ম্যানচেস্টার ডার্বি!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইদানিং আর ফুটবল টাও সেরকভাবে দেখা হচ্ছে না। ইউরোপীয় লীগগুলো হয় বাংলাদেশ সময়ে মধ্যরাতে। আর আমি এখন দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ি। এইজন্যই আর দেখা হচ্ছে না। গতকাল ছিল এই সিজেনের প্রথম ম্যানচেস্টার ডার্বি। এবং ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময়ে রাত দশটার সময়। এইজন্যই ম্যাচটা আমি দেখেছিলাম। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যানচেস্টার এর দুই দল ম্যানচেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অংশগ্রহণ করে। এটাকেই ম্যানচেস্টার ডার্বি বলে। বিভিন্ন দেশের লীগে এইরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক ম্যাচ থাকে। যেমন এল ক্যাসিকো মাদ্রিদ ডার্বি মিলান ডার্বি এসব। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থা খুব একটা ভালো না। একের পর এক ম্যাচ হেরে ক্রমেই নিচে যাচ্ছে দলটা।
অন্যদিকে এই সিজেনে ম্যানসিটির অবস্থা টাও খুব একটা ভালো না। তারা অনেক গুলো খেলোয়ার সাইন করালেও সিজেনের প্রথম কয়েকটা ম্যাচ হেরেছে। পেপ গার্দিওয়ালা বরাবরই সিজেনটা একটু খারাপ ভাবে শুরু করলেও পরে গিয়ে অসাধারণ খেলে থাকে তার দল। সে একজন মাস্টারমাইন্ড কোচ। ম্যানসিটি ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে মাঠে নামে। অন্য দিকে ম্যাচ ইউনাইটেডের ফর্মেশন ছিল ৩-৪-২-১। ম্যাচটা ছিল সিটির হোম গ্রাউন্ড ইওিহাদে। খেলার শুরু থেকে দুই দলই গুছিয়ে ফুটবল খেলতে থাকে। বেশ কয়েকটা পজেটিভ আক্রমণ দুই দলই করে। কিন্তু কেউ গোল করতে পারে না। ম্যাচের ১৮ মিনিটের সময় ডকু দারুণ ভাবে বল নিয়ে ডিবক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর বলটা বাড়িয়ে দেয় ফিল ফোডেনের দিকে। হেডে গোল করে ফোডেন। ১-০ তে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি।
এরপর আরও দারুণ কিছু আক্রমণ চালাতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু কোন গোল পাইনি। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দারুণ কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও সেরকমভাবে ফিনিশিং একেবারেই করতে পারেনি। ফলাফল প্রথমার্ধ এভাবেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে সিটি বেশ আক্রমনাত্মক খেলতে থাকে। ম্যাচের ৫৩ মিনিটের সময় ডকুর দ্বিতীয় অ্যাসিস্টে গোল করে আরলিং হ্যালান্ড। ২-০ তে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। এগিয়ে যাওয়ার পরেও তারা আক্রমণের দ্বারা অব্যাহত রাখে। অন্যদিকে ম্যান ইউনাইটেড তাদের কাঙ্ক্ষিত ফুটবল টা খেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ফলাফল শূণ্য। কোনভাবেই তারা গোল করতে পারছিল না। ম্যাচের ৬৮ মিনিটের সময় আবার গোল করে হ্যাল্যান্ড। তবে এবার অ্যাসিস্ট করে বার্নাদো সিলভা। পুরোপুরি ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচে ফেরার আশা ততক্ষণে ম্যান ইউনাইটেডর শেষ। তারা শুধু কোনরকম ভাবে ম্যাচে টিকে ছিল। বেশ কিছু পজেটিভ আক্রমণ করলেও ফলাফল ছিল আগের মতোই শূন্য। পুরো ম্যাচে ৫৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২ টা শর্ট নেয় ম্যান ইউনাইটেড। কিন্তু গোল অভিমুখে শর্ট ছিল মাএ ২ টা। অর্থাৎ তাদের সেরকম ভালো ফিনিশার ছিল না বললেই চলে যে ভালোভাবে ফিনিশ করবে। ম্যান ইউনাইটেড ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ঐতিহ্যবাহী দল হলেও ক্রমেই তারা নিচের দিকে যাচ্ছে। যাইহোক ম্যাচ শেষ হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে ৪ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৮ এ উঠে আসে ম্যান সিটি। অন্য দিকে ৪ ম্যাচে ১ জয় ১ ড্র এবং ২ হার নিয়ে ৪ পয়েন্টে টেবিলের ১৪ তে অবস্থান করছে ম্যান ইউনাইটেড। ৪ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।