মূর্খের দেশ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকী বলেছিলেন "মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়"। কথাটা অনেকেই ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে বলে। এর জন্য অনেকেই রবীন্দ্রনাথ কে বাজে কথাও বলে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঐসময় উনি ঠিকই বলেছিলেন সত্যিই তো মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা তো আসলেই মূর্খ। আমরা এখনও নির্লজ্জ বর্বর আমরা এখনও অমানুষ রয়ে গিয়েছি। এই কথাটা কেন বলছি এই প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। ঘটনা এতোক্ষণে আপনারা সবাই জেনে গিয়েছেন । এটা গতকালের ঘটনা। ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালের পাশে একজন ব্যবসায়িকে একজন চাঁদাবাজ যেভাবে হত্যা করেছে সেটা যেকোনো নিষ্টুরতাকে হার মানায়।
মানুষ কে হত্যা করার মধ্যেও হয়তো একটা সহজ ও নিষ্টুরতার ব্যাপার থাকে। কিন্তু যেভাবে ঐ সাধারণ মানুষ কে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। একটা বিবেকহীন জানোয়ারও হয়তো নিষ্টুরতা কখনও দেখাবে না। কিন্তু এটা করে দেখিয়েছে একজন মানুষ। তবে সে যখন ঐরকম কাজ করেছে তখন আর সে মানুষ ছিল না। তখন সে পরিণত হয়েছিল একজন চাঁদাবাজে। চাঁদা না দেওয়াই ব্যবসায়িকে পাথর মেরে খুন। এখানে যদি গুলি করে হত্যা করা হতো তাহলে হয়তো ব্যাপার টা এতোটা নির্মম কখনোই দেখাতো না। কিন্তু ব্যাপার টা একেবারেই ভিন্ন। আপনারা অনেকেই এখানে বলবেন ঐ চাঁদাবাজ ঐ রাজনৈতিক দলের সদস্য। হ্যা কথাটা অবশ্য ঠিক।
কিন্তু আমি এখানে রাজনৈতিক দলের দোষ দেব না। কারণ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলই খারাপ। বলতে পারেন খারাপের মধ্যে কমবেশি আছে এই যা। বাংলাদেশে কোন ভালো রাজনৈতিক দল নেই কখনও ছিল না। এখানে আমি শুধু ঐ হত্যাকারীর দোষ দেব না। আমি দোষ দেব বাংলাদেশের মানুষ কে। যারা দীর্ঘদিন থেকে এসব দেখে আসছেন। যখন ঐ ব্যবসায়িকে ঐরকম নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছিল পাশে বেশ অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মধ্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। একবার ভেবে দেখুন যদি ঐ ঘটনার আগে কয়েকজন এগিয়ে আসতো তাহলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতোই না। কিন্তু না তারা এগিয়ে আসেনি। তারা দাঁড়িয়ে দেখেছে। ব্যাপার টা কতটাই না নৈশ্বর্গিক। এটা কোন একজন মানুষের বা একটা দলের মানুষের সমস্যা না। এই সমস্যা পুরো বাংলাদেশের মানুষের। এই সমস্যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার।
এটা আসলেই মূর্খের দেশ। বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও মগজধোলাই এর শিকার। স্বাধীন চিন্তা করতে এরা এখনও শিখতে পারেনি। আর অল্প সংখ্যক যারা এমন স্বাধীন চিন্তা করতে পারে তাদের দেওয়া হয় নানান রকম অপবাদ। এমন ঘটনা নতুন না। শুধুমাত্র ঘটনার প্রেক্ষাপট পাল্টাই চরিত্র পাল্টাই কিন্তু সামগ্রিক বিষয় ঐ একই থাকে। মানুষের মনুষ্যত্বের অধঃপতন। এইজন্যই বললাম এটা মূর্খের দেশ। এখানে কীভাবে সমালোচনা করা উচিত আমার জানা নেই। এই জাতিকে কেউ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। সবচাইতে ভালো হবে আপনি আমি যদি এই দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে এমন ঘটনার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন। আজকে যদু করেছে কালকে মধু এবং পরশু অন্য কেউ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসব কথা কখনই বলেননি। জামাতের মনের কাহিনী প্রসূত, যা ফেসবুক থেকে ছড়ায় এবং বাকিটা...
কথাটা আমিও নিশ্চিত না। আমারও মনে হয় উনি এমন কথা বলেনি।