কেক কান্ড!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মাঝে মাঝে আমার প্রচণ্ড রাগ হয় বাংলাদেশের ঐসব মানুষের উপর। যারা কীনা একেবারে বিবেক বিবেচনাহীন। কিছু একটা যদি পেয়ে যায় তাহলে সব এমনভাবে সেটার পেছনে লাগবে ঐটা পুরোপুরি ঘেটে নষ্ট না করা পযর্ন্ত কোনভাবেই থামবে না। এটা এতোটা বিরক্তিকর। মাঝে মাঝে মনে হয় এদের বিবেক বুদ্ধি কিছু নেই। পাশাপাশি এদের যে কেউ কিছু বলবে তেমন মানুষ ও নাই। ভাইরাল হওয়ার নেশায় এরা একেবারে অস্থির। যাইহোক এখন যে বিষয়ে কথা বলব সেখানে যায়। কেক জিনিসটা আপনাদের কাছে কেমন লাগে জানি না তবে আমার কাছে একেবারে অখাদ্য লাগে। আমার মনে হয় পৃথিবীর জঘন্যতম খাবারগুলোর মধ্যে এই কেক একটা। তবে অধিকাংশ মানুষের আবার খুবই পছন্দের। তবে রিসেন্ট একটা ঘটনার জন্য এইটা আমার কাছে আরও অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিছুদিন আগের কথা। ঢাকার আগাঁরগাওয়ে একজন ব্যক্তি কেক বিক্রি করার সময় কিছু ক্রিয়েটর তার ভিডিও ধারণ করে। তার বউ বাড়িতে কেক তৈরি করে এবং সে সেটা রাস্তার পাশে বিক্রি করে। প্রচুর পরিমাণ বিক্রি হয়। দিনে ২০-৩০ টা কেক বিক্রি হয়ে যায় বড় সাইজের। পরবর্তীতে সেই ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও কিছু ক্রিয়েটর গিয়ে ভিডিও করে এটা পুরোপুরি ছড়িয়ে যায়। আর কিছু করা লাগেনি। তারপর থেকেই শুরু হয় উৎপাত। আমি এটাকে উৎপাতই বলব আর কিছু না। আগাঁরগাওয়ের রাস্তায় একে একে অনেকেই শুরু করে কেক বিক্রি। এবং তাদের অধিকাংশই মেয়ে। কিছু না হলেও সেই সংখ্যা একেবারেই কম না। রীতিমতো একটা মহল তৈরি হয়ে যায় সেখানে।
মেয়েরা বাড়ি থেকে কেক তৈরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করছে। অসংখ্য মানুষের ভীড় হচ্ছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশের হাতে আবার ফোন ক্যামেরা। অর্থাৎ ঐ সহজ বাংলা ভাষায় কন্টেট ক্রিয়েটর। এমন কিছু ভিডিও দেখেছি আমি যেখানে ঐ মহিলার বুকে মাইক্রোফোন সেট করতে গিয়ে হাতটা অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে। যেটা রীতিমতো খুবই দৃষ্টিকটু। আর সাধারণ মানুষের ভীড় তো আছেই। আবার একটা ছেলে দেখলাম যার বয়সয়স ঐ ১৫-১৬ এর মতো। ঐ ছেলে আবার মাথায় হেডফোন নিয়ে ডান্স করতে করতে কেক বিক্রি করে। সেখানে আবার অনেক লোকের ভীড়। মোটামুটি কয়েক দিন এভাবে চলেছে। এখানে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কেকের দোকান এবং মানুষের ভীড়ের জন্য ঐ রাস্তায় প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হতে শুরু করে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে থাকে।
অবেশষে ঐদিন সেনাবাহিনী গিয়ে সব কেকের দোকান ভেঙে রাস্তা একেবারে ক্লিয়ার করে দিয়েছে। এবং পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছে রাস্তার উপর আর এসব করা যাবেনা। বেশ দারুণ একটা পদক্ষেপ ছিল এইটা। সত্যিই প্রশংসনীয়। এখন মোটামুটি আর সেরকম কাউকে ওখানে কেক বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে নাহ। মাঝে মাঝে মনে হয় এদের হয়তো বিবেক বুদ্ধির অভাব আছে। না হলে একের পর এক এসে সবাই রাস্তায় কেক বিক্রি শুরু করতো না। এগুলো আসলে নেশা। ভাইরাল হওয়ার নেশা। এরা ঐটা যতটা না অভাবে করে তার চেয়েও বেশি করে স্বভাবে। আর এই নেশাটা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন যেন এখন ঐ স্যোসাল মিডিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দিনে দিনে মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে। না হলে এমন কাজ কখনোই করতে পারে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1977646545253318838?t=73b7YzsxloWYNuvEOFOdAw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1977646726262706328?t=qMGAgX-CXWN8Rgjd0J6gpA&s=19