যুগের হাওয়া!!

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ই সেপ্টেম্বর ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000588457.jpg


আমাদের সময়ে শিক্ষক অর্থ ছিল একেবারে ভিন্ন কথা। আমরা সবসময় শিক্ষকের ভয়ে তঠস্থ থাকতাম। বিশেষ করে এমন কিছু শিক্ষক ছিল যাদের সামনে দিয়ে যেতেও ভয় পেতাম। রাস্তায় দেখা হলেই সাইকেল থেকে নেমে পড়তাম। তেমনই একজন ছিল আমাদের প্রধান শিক্ষক শহিদুল স‍্যার। আমার লাইফে আমি তার মতো কঠোর শিক্ষক খুবই কম দেখেছি। তখন শিক্ষকের ব‍্যক্তিত্ববোধ ছিল। তারি অর্থকষ্টে থাকলেও কখনও নীতির বাইরে যাননি। এমন কিছু করেননি যেন শিক্ষকতা পেশার অবমাননা হয়। সবসময় তারা চেষ্টা করেছে সঠিক পথে থাকার। ছাএদের কে সঠিক পথ দেখানোর। আমরা অনেকেই স‍্যারের থেকে সময়জ্ঞান শিখেছি। স‍্যারের যে কঠোর নিয়ম সেটা পালন করতে গিয়েই শিখে গেলাম নিয়ম মেনে চলা।

আর অন্য দিকে ছাএরা এখন শিক্ষক কে অপমান করে। অনেক জায়গা তো ধরে পিটিয়ে দেয় শুনেছি। আমাদের সেই স্কুলেই এখন ছাএরা কিছু শিক্ষক কে গালাগালি করে তাদের সামনে। কিন্তু শিক্ষক হয়েও তার সেটার যথাযথ ব‍্যবস্থা নিতে পারে না। কেন পারে না এটা বলতে গেলে বলতে হয় তাদের দূর্বলতা। একটু বুঝিয়ে বলি। প্রায় একমাস মতো ফেসবুক নামক যন্ত্রণা থেকে দূরে আছি। ঐদিন একটা প্রয়োজনে ফেসবুক একাউন্টে লগইন করেছিলাম। সম্ভবত কারো একজনের কন্ট‍্যাক্ট নিতে গিয়েছিলাম। ফেসবুক ঢুকেই প্রথমে নিউজফিডে একটা ভিডিও সামনে পড়লো। আমার এক ছোট ভাই ভিডিও টা শেয়ার করেছে। সেটা ওর এক স‍্যারের একাউন্ট থেকে শেয়ার করা। এবং ঐ স‍্যার আমাদের স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক। যদিও আমাদের সময়ে ছিল না। সে নাকী নতুন এসেছে কয়েক বছর।



ভিডিও টা আমি কয়েক সেকেন্ড দেখলাম। ভিডিও তে এসে শুধুমাত্র ছাবলামি করেছে ঐ স‍্যার এবং সঙ্গে আরও কয়েকজন। তারাও নতুন যোগদানকৃত শিক্ষক। তাদের মধ্যে কোন ব‍্যক্তিত্ব আমি দেখলাম না। পরবর্তীতে তার ফেসবুক প্রোফাইল টা আমি ঘুরে দেখলাম। দেখলাম পুরো প্রোফাইল জুড়ে শুধু ঐরকম পাগলামি করেছে। এর কাছে সাপোর্ট চেয়েছে ওর কাছে Follow চেয়েছে। পুরো প্রোফাইল জুড়ে শুধু এটাই রয়েছে। আমি একটা কমেন্ট করলাম। যদি শিক্ষকতা করে না পোষায় অন্য কোন পেশা দেখেন। তারপরও এই ফেসবুকে এসে কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর নামে নিজের মুখ দেখিয়ে ডলার ইনকাম করার চেষ্টা বাদ দেন। তিনি আমার কথাটা ভালোভাবে নেন নাই। এবং আমাকে রীতিমতো কাউন্টার দিয়ে আরেকটা কথা বলেছে। আমি আর কোন জবাব দেয়নি।

ঘন্টাখানেক পরে দেখি ঐ ভিডিও এর কমেন্টবক্স পুরোপুরি গরম। আমার কথার যে কাউন্টার ঐ শিক্ষক দিয়েছে তারই বতর্মান ছাএরা এসে তাকে এককথায় ধুয়ে দিচ্ছি। ছাএরা তাকে ইচ্ছামতো বলছে যার যা ইচ্ছা। বেশ কিছু ছাএ আমাকে কথার সাথে একমত হয়েছে। একজন তো বলেই বসলো স‍্যার এরা স্কুল মাঠে এসবই করে। শুধু এরা না পুরো বাংলাদেশের একটা বৃহৎ অংশের মানুষের এই সমস্যা। এখন সবাই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। সবাই ডলার ইনকাম করছে। একজন ছাএরা যদি দেখে তার শিক্ষক ফেসবুকে এসে ঠ‍্যাষ্টামো করছে। কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর নামে লোক হাসাচ্ছে। তাহলে তার প্রতি কীভাবে একজন ছাএ অনুগত হবে। সেই ছাএ তো ঐ শিক্ষক কে দেখে অসম্মান করবেই। কারণ সেই জায়গাটা তো উনিই তৈরি করে দিয়েছেন।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png