স্বাধীনতা।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আজ ২৬ শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। কিন্তু ঐ সময়ের স্বাধীনতার সংজ্ঞা আর বতর্মানের স্বাধীনতার সংজ্ঞা এক না। স্বাধীনতা বলতে আপনি কী বুঝেন?? সেটা কমেন্টে বলে যাবেন। আজ স্যোসাল মিডিয়া স্ক্রল করছি। এমন সময়ে প্রথম আলো পএিকার একটা অংশ আমার চোখে পড়লো। প্রথম আলোতে স্বাধীনতা সম্পর্কে একজন দিনমজুরের কথা উঠে এসেছে। দিনমজুর ঐ ব্যক্তি বলেছেন " পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ মাংস আর চাউলের স্বাধীনতা লাগব"। এটাই ছিল ঐ দিন মজুরের স্বাধীনতা। শুধু ঐ দিন মজুরের না বাংলাদেশের অধিকাংশ নিম্নবিও মধ্যবিও মানুষের চাওয়া এখন এটাই খাদ্যের নিশ্চয়তার স্বাধীনতা। হ্যা স্বাধীনতার ৫২ বছরে আমাদের দেশ এতোটাই এগিয়েছে যে এখনো খাবারের জন্য একশ্রেণির মানুষকে চোখের পাখি ফেলা রাখছে। স্বাধীনতা বলতে তারা খাবারের স্বাধীনতা বোঝে।
এটা তাদের ব্যর্থতা না। এই ব্যর্থতা আমাদের সবার। এই ব্যর্থতা তাদের যারা এই ৫২ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ব্যর্থতা তাদের যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করেছে। মূলত স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয় পাকিস্তানিদের স্বেরাচারি মনোভাব থেকে। এক দেশের মানুষ বেশি সুবিধা পাই এবং অন্য দেশের মানুষ খাবারের জন্য সংগ্রাম করে। আবার তারা জোর করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাই থাকতে চাই। জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না দেওয়া। এটাই ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল কারণ। একবার ভেবে দেখুন তো এই প্রভাব গুলো এখন আছে নাকী?? এখনো একদল ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কী অতিরিক্ত সুবিধা নিচ্ছে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কী সব হচ্ছে। তাহলে আমরা কী এখন প্রকৃত স্বাধীন। যাইহোক চাইনা রাজনৈতিক আলোচনার দিকে আমার লেখাটা যাক। কারণ আমাদের কমিউনিটিতে এগুলো নিয়ে লেখা নিষেধ।
স্বাধীনতার অনেক সংজ্ঞা অনেক ডেফিনেশন আছে। আমি যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন ক্লাস সিক্স থেকে টেন পযর্ন্ত প্রতিটা ক্লাসের সমাজ বিজ্ঞান বইতে স্বাধীনতা বলতে একটা জিনিসই বার বার বোঝানো হয়েছে। বার বার গেলানো হয়েছে একই ইতিহাস। পরীক্ষায় ভালো করতে হবে সেজন্য আমরাও না বুঝে গিলেছি তখন হা হা। তবে বড় হওয়ার পর এখন অনেক সত্য সামনে এসেছে। জানার পরিধি বেড়েছে বইয়ের বাইরে ইতিহাস আছে সেটা জেনেছি। ইতিহাস নিয়েও যে রাজনীতি হয় ইতিহাসও বিকৃত হয় সেটাও জেনেছি। যাইহোক ওসব বাদ দেয়। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন এখন অনেক মিস করি। স্বাধীনতা দিবসের পনের দিন আগে থেকেই স্কুলে শুরু হতো রিয়ার্সাল। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমি রেড ক্রিসেন্ট এর সঙ্গে সংযুক্ত ছিলাম। ঐদিন বিভিন্ন কুজকাওয়াজে অংশ নিতাম। এবং আমাদের উপজেলায় কুজকাওয়াজে আমাদের সঙ্গে কেউ পেরে উঠত না। এর একমাএ কারণ ছিল সারাবছর অনুশীলন।
তবে আমাদের একটা ছোট নাটক বা শারীরিক কসরত উপস্থাপন করা লাগত। যেটার রিয়ার্সাল চলত। এবং আমাদের কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চির প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল কুমারখালী পাইলট গার্লস স্কুল। ওদের সঙ্গে আমাদের প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা চলত। স্বাধীনতা দিবসে ওদের হারিয়ে প্রথম স্থান অংশ গ্রহণ করতে পারলেই আমাদের প্রধান শিক্ষক আমাদের পুরষ্কার দিতেন। সময় গুলো বেশ মিস করি। আজ অনেকবছর এইরকম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় না। তবে তখন স্বাধীনতা দিবসের আসল অর্থ বুঝি না। আজ কিছুটা হলেও বুঝতে সক্ষম হয়েছি। স্বাধীনতা মানে পরিবর্তনের দাবি না নিজেকে প্রথমে পরিবর্তন করা। আসুন আজ শপথ নেয় এমন একটা কাজ আজ থেকে বাদ দেব যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে আর পারেনি। জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার এখন আর পাচ্ছে না। কিছু অসাধু লোক নিজেদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এখন আর এই দেশকে মনে হয় না। যাই হোক তবুও এই দেশের মঙ্গল কামনা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ কিন্তু অনেকের পোস্টটি দেখেছি যে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেক শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরেছে। আসলে আপনাদের বাংলাদেশের প্রতি এতটা ভালোবাসা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দেশ সম্পর্কে এই মূল্যবান তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
স্বাধীন এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। যেখানে স্বাধীনতা আশা করা যায় বা প্রয়োজন বোধ করা যায় সেখানেই পরাধীনতা। তবে এই বিষয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে আমার ভালো লাগলো।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস।এই দিবস আমাদের বাঙালিদের একটি বিশেষ দিন।তবে এই স্বাধীনতা কি আমরা টিকিয়ে রাখতে পেরেছি।কিছু অসাধু মানুষ আর তাদের দাপটে আমরা আজ হারিয়েছি স্বাধীনতা। লেখাটা বেশ ভালো ছিল।বাস্তবিক কিছু ঘটনা তুলে ধরেছেন আপনি।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ভাইয়া পোস্টটি।
বর্তমানে স্বাধীনতা হলো পণ্য কিংবা বিল বোর্ড প্ল্যাকার্ডে রঙের বাহার এর থেকে বেশী কিছু আর কাছে আর মনে হয় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দেশটা এখন পাশার বোর্ডে দোদুল্যমান আর একদল লোক শ্রেণী বৈষম্য করে এখনো সাধারন মানুষদের চুষে খাচ্ছে।
যাইহোক প্রথম আলোর ওই পোস্ট টি আমিও দেখছিলাম বেশ খারাপ লেগেছে পোস্ট টি দেখে।
চমৎকার ভাই। কাঙ্ক্ষিত উওর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।