হ-য-ব-র-ল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি বরাবরই ছাএরাজনীতির বিরুদ্ধে। শুধু ছাএরাজনীতি না রাজনীতি ব্যাপার টাই আমার কাছে গোলমেলে লাগে। শুধুমাত্র নিজের আখের গোছানোর জন্যই বতর্মানে মানুষ এই রাজনীতি তে আসে। আর নাম দেয় জনসেবা। কিন্তু সেই ব্যক্তি সর্বদা নিজের সেবা করতেই ব্যস্ত থাকে। তখন মনে হয় এরা হয়তো রাজনীতির সেই সঠিক অর্থ টাই জানে না। শিক্ষা প্রতিষ্টানে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীর কাজ কী? অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণ করা। নিজেকে জ্ঞানের সাগরে ডুবিয়ে রাখা। নিত্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করা। নিজেকে সঠিকভাবে সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করা। হ্যা অন্য দেশগুলো তে সম্ভবত এটাই হয়। কিছু বাংলাদেশে হয় না। কারণ বাংলাদেশে কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি পযর্ন্ত রয়েছে ছাএরাজনীতি।
আর এই ছাএরাজনীতি যে কিসে লাগে সেটা আমার তো জানা নেই। তৃভূবণে কারো জানা নাকী আমি জানি না। অবশ্য যারা এর পক্ষে আছে তারা কিন্তু যুক্তি দেখাতেই পারে। ছাএত্ব অবস্থায় শিক্ষার্থীরা থাকে তাদের একেবারে পিক টাইমে। যখন তাদের আবেগ ইচ্ছা শক্তি সবকিছুই বেশি থাকে। যে কেউ চাইলেও সামান্য চেষ্টাতে এদের মাথার মধ্যে কিছু দিয়ে অনেক বড় ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে মূহূর্তেই। আর এই বয়সের ছেলেরা যদি ক্ষমতার গন্ধ পায় তাহলে ঠিক কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা আমরা আগেও দেখেছি। ক্ষমতার লোভ যেখানে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক প্রবীণ মানুষ দমন করতে পারে না। সেখানে তো এরা মাএ তরুণ।এরা তো আরও পারবে না। এই কথাগুলো বলার কারণ বাংলাদেশে এখন সেটাই চলছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ভিপি, জিএস, এজিএস নির্বাচিয় হবে। আর এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের বতর্মান দুইটা মুখ্য রাজনৈতিক দলের লেজুড়ভিওিক ছাএ সংগঠন। নাম আর না বলি। এই নির্বাচন গতকাল হয়েছে। এরপর যা হয়ে চলেছে সেটা কোন স্বাভাবিক ঘটনা কখনোই না। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। কেউ ভোট কারচুপি করছে আবার কেউ সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কে থ্রেট দিয়ে আসছে। আবার শুনছি কখনও কখনও নাকী ভোট গণনার সময় ভেতরে লাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটাই চলছে সারারাত ধরে।
যদিও আমি স্যোসাল মিডিয়ায় নেই। তবে নিউজ দেখার সুবাদে এইটুকুই জানতে পেরেছি। না জানি ফেসবুকে থাকলে আরও কতশত আজব ভিওিহীন নিউজ চোখে পড়তো। যে সময় টা এই ছাএদের উচিত ছিল পড়ার টেবিলে অথবা গবেষণায় দেওয়া। কিন্তু তারা সেটা দিচ্ছে রাজনীতির মাঠে। কী হবে এটা করে। এই ছাএরাজনীতি করে এরা উদ্ধার করবে বলেন?? এগুলোর কোন দরকার আমি দেখি না। বাংলাদেশের মতো দেশে ছাএরাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে ধর্ম, জাতি, ছোট, বড় এগুলো ভুলিয়ে সবাইকে এক করে দেয়। সবাইকে একই শিক্ষা প্রদান করে। সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই রাজনীতি নিয়ে একে অন্য কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কী বাজে একটা অবস্থা। মানুষের বিবেকের কতটা অধঃপতন হলে এমন টা করতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1965692375516545417?t=onctr_cGUlsIXLcgTYhLFw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1965692563220054472?t=BRBqv6GcRXiQOrPwRrL4_A&s=19