ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এই প্রথম ৩২ দল নিয়ে এতো জাকজমকভাবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। বিভিন্ন দেশের ৩২ টা ক্লাব এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। গতকাল রাতে ছিল ক্লাব বিশ্বকাপ এর ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং ফরাসি ক্লাব পিএসজি। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে গিয়েছে পিএসজি। এবং পিএসজি বেশ দারুণ খেলছিল। সেজন্য সবার ধারণা ছিল ম্যাচটা পিএসজি জিতবে। কিন্তু ফুটবল মাঠে যে সবাই সমান সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছে চেলসি। পিএসজি মাঠে নামে তাদের সেই চিরচেনা ফর্মেশন ৪-৩-৩ তে। অন্যদিকে চেলসির ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১। পিএসজির সবচাইতে শক্তিশালী জায়গা মিডফিল্ড বলা যায়। সেই জায়গাটাই ডমিনেট করে খেলেছে চেলসি।
খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত একটাই। এই সিজেনে একেবারে শুরু থেকেই পিএসজি অন্য দলগুলো কে বেশ চাপের মুখে রেখেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে একেবারে ভিন্ন জিনিস ঘটে। উল্টা পিএসজিকেই চাপের মুখে ফেলে দেয় চেলসি। একেবারে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। এইজন্যই গোল পেতে বেশি দেরি অবশ্য করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফিনিশ করে চেলসির কোল পালমার। কোল পালমারের দৃষ্টিনন্দন গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় চেলসি। এরপর পিএসজি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠে না। উল্টা ম্যাচের ৩০ মিনিটে আবার গোল হজম করে বসে পিএসজি। এবারও সেই কোল পালমার। প্রথম গোলের পূণরাবৃওি করে ফেলে পালমার।
একেবারে প্রথম গোলের মতো অসাধারণ ফিনিশ করে দ্বিতীয় গোল করে দেয় পালমার। পরপর দুই গোল খেয়ে পিএসজি তখন দিশেহারা। কারণ এই টুর্নামেন্টে এর আগে পিএসজি ৬ ম্যাচে গোল খেয়েছিল মাএ একটা। এভাবে খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটের সময় আবার সেই কোল পালমার। তবে এবার আর গোল করে না করিয়ে। কোল পালমারের সুন্দর এক অ্যাসিস্টে দোনারুম্মা কে বোকা বানিয়ে পিএসজির গোলে বল পাঠায় জোয়াও পেদ্রো। পুরোপুরি ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে বেশ গুছিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ম্যাচে ফিরে আসার। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে।
কখনও দেম্বেলে কখনও কাভারা আবার কখনও দুয়ে কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। অর্থাৎ কোন লাভ হয়নি। পিএসজির সব আক্রমণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে চেলসি গোলরক্ষক সানচেজ এর কাছে গিয়ে। এই ম্যাচে সানচেজ ছিল এককথায় অসাধারণ অপ্রতিরোধ্য। সম্ভবত এটা ছিল তার জীবনের সবচাইতে সেরা ম্যাচ। পুরো সময় চেষ্টা চালিয়েও কোন গোল আদায় করতে পারেনি পিএসজি। ফলাফল ম্যাচে ৩-০ গোলের জয় পাই চেলসি এবং ফাইনাল টা তারা জিতে নেয়। অর্থাৎ চেলসি ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে পিএসজি খেলোয়াদের সাথে চেলসির খেলোয়াদের কিছুটা হাতাহাতি হয় । এবং সেই মূহূর্তে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চেলসির তরুণ খেলোয়ার জোয়াও পেদ্রোকে থাপ্পড় মেরে বসে। যেটা একেবারে অনাকাঙ্খিত ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.