অপচয় ( দ্বিতীয় পর্ব )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
নিজের সম্পত্তি না পাওয়া। এইসব ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে আলিফ। তার মা কে নিয়ে দুঃখের মধ্যে দিয়ে ওদের দিন কাটতে থাকে। ঐসময় স্যারের পরামর্শে আলিফ কুমারখালীর বেশ কিছু প্রভাবশালী লোকের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন লাভ হয়নি। আলিফ বুঝে পাইনি তার সেই সম্পত্তি। ক্রমশ বছরটা এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু আলিফ লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারে না। আলিফ রীতিমতো খারাপ সঙ্গে পড়ে যায়। বেশ কিন্তু খারাপ বন্ধু হয়ে যায় আলিফের। ফলশ্রুতিতে ক্লাসে টিউশনিতে আসা কমিয়ে দেয় আলিফ। এবং কিছুদিনের মধ্যে সিগারেট ধরে। যদিও ততদিনে শুধু সিগারেটের মধ্যেই ব্যাপার টা ছিল কীনা আমার জানা নেই।
নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল দেয়। রাসেল আমি, লিখন সবাই অনেক ভালো রেজাল্ট করি। সোজা বাংলায় জিপিএ ৫ পাই। কিন্তু আলিফ পাইনি। আমাদের থেকে ভালো স্টুডেন্ট হয়েও ও পাইনি। পুরো বছর ঐভাবে ও লেখাপড়া করেনি। পাশাপাশি নানা সমস্যা তো আছেই। সামনের বছর এসএসসি। প্রথম থেকেই ভালো করে পড়তে হবে। আমিও বছরের প্রথম থেকেই ভালো করে লেখাপড়া শুরু করলাম। কিন্তু আলিফ আগের মতোই অনিয়মিত। অর্থাৎ ভালো করার কোন ইচ্ছা ওর মধ্যে আর জেগে উঠলো না। ক্রমাগত ভালো লেখাপড়া করার জন্য স্যারের কাছে একটা ভালো ইমেজ তৈরি হলো আমার। স্যার আমাকে তার গুডবুকে তুললেন।
এভাবেই চলছিল। এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো করলাম। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না। ফলাফল স্যারের কাছে বকুনি খেয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া শুরু করলাম। কিন্তু আলিফের অবস্থা আরও খারাপ। আলিফ টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করল। প্রধান শিক্ষকের বিশেষ বিবেচনায় এসএসসি পরীক্ষার ফর্মফিলাপ করতে পারলো আলিফ।
এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলো। যথারীতি ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিলাম। প্রথম পরীক্ষা বেশ ভালো হলো। কিন্তু আলিফের ভালো হলো না। আমাদের সামনে ছিল আলিফের সিট। দেখলাম ও সেরকম কিছুই লিখতে পারছে না। শুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। বেশ কয়েকটা পরীক্ষা শেষ হলো। ঐদিন ধর্ম পরীক্ষা আমাদের। হঠাৎ পরীক্ষা হলো উপজেলা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আসলো। উনি শিক্ষার্থীদের চেক করলেন। মোটামুটি ১৫ জনের কাছ থেকে স্মার্টফোন পেলেন। এরমধ্যে একজন ছিল আলিফ। ঐদিন আর পরীক্ষা দিতে পারলো না আলিফ সহ বাকি ১৪ জন। তখন শুনেছিলাম ওদের নাকী বহিষ্কার করবে এসএসসি পরীক্ষা থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওদের ক্ষমা করে। অর্থাৎ ওরা বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে পারবে।
শেষ হলো আমাদের এসএসসি পরীক্ষা। আমাদের ধারণা ছিল আলিফ ফেল করবে। কারণ ঐদিন ওদের খাতা ১ ঘন্টার কিছুসময় পরেই নিয়ে নিয়েছিল। আমরা সবাই ভালো রেজাল্ট নিয়ে এসএসসি পাশ করলাম। যাদের কে ধর্ম পরীক্ষায় বের করে দেওয়া হয়েছিল বাকি ১৪ জন ফেল করল পাশ করল শুধু আলিফ। কিন্তু ওর ফলাফল খুব একটা ভালো না। আমি এবং আমার কিছু বন্ধু নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এবং রেজাল্ট ভালো হওয়াই পছন্দের সাবজেক্ট ও পাই। কিন্তু আলিফ পাইনি। আলিফের চান্স হয় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অটোমোবাইল ডিপার্টমেন্টে। ও ঢাকাতে চলে আসে লেখাপড়া শুরু করে। আমরা কুষ্টিয়াতে কলেজে ভর্তি হয়। আলিফের সাথে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় আমাদের। এভাবেই চলে আসে ২০২১ সাল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1964611419888099752?t=Uf8o7r34jK4FnVdnek5UMA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1964611672439714135?t=DpzX3pW3Q8TW_lDVfTCTRg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1964612122001981566?t=zbIH37c1svWmY5AI7oCymQ&s=19