বহুদিন পরে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কুষ্টিয়া যখন প্রতিদিন যেতাম তখন হরিপুর ব্রীজের নামটা অনেক বেশিই শুনতাম। তবে আমি যেতাম ক্লাস করতে। ঐসবের পরে আর ঐভাবে কখনোই যাওয়া হতো না ওখানে। ২০২১ সালে একটা ঘটনাচক্রে হরিপুর ব্রীজে গিয়েছিলাম। তখনও আমাদের কুমারখালীর ব্রীজটা হয়নি। হরিপুর ব্রীজে তখন বিকেলে অনেক মানুষ হতো। আর ছুটির দিন হলে তো সেই মানুষের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যেত। ২০২১ সালের পরে আর কখনও আমার হরিপুর ব্রীজে যাওয়া হয়নি। তবে অনেক সময় দেখতাম অনেকেই চলে গিয়েছে। একেবারে নিদারুণ সত্য হচ্ছে এই জায়গাটা কখনোই আমাকে ঐভাবে টানে নি। কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে ঘুরে এলাম। এবার টুটুল ভাইয়ের সাথে ঘোরাঘুরি করেছি বেশি।
একদিন বিকেলে দুজন কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। কোথায় যাব কোথায় যাব করতে করতে দুজন চলে গেলাম হরিপুর ব্রীজে। এখন নদীর পানি অনেক বেশি। এইজন্যই সৌন্দর্য টা যেন বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। প্রথমে আমরা ব্রীজের উপরেই দাঁড়ায়। সুন্দর নীল আকাশ পরিষ্কার আবওহাওয়া এবং তারই সাথে নদীর বয়ে চলা নীল জলরাশি। সবমিলিয়ে অসাধারণ লাগছিল সবকিছু। বেশ কিছুটা সময় আমরা উপরে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। অনেকেই নৌকা করে ঘুরছিল নদীর মাঝে। যদিও আমার নৌকায় উঠার ইচ্ছা ছিল কিন্তু টুটুল ভাইয়ের জন্য সেটা আর হলো না। এরপর শুরু হলো টুটুল ভাইয়ার ছবি তোলা। একের পর এক ছবি আমি তাকে তুলে দিতে থাকলাম। কিন্তু সেগুলো কিছুতেই তার পছন্দ হচ্ছিলো না। ।
আসলে ভাইয়ের বিয়ের কথা চলছে তো এইজন্যই হয়তো ছবিগুলো একেবারে পারফেক্ট না হলে ভাইয়ের কিছুতেই চলবে না ব্যাপার টা এমন। যদিও আমি নিজের খুব বেশি ছবি তুলিনি। তবে নিজে থেকেই কয়েকটা সেলফি নিয়েছিলাম। তখন ব্রীজের উপর অনেক টা সময় কাটিয়ে ফেলেছি আমরা। সূর্য শেষ আকাশে হেলে পড়েছে। আমরা দুজন তখন চলে গেলাম ব্রীজের নিচে একেবারে নদীর কাছে। যেখান থেকে নদীর পানির বয়ে যাওয়া কলকল শব্দটা বেশ ভালোভাবে অনুভব করা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে দারুণ কেটে যায় আমাদের সময় টা। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসে। আমাদের ঘোরাঘুরি ওখানে শেষ হয়। আমরা কুষ্টিয়া শহরের দিকে আসি। প্রায় চার বছর পরে আবার গিয়েছিলাম ওখানে। অনূভুতি টা সত্যিই অন্যরকম।
কুষ্টিয়ার মধ্যে এসে আমরা দুজন হালকা নাস্তা করার জন্য বনফুড রেস্টুরেন্টে যায়। এটাও কুষ্টিয়ার মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তবে মজার ব্যাপার তার আগে আমি কখনোই ওখানে যায়নি হা হা। যাইহোক ওখানে গিয়ে হালকা নাস্তা করি। যদিও সেটা একেবারেও হালকা ছিল না। আমি সাধারণত কুষ্টিয়ার মধ্যে অন্য রেস্টুরেন্টে বেশি যেতাম যেখানে মোটামুটি গল্প করা যায় সময় কাটানো যায়। সেদিক থেকে বনফুড খাওয়ার জায়গা হিসেবে ঠিক আছে। কিন্তু সময় কাটানোর জন্য একেবারেই উচিত জায়গা না। সবমিলিয়ে বিকেল টা আমার মোটামুটি বেশ ভালো কেটেছিল। অনেকদিন পরে সেই একই রুটিনের বাইরে কিছু করছিলাম অন্যরকম অনূভুতি হচ্ছিলো।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1966764051029275089?t=fr5GGBQXSuY7P0L2UQozCA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1966764302045770132?t=S1j1V6DM0Rqi0_BTd3abbA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1966764458543583409?t=hSKP4kBoCDoZH3O_TOK47w&s=19