ভোটিং সিস্টেম!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ভোটিং সিস্টেম টা কখনোই আমার পছন্দ ছিল না। ভোটিং এর মাধ্যমে আপনি একটা সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের মতামত পাবেন কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত পাবেন এটা কখনোই নিশ্চিত না। অধিকাংশ মানুষ ভুল করতে পারে। এর উপর সেই অধিকাংশ মানুষ যদি কোন মানুষ বা কোন দলের প্রতি আকৃষ্ট হয় তখন তারা ভালো খারাপ বিবেচনা না করে ঐ ব্যক্তি অথবা দলকেই ভোট দেয়। এই হলো অবস্থা। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ খুব একটা শিক্ষিত না। এদের খুব সহজেই বোকা বানানো অথবা মানিয়ে নেওয়া যায় সেটা শিক্ষিত মানুষদের ক্ষেএে খুব একটা হয় না। একটা দেশের নেতৃত্ব দেবে কে এই প্রশ্ন আসলে উওরটা সম্ভবত খুব সহজ হয়ে যায়। যে মানুষ টা দেশের সবচাইতে বেশি শিক্ষিত বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন এমন কেউ যে দেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি হবে এটাই হওয়া উচিত।
কিন্তু ভোটিং সিস্টেমে কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ ঐ জ্ঞানী শিক্ষিত মানুষটা আর যাইহোক মিথ্যা প্রবচন দিয়ে ভোট চাইতে যাবে না। এসব বিভিন্ন কারণে এই ভোটিং সিস্টেম আমার একেবারেই পছন্দ না। তবে আমি বলব আজ অন্য একটা ভোটিং সিস্টেম নিয়ে। ফুটবল টা নিয়মিত অনুসরণ করি। নিয়মিত খেলা দেখা ফুটবল ক্লাবের আপডেট এগুলো সবসময় পেয়ে থাকি। গত মঙ্গলবার ব্যালন ডি অর পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। যেটা মূলত বছরের সেরা ফুটবলারকে দেওয়া হয়। এটাকে ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরষ্কার ধরা হয়। প্রত্যেকটা ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে একটা বার ব্যালন ডি অর পাওয়ার। তবে ইদানিং এই পুরষ্কার নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ যোগ্য ফুটবলারের হাতে এই পুরষ্কার টা উঠছে না। শুধুমাত্র হাইপের উপর নির্ভর করে দেওয়া হচ্ছে এই পুরষ্কার। শুধু আমি না বরং ফুটবলের বড় বড় নাম এমনটাই বলছে। যার মধ্যে একজন পাঁচবার ব্যালন ডিঅর পুরষ্কার জেতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এই বছর ব্যালন ডিঅর পেয়েছ ফ্রান্সের খেলোয়ার ওসমান দেম্বেলে। পিএসজির হয়ে সম্ভাব্য সব ট্রফি জিতেছে সে। তবে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সিজেনের সবচাইতে বেশি গোল অ্যাসিস্ট করা খেলোয়ার রাফিনহা কে নিয়ে ৫ এ রাখা নিয়ে। যেখানে রাফিনহা ছিল ব্যালন ডি অর এর অন্যতম প্রধান দাবিদার। আজ ব্যালন ডিঅর এর ভোটিং লিস্ট বের হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের ১০০ সাংবাদিক এর কেউ রাফিনহা কে তাদের লিস্টে প্রথমে রাখেনি। বিষয়টি এককথায় খুবই হাস্যকর। সিজেনের সবচাইতে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন রাফিনহার ছিল। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের সবচাইতে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে রাফিনহা। করেছে ১৩ গোল ৯ অ্যাসিস্ট। পাশাপাশি জিতেছে বার্সেলোনার হয়ে তিনটা শিরোপা। কিন্তু এরপরও রাফিনহা ব্যালন ডি অর লিস্টে ৫ এ রয়েছে।
কিন্তু সমান সংখ্যক ট্রফি জিতলেও গোল কন্ট্রিবিউশনে রাফিনহার ধারে কাছে না থাকা লামিন হয়েছে দ্বিতীয়। যেটা কেউই মেনে নিতে পারছে না। এবং আজকে যখন আমি এই ভোটিং লিস্ট দেখলাম তখন বিষষটা আরও রিয়েলাইজ করলাম ভোটিং এর মাধ্যমে কোন পুরষ্কার দেওয়া উচিত না। ভোটিং এর মাধ্যমে দিলে পুরষ্কার টা সবসময় যোগ্য ব্যক্তির হাতে উঠে না। সাংবাদিক রা ঠিক কী ভেবে যে ভোট দেয় সেটা আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। আজকের এই ঘটনার পরে রীতিমতো পুরোপুরি ভোটিং সিস্টেমের উপর থেকে আমার ভরসা উঠে গিয়েছে। ভোটিং সিস্টেম খুব সহজেই একজন যোগ্য মানুষ কে অযোগ্য প্রমাণ করতে পারে একজন অযোগ্য মানুষকে করে দেয় যোগ্য। এইজন্যই যেকোন ক্ষেএেই ভোটিং সিস্টেমকে আমি পছন্দ করি না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।