দূরত্ব!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মাঝে মাঝে সবকিছু থেকে দূরত্ব তৈরি করতে হয়। পরিচিত মানুষের সাথে চিরচেনা সেই পরিবেশের সাথে সেই অনূভুতি গুলোর সাথে যাদের সাথে আপনি দীর্ঘদিন রয়েছেন। দূরত্ব টা ঠিক কী কারণে তৈরি করবেন এই প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। দূরত্ব তৈরি করার একমাত্র কারণ একেঘেয়েমি দূর করা। সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়া। এতে কর আপনার মধ্যে থাকা একঘেয়েমি বিরক্তি ভাবটা কেটে যাবে অথবা কিছুটা কমে যাবে। এটা আমার একেবারেই ব্যক্তিগত একটা মতামত। দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের মানুষ একই ধরনের পরিবেশের মধ্যে থাকতে থাকতে যেকোনো সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে যাবে। এটা একেবারেই স্বাভাবিক। এখান থেকে পরিএানের সেই উপায় আমি নিজেও প্রতিনিয়ত খুঁজে চলেছি।
এইতো শুক্রবারের কথাই বলি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মধ্যে একপ্রকার উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন রুপ নিজের পরিস্থিতি আর সবার নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। এগুলো দেখতে দেখতে আমি একপ্রকার ক্লান্ত হয়ে গেছি। এগুলো থেকে আমার রেস্ট এর প্রয়োজন ছিল খুবই জরুরি ভাবে। এইজন্য সবার আগে দরকার সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা। হ্যা শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও আমি মাঝে মাঝে এটা করি। মোটামুটি সবার সাথেই যোগাযোগ বন্ধ করি। অনেকের মনে হতে পারে কীভাবে?? বতর্মান সময়ে এটার সর্বোকৃষ্ট উপায় হলো স্যোসাল মিডিয়া থেকে অফলাইন হয়ে যাওয়া। আমি এখন মোটামুটি ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার সহ বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই।
এটার কারণ ঐ সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া। আর কেউ যদি নিতান্তই আমার খোঁজ নিতে চাই তাহলে সরাসরি কন্ট্যাক্ট করার উপায় টা আছে। তবে সেরকম কেউ নেই বললেই চলে। আমাকে চমকে গিয়ে গতকাল আমার এক বন্ধু ফোন দিয়েছিল। এবং ওর প্রথম প্রশ্ন ছিল কিছু না বলে হঠাৎ এমন উধাও হয়ে যাওয়ার মানে কী। সত্যি বলতে আমি ওকে পুরোটা বলিনি। কারণ আসল কারণ ও নিজেও বুঝতে পারবে না। বতর্মান সময়ে এখন মানুষ খুবই কম। আমাদের চারপাশে যেগুলো আছে তারা হচ্ছে ভূত। স্যোসাল মিডিয়ায় এরা এমন কিছু করবে যেগুলো আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলবে। এটা থেকে বাঁচার উপায় দুইটা। প্রথমত আপনাকেও ওদের মতো ভূত হতে হবে। কিন্তু আমি সেটা কখনোই পারব না। আর দ্বিতীয় উপায় এগুলো থেকে দূরত্ব তৈরি করতে হবে। যেটা অধিকতর সহজ মনে হয়েছে আমার কাছে।
এইজন্যই আমি মোটামুটি দূরত্ব টা তৈরি করেছি। বতর্মান জেনারেশনের ডিপ্রেশনের কারণ এই স্যোসাল মিডিয়া। এইজন্যই এগুলো থেকে দূরে থাকাই উওম। আপাতত এইরকম আছি। কারো সাথে যোগাযোগ নেই। কোন আজাইরা কিছু চোখে পড়ছে না। কোন নেগেটিভিটি আমাকে স্পর্শ করছে না। সর্বোপরি মানুষের যে একটা বাজে দিকে স্যোসাল মিডিয়ায় ফুটে ওঠে অতিরিক্ত দেখানোর যে ব্যাপার টা। এটা আমার দেখা লাগছে না। এটাই আমার কাছে বেশি বিরক্ত লাগে। আপাতত এগুলো থেকে দূরে আছি। নিজেকে কিছুটা মানুষ বলে মনে হচ্ছে। হ্যা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো কয়েকজন যোগাযোগ করবে যখন আমাকে ম্যাসেনঞ্জারে টেক্সট করে পাবে না তখন আর কী। দূরত্ব জিনিসটা খারাপ না। আমি আছেন কিন্তু আপনার উপস্থিতি সম্পর্কে কেউ জানে না। ব্যাপার টা দারুণ না!!!
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1957718641899610563?t=TrISzX6G-w7TDCA7z_cm1Q&s=19
https://x.com/Emon423/status/1957718823596945729?t=avS0jHnsTzXLT0cwavVe1w&s=19
https://x.com/Emon423/status/1957719081089659098?t=6u8pe0iy3iYdwFWTpOWT1Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.