রিয়ালের গোল উৎসব!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতকাল শনিবার একটা পুরোপুরি বাজে দিন গেছে রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যানদের জন্য। নিজেদের সবচাইতে বড় রাইভাল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এর কাছে খেয়েছে পুরোপুরি ৫ গোল। শেষ এমন ঘটনা হয়েছিল ১৯৫০ এর দিকে। মেজাজ কী পরিমাণ খারাপ ছিল সেটা বলে বোঝাতে পারব না। গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন লীগের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল। ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে খেলা দেখতে বসে গিয়েছিলাম। গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ছিল কাজাকিস্তানের ক্লাব কাইরাত আলমাতি। এটা এশিয়া অঞ্চলে হলেও ইউরোপীয় লীগের আন্ডারে পরে। ম্যাচের আগে প্রায় ৮ ঘন্টা জার্নি করে ম্যাচ ভেন্যুতে পৌছায় রিয়াল মাদ্রিদ। দলটা যে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারবে না এটা জানতাম। কিন্তু ফুটবলে সবকিছুই সম্ভব। গত ম্যাচের পরে বেশ চাপে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ কোচ শাবি আলোনচো।
রিয়াল মাদ্রিদ ৪-৪-২ ফর্মেশনে মাঠে। অন্য দিকে প্রতিপক্ষের ফর্মেশন ছিল এটাই। খেলাটা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে। ম্যাচের শুরুতে একেবারে প্রথম মিনিটেই দারুণ একটা সুযোগ পাই প্রতিপক্ষ কাইরাত। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। সেটা সেভ দিয়ে দেয় কর্তোয়া।এরপর বেশ কিছুক্ষণ ম্যাচে স্ট্রাগেল করতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রতিপক্ষ বেশ সুন্দর খেলতে থাকে। বেশ চাপে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে পুরোপুরি ফিরে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। আক্রমণ করতে থাকে। ম্যাচের তখন ২৫ মিনিট। ডিবক্সের মধ্যে মাস্তুয়ানতুনো কে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেয় কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫২ মিনিটের সময় কর্তোয়ার দেওয়া লং বল পেয়ে যায় এমবাপ্পে। সেটা দারুণ ভাবে গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ০-২ গোলে। ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় কিছু পরিবর্তন হয়। মাঠে নামে রদ্রিগো দিয়াজ রা। এরপর যেন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণ অনেক বেড়ে যায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটের সময় আর্দা গুলারের অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেটা ছিল ম্যাচে এমবাপ্পের তৃতীয় গোল। রিয়াল মাদ্রিদ তখন পুরোপুরি ০-৩ গোলে এগিয়ে। এরপর রদ্রিগো বাম পাশ থেকে বেশ দারুণ কিছু বল নিয়ে ডিবক্সে ঢুকে যেতে থাকে। তাকে আটকাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ কে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। ম্যাচের ৮৩ মিনিট তখন। তিন চারজনকে ড্রিবল করে ডিবক্সে ঢুকে যায়। এরপর বলটা পাস দেয়। সেই পাস থেকে হেডে গোল করে কামাভিঙ্গা। পুরোপুরি ০-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
এর কিছুক্ষণ পর। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ডিবক্সের মধ্যে বল পেয়ে যায় ব্রাহিম দিয়াজ। দারুণ একটা ফিনিশ করে গোল করে। রিয়াল মাদ্রিদ ০-৫ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে। শেষ ২০২১-২২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন লীগে পাঁচগোল করেছিল। পাঁচগোল খেলেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বেশ কিছু দারুণ সেভ দেয়। ম্যাচে সে ৭ টা সেভ দেয় সবমিলিয়ে। এবং গোলরক্ষক এর বয়স ছিল মাএ ১৮। এটা আমাকে বেশ অবাক করেছে। সবমিলিয়ে দারুণ এক ম্যাচ ছিল মাদ্রিদ ফ্যানদের জন্য। বলতে গেলে খেলাটা বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। তবে মাদ্রিদ কে বড় দলের সাথে ভালো করতে হবে। এটা না হলে এই সিজেনেও কোন ট্রফির দেখা পাব না। পুরোপুরি ট্রফিহীন থাকতে হবে। পাশাপাশি বড় ব্যবধানে হারতেও হতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task