নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাঙালির সবচাইতে পছন্দের জিনিস হলো আড্ডা। বলতে পারেন এই আড্ডা জিনিসটা ছাড়া বাঙালির পেটের ভাত হজম হয় না। যদিও এখন ফোন ইন্টারনেট এসবের যুগে আড্ডাটা আর আগের মতো একেবারেই নেই। কিন্তু আড্ডার মধ্যেই রয়েছে জীবনের এক অন্যতম দিক। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। সত্যি বলতে ফোন হাতে নেওয়ার সময় খুব একটা পাই না। আর এটা একদিক থেকে ভালোই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা হয়। আড্ডার টপিক যেকোনো সময় বদলে যায়। এক এক টপিকের সাথে অতীতের কোন ঘটনা উঠে আসে। আমার চাচাতো ভাই রোহান। আমার থেকে বছর চার পাঁচ এর বড় হলেও আমার সাথে সম্পর্কটা একেবারে বন্ধুর মতো।
আমি নিজের সবকিছুই ভাইয়ার সাথে শেয়ার করি। আগে ভাইয়ার সাথে বেশ ভালোই আড্ডা দিতাম। কিন্তু এখন আর সেরকম হয়ে উঠে না। কারণ ভাইয়া গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছে। এবার ঈদে বাড়ি গিয়ে অধিকাংশ দিন ভাইয়া ছিল শ্বশুরবাড়িতে । বউকে একটু বেশিই ভালোবাসে তো এইজন্যই আর কী। বুধবার রাতের কথা। বাড়ি ফিরে দেখি ভাইয়া বাড়িতে ফিরেছে। ঐদিন ছিল দারুণ এক পরিবেশ। আকাশে চমৎকার একটা চাঁদ। চাঁদের আলোয় চারিদিক ভেসে যাচ্ছে। অসংখ্য নক্ষত্র আকাশে। তখন রাত ১১ টা বাজে। আমি এবং রোহান ভাইয়া চলে গেলাম বাড়ির ছাদে। ততক্ষণে আমাদের বাড়ির প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ছাদে গিয়ে দুজন বসলাম। শুরু হলো কথাবার্তা।
মোটামুটি বছরখানেক পরেই ভাইয়ার সাথে এমন আড্ডা দেওয়ার পরিবেশ হলো বলতে হয়। এরমধ্যে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের কিছু ট্রাজেডি ভাইয়ার সাথে শেয়ার করলাম। বিয়ের পরে ভাইয়ার জীবনের কতটা পরিবর্তন হয়েছে কীভাবে হয়েছে সেটা ভাইয়া আমাকে বলল। একপর্যায়ে গিয়ে খারাপ লাগছিল। কী এক অদ্ভুত ব্যাপার না বিয়ের পরে চলতে হবে কীনা অন্যজনের ইচ্ছায়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছি। বাসার ছাদ থেকে সামনে তাকালে বিশাল একটা মাঠ। এখন মাঠে কোন ফসল নেই এইজন্য যেন আরও বড় দেখাই। চাঁদের আলোয় সেই মাঠ কী অসাধারণ লাগছিল। গরমের রাতে সুন্দর বাতাস এসে প্রাণ খেলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। । ঐরকম পরিবেশে আমার জীবনানন্দ দাশের কবিতা বেশ মনে পড়ছিল।
বিশেষ করে হাওয়ার রাত কবিতার প্রথম দুইটা লাইন বেশিই মনে পড়ছিল।
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল
অসংখ্য নক্ষত্রের রাত
সারারাত বিস্তির্ণ হাওয়া খেলেছে আমার মশারিতে।
ঐরকম পরিবেশে জীবনানন্দের কবিতা একটু বেশিই মনে পড়ে বলতে হয়। তবে তক্ষণাৎ একটা অন্যরকম শখ হলো। আমি কবিতা আবৃওি করলেও কখনও ভিডিও আকারে করিনি সেই সাহস টা করেই ফেললাম। রোহান ভাইয়াকে ফোনের ক্যামেরা টা এমনভাবে ধরতে বললাম যেন আমার পেছনে চাঁদটা দেখা যায়। এবং আমি আবৃত্তি করলাম জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতা টা। সবমিলিয়ে আড্ডা চলল কয়েক ঘন্টা। আড্ডা শেষ করে নিজের রুমে গেলাম রাত ২ টার দিকে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1941061248470396961?t=EOJ7z6_D7We7CYTSfNMCMQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1941061451248246839?t=xmgoQkPsrxEmZQNNMr-tIQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1941061759621853653?t=NNENEiATjxVBziMt4kZxFw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নতুন বিয়ে করলে এরকম হয় ভাই বেশিরভাগ সময় শশুর বাড়িতে থাকা হয়। আপনার ভাইয়ের সাথে ছাদে গিয়ে চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন ভাই।