দিক কোন চাপ, সবমিলিয়ে একটি স্বাধীন জীবন যাপন করতাম। যেখানে মা-বাবার ভালোবাসা ছিল পরিপূর্ণ একটি সংসার ছিলো। আহা কি চমৎকার না দিনগুলো ছিল! আপনারাও কি আমার মত শৈশবের গ্রাম্য মেলায় গিয়ে এ ধরনের খেলা না কিনার বাহানা করতেন, তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
শৈশব মানেই অনেক স্মৃতির সমাহার। শৈশবের সময় গুলো দারুন ছিল। আর খেলনা অনেক বেশি ভালো লাগতো। বিশেষ করে মেলায় গিয়ে নতুন নতুন খেলনা কিনতে ইচ্ছে করতো।