গন্তব্য নীলক্ষেত।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
প্রত্যেক মানুষেরই একটা পছন্দের কাজ থাকে। যে কাজটা তারারা করতে বেশ পছন্দ করে। তবে সবসময় সেটা করতে পারে না। আপনারা আপনাদের অবসর সময় কীভাবে অতিবাহিত করেন সেটা জানি না। তবে আমি চেষ্টা করি বই পড়ে আমার অবসর টা অতিবাহিত করার। যদিও সেগুলো আমার একাডেমিক কোর্সভুক্ত কোন বই না হা হা। হাতে সময় এবং পকেটে টাকা থাকলে আমার সবচাইতে পছন্দের কাজ নীলক্ষেত যাওয়া। নীলক্ষেত গিয়ে বই মার্কেট টা ঘুরে দেখে বই কেনা। এই হলো আমার সবচাইতে পছন্দের কাজ। কিন্তু শেষ কয়েক মাস নীলক্ষেত যেতে পারিনি নানা ব্যস্ততার জন্য। শেষবার নীলক্ষেত গিয়েছিলাম প্রায় ৫-৬ মাস আগে। এরপরে আর যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি।
কিন্তু গত শনিবার বিকেলে আমার হাতে বেশ অনেক টা সময় ছিল। সেই হিসেবে পরিকল্পনা টা আগেই করেছিলাম। রবিবার ছুটি হওয়াই শনিবার পরিকল্পনা টা করে ফেলি। শনিবার বিকেলে বের হয়ে যায়। প্রথম গন্তব্য গুলিস্তান এবং সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে নীলক্ষেত বই মার্কেট। অন্যান্য দিন যেখানে গুলিস্তান যেতে ২০ মিনিট লাগে এইদিন রাস্তায় ছিল প্রচন্ড জ্যাম। ফলে লেগে গেল এক ঘন্টা। যাইহোক গুলিস্তান গিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম নীলক্ষেত। রিক্সায় এই জায়গা টুকু যেতে আমার কাছে বেশ লাগে। তখন ঘড়িতে সময় ৬ টা। আকাশ ছিল মেঘলা হঠাৎ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। নীলক্ষেত গিয়ে যথারীতি বই মার্কেটে চলে যায়। প্রথম কাজ আগে ঘুরে দেখতে হবে।
তবে এইদিন শুধুমাত্র গল্প উপন্যাস কিনতে আমি নীলক্ষেত যায়নি। আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল জব প্রস্তুতি এর একটা বই কেনা। যথারীতি বেশ কয়েকটা দোকান খোজাখুজির পরে বইটা পেয়ে যায়। আমার মোট বাজেটের ৬০ ভাগ সেখানেই চলে যায়। বাকিটা দিয়ে আমি এখন কয়েকটা বই কেনার জন্য গেলাম। একটা দোকানে গিয়ে বই দেখতে শুরু করলাম। বেশ কিছু বইয়ের দাম জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু দেখলাম তাদের থেকে অনলাইন পেইজ গুলোতে কম দামে পাওয়া যাবে বইগুলো। এরপর আমি যে বইটা নিতে চেয়েছিলাম সেটা দেখতে শুরু করি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় উপন্যাস "শ্রীকান্ত"। শ্রীকান্ত এর চারটা খন্ড একএে ছিল এই এডিশনটার মধ্যে। শ্রীকান্ত এর দাম করার পরে দেখলাম আর একটা বই নিতে পারব।
তখন ভাবছিলাম কোন বইটা নিব। আর কিছু না ভেবে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর "সুন্দরবনে সাত বৎসর" বইটা নিয়ে নিলাম। এই বইটা অনেক দিন ধরেই আমার উইসলিস্টে ছিল। বই কেনা শেষ যখন হলো তখন বৃষ্টি হচ্ছে তবে আস্তে আস্তে। আরেকটা রিক্সা নিয়ে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে যাএা শুরু করলাম। তবে এবার বেশ জ্যামে পড়লাম। বেশ অনেকক্ষণ জ্যামে আটকে থাকার পরে আবার চলতে শুরু করলাম। হালকা বৃষ্টি এবং রোড লাইটের মেরুন আলোয় রাস্তাটা বেশ দারুণ লাগছিল। সবমিলিয়ে বাসায় পৌছাতে বেশ অনেক টা দেরি হয়ে গেল। বাসায় এসেই বইগুলো বের করে একটু নাড়াচাড়া করে রেখে দেয়। যদিও ইতিমধ্যে একটা বই আমি পড়ে শেষ করেছি। এখন সময় করে শ্রীকান্ত টা পড়া শুরু করতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.