এক্সপেরিমেন্ট!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছোটবেলা থেকে যে ব্রাজিলের ফুটবল দেখে বড় হয়েছি সেই ব্রাজিল এখন আর নেই। ব্রাজিলের আধিপত্য ফুটবলের সেই শৈল্পিকতা এখন হারিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে গত চার বছরে এই অবস্থা খুবই করুণ হয়ে গিয়েছে। একটা সময় গিয়ে শংকা জেগেছিল ব্রাজিল হয়তো বিশ্বকাপে যেতে পারবে না। কিন্তু না শেষ পযর্ন্ত ব্রাজিল কোয়ালিফাই তো করেছে। ব্রাজিল ফুটবলের একটা নীতি ছিল তারা কখনোই বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতো না। কিন্তু অবশেষে গিয়ে সেই নিয়মের পরিবর্তন ঘটে। ব্রাজিলের কোচ হয়ে আসে ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড দ্যা ডন কার্লো আনচেলওি। যার চোখের ইশারায় যেন ফুটবলার রা বুঝে যায় কী করতে হবে। কার্লো কোচ হয়ে আসার পরে পরবর্তীতে দুই ম্যাচে ব্রাজিল কিছু টা ভালো খেলে এবং বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে।
পরবর্তীতে আরও কিছু ম্যাচ খেলেছে। ব্রাজিলের সাবেক কোচগুলোর মতো কার্লো নামের ভাড়ে কাউকেই দলে ডাকেনি। উনি পারফরম্যান্স অনুযায়ী দলে ডেকেছেন। গতকাল ব্রাজিলের ম্যাচ ছিল এশিয়ান পাওয়ার হাউজ জাপানের সাথে। এরা সেই জাপান যারা গত বিশ্বকাপে ইউরোপের বেশ কিছু বড় দলকে নাকানি চোবানি খাইয়েছিল। জাপান ম্যাচের আগে কোরিয়ার সাথে ব্রাজিল জিতেছিল পুরোপুরি ০-৫ গোলে। জাপানের সাথে ম্যাচে এইজন্যই হয়তো কার্লো কিছুটা এক্সপেরিমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেভাবে ডিফেন্সের দুইজন কে বসিয়ে রাখে। এবং নতুন দুইজনকে নামায়। বলতে গেলে পুরো ডিফেন্স ছিল এই ম্যাচে নতুন গত ম্যাচের তুলনায়।
পাশাপাশি মধ্যমাঠ এবং আক্রমনেও ছিল বেশ পরিবর্তন। যদিও আক্রমণভাগের খেলোয়ার মোটামুটি ঠিক ছিল। বলাই যায় কার্লো একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইছিল। খেলা শুরু হয়। প্রথম থেকেই ব্রাজিল মোটামুটি তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত ফুটবলটাই খেলছিল। এভাবেই চলছিল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল দেয় হেনরিক। ম্যাচে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এর ঠিক কিছুসময় পরে ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময় গোল দেয় মার্টিনেল্লি। তার গোলে ব্রাজিল পুরোপুরি ০-২ গোলে এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়। জাপান বেশ চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একইভাবে ব্রাজিলের ফুটবল এলোমেলো হয়ে যায়। ব্রাজিল ডিফেন্ডার ব্রুনো তখন একটা ডিজাস্টার করে দেয়।
প্রথম একটা বল প্রতিপক্ষ কে সহজভাবে দিয়ে দেয়। সেটা থেকে গোল দিয়ে জাপান এগিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় গোলটা আসে ওই ব্রুনোর পা থেকেই। অর্থাৎ পরবর্তী টা ছিল আত্মঘাতী গোল। সমতায় চলে আসে ম্যাচ। ম্যাচের ৭১ মিনিটের সময় জয়সূচক গোলটা করে জাপান। জাপান তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে। এইজন্যই হয়তো তাদের বলা হয় এশিয়ান পাওয়ার হাউজ। মূহুর্ত্তের মধ্যেই যেন সবকিছু পাল্টে গেল। পরবর্তীতে আর চেষ্টা করেও ব্রাজিল কোন গোল করতে পারেনি। ফলাফল ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে আনচেলওিরর ব্রাজিল। কার্লো এখন দলটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন। বলতে গেলে উনি এখনও নিজের সেই কাঙ্ক্ষিত স্কোয়ার্ড টা পাননি যেটা বিশ্বকাপে যাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1978377548045103216?t=tZLcu_MltfnK6t1aWrZ3QQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1978377889851555903?t=4XbDAxlvPJYwys2VI5WJlg&s=19