কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
জীবনানন্দ দাশ আমার পছন্দের কবি। যদিও এখন তার কবিতা কম পড়া হয়। কিন্তু কোন না কোন ভাবে ঠিকই তার কবিতা তার কবিতার লাইন মনে চলে আসে। তেমনই একটা লাইন আজকে মনে পড়ে গেল। যদিও এর কারণ আছে। জীবনানন্দ দাশের হায় চিল কবিতার দারুণ কয়েকটা লাইন আছে। লাইনগুলো এমন
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চ’লে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
হায় চিল কবিতা টা আমি আগেও পড়েছি। কিন্তু এই লাইনটা ঐভাবে কখনও অনুধাবন বা খেয়াল করতে পারিনি। এটা করেছিলাম একটা বিশেষ সময়ে। যখন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন আমি হয়েছিলাম। জীবনানন্দ দাশের কবিতা গুলো ঠিক এমন যে আপনাকে ভেতর থেকে জাগিয়ে তুলবে। অন্যরকম এক অনূভুতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।
এই লাইনে বলা হচ্ছে এক হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার কথা। যে কীনা পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো হারিয়ে গিয়েছে। রুপ নিয়ে চলে গিয়েছে বহুদূরে। আবার তাকে কেন ডেকে আনো। হৃদয় খুড়ে নিয়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। অর্থাৎ নিজের বেদনা জাগাতে কেউই ভালোবাসে না। এই কবিতা টা আজকে যেন খুবই গভীর ভাবে উপলব্দি করতে পারছি। অনেক কাহিনীর পরেও তার সাথে আমার যোগাযোগ ছিল তবে সেটা নিয়মিত না। মাসে দুইবার থেকে তিনবার কথা হতো। কিন্তু গত মাসে একদিন আমি সরাসরি নিষেধ করেছিলাম আমাকে ফোন দিবা না। যদিও কথাটা আমি সিরিয়াসলি বলিনি। কিন্তু সে হয়তো সেটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছে। এবং তারপর থেকে এই এক মাসে একটা বারও আর ফোন দেয় নাই। আর আমার যোগাযোগ করার কোন পথ নেই।
বিগত তিন বছরে সে আমাকে অনেক পেইন দিয়েছে। অনেক প্রেশার দিয়েছে। এর থেকেও কয়েকগুণ বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে গত এক বছরে। এখন ওর সাথে যখন পুরোপুরি বন্ধ আবার এর আগেও তিন চার মাস বন্ধ ছিল তখন আমি মানসিক ভাবে বেশ শান্তিতে ছিলাম। অন্তত ঐ মানসিক প্যারা আর সহ্য করতে হতো না। কিন্তু আজ কদিন খারাপ লাগছে। তার কথা মনে পড়ছে। এবং গত রাতে তো রীতিমতো দীর্ঘ একটা স্বপ্ন দেখে ফেললাম। যেখানে তার সেই চলে যেতে যাওয়া আর আমার ধরে রাখার সেই বৃথা চেষ্টা। আমার ভেতরে আবার সেই ব্যাথা জাগ্রত হয়ে গেল। ঘুম থেকে যখন উঠলাম তখনও সবকিছু আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে। তাকে যেন প্রচণ্ড মিস করতে শুরু করেছি। শুধু মনে পড়ছে কোথায় আছে কেমন আছে ঠিক আছে কীনা।
একদিকে সে যখন আমাকে যন্ত্রণা ছাড়া কিছুই দেয়নি। এখন সে চলে যাওয়ার পরে আমি কিছুটা শান্তিতে আছি। কিন্তু সেই শান্তি যেন আমার নিজেরই আর সহ্য হচ্ছে না। মনে পড়ছে তার কথা। আমি আবার তাকে ফেরত চাইছি। আবার চাইছি সে যেন আমার সাথে যোগাযোগ করে। সে যেন আমাকে আবার ফোন দেয়। এখানে জীবনানন্দ দাশের এই কবিতার লাইনটা পুরোপুরি আমার জীবনে বাস্তব হয়ে গিয়েছে। নিজের সব রুপ নিয়ে সে যখন দূরে চলে গিয়েছে আমি আবার তাকে স্মরণ করছি। আবার তাকে ডাকছি। আমি আবার হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগিয়ে নিচ্ছি। এ যেন হুবুহু সব এক হয়ে গেল। ব্যাপার টা বেশ অবাক করা। কবিতা তার জীবনের এই অংশের কী দারুণ মিল। জীবনানন্দ সেটা বহু বছর আগেই বুঝে গিয়েছে। এইজন্যই হয়তো তাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1970041826859270320?t=SINcGyHP1T0hXrjd2e-dKw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1970042173929501065?t=Twfikz1GJhdvyP1v2HaWdg&s=19