তবুও মনে পড়ে( চতুর্থ পর্ব )!!

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago (edited)


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ১০ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000584668.png

source


তৃতীয় পর্বের পর


শুক্রবার দিনটা বরাবরই অদ্ভুতভাবে কেটে যায় অরিএের । অফিস না থাকলেও দিনটাতে ও কখনোই বসে থাকতে পারে না। তবে আজ ও সময় বের করেছে। বিকেল চারটার দিকে বের হয়ে যায়। অদিতি আসার আগেই ওকে পৌছাতে হবে। ও নিজে গিয়ে অপেক্ষা করবে। সেই কলেজের সময় থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। যখনই ওরা দেখা করতো অরিএ আগে গিয়ে অপেক্ষা করতো। টিএসসিতে গিয়ে অরিএ বসে আছে। শুক্রবার দিনটাতে ঐ জায়গাটাই বেশ ভীড় থাকে। অরিএের ফোন বেজে উঠে। হ‍্যা অদিতি কল করেছে। তাহলে নিশ্চয়ই ও চলে এসেছে। কিন্তু কোথায় ও ভাবতে ভাবতে কলটা রিসিভ করে অরিএ।

হ‍্যা অরিএ তুমি কোথায়? আমি তো টিএসসিতেই অপেক্ষা করছি জবাব দেয় অরিএ।

নিজেদের জায়গার বর্ণনা দিতে দিতে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। অবশেষে অরিএ দেখতে পাই অদিতি কে। অদিতি সেই আগের মতোই রয়েছে। কোন পরিবর্তন হয়নি ওর মধ্যে। এখনও যদি কলেজের সেই ড্রেস পড়ে আসে মনে হবে কলেজে পড়া সেই মেয়ে। আর চোখের দিকে তাকিয়ে থেকেই অসংখ্য ক্লাস অমনোযোগের সাথে কেটেছে অরিএের।

অরিএকে দেখে একটা হাসি খেলে যায় অদিতির মুখে। অরিএ নিজেও তার হাসি লুকাতে পারে না। সেই রেশ লেগেই থাকে তার মুখে। অবশেষে আবার চার বছরের বেশি সময় পরে দুজন সামনাসামনি। দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য চোখাচোখি হয়ে যায়।

চলো কোথাও গিয়ে বসা যাক কথাটা প্রথমে অদিতিই বলে। হ‍্যা চলো এখানে এতো ভীড় কথা বলা যাবে না ঐভাবে। ঠিক আছে দাঁড়াও একটা রিক্সা দেখি কথাটা বলে অরিএ। একটা রিক্সায় দুজনেই উঠে বসে। অরিএের পাশে অদিতি। রিক্সাওয়ালাকে একটা রেস্টুরেন্টের নাম বলতেই রিক্সাওয়ালা চলতে শুরু করে।

বাকিটা রাস্তা রিক্সায় ওরা ঐভাবে কোন কথা বলেনি। রেস্টুরেন্টে টাতে পৌছে দুজন ভেতরে চলে যায়। এবং একটা টেবিলে বসে পড়ে। এই জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছে অরিএ। এদিকে খুব একটা মানুষ আসে না। দুজনের মধ্যে আরও একবার চোখাচোখি হয়ে যায়। কথাটা কে আগে বলবে কী বলবে এটা নিয়েই যেন দুজনের মধ্যেই একটা সংশয় কাজ করে যাচ্ছে।

সেই নিরবতারবতা ভেঙে অদিতি বলে হঠাৎ এতদিন পরে আবার যোগাযোগ করলে যে।

আবার যোগাযোগ করে তোমাকে খুব অসুবিধায় ফেলে দিলাম না? আমি তো তোমাকে ছেড়ে গিয়েছিলাম। সবার বিপরীতে গিয়ে তোমার হাত ধরতে পারেনি। বিয়ে করে নিয়েছি। এতদিন পর যখন তুমি স্বামী সংসার নিয়ে সুখে আছে আবার আমি এসে তোমাকে ঝামেলায় ফেললাম।

এভাবে বলছ কেন। প্রথম ভুলটা তো আমিই করেছিলাম। যে মেয়ের জীবনে ঐরকম একটা অতীত থাকে তাকে কোন পরিবার মেনে নিতে চাইবে না এটাই তো স্বাভাবিক। তুমি মেনে নিয়েছিলে সেটা তো ভিন্ন কথা।
অতীত কে টেনে নিয়ে এসে দুজনেই নিজেদের কে দোষী দাবি করতে থাকে। যেখানে বতর্মান সময়ে একে অন‍্যকে দোষ দিতে পারলে সবাই বেঁচে যায়। সেখানে ওরা নিজেদের উপর দোষ নিচ্ছে। এটাই কী তাহলে ভালোবাসা। যেটা এখনও ওদের মাঝে বতর্মান।

অরিএ এবার বলল পরিবার মেনে নিবে না কেন। আমার পরিবার মেনে নেয়নি সেটা বলো। তোমার স্বামীর পরিবার তো ঠিকই মেনে নিয়েছে। কথাটা দ্বারা অরিএ যেন নিজের পরিবারকে দোষী করে দেয়।

এবার হঠাৎ হাসতে শুরু করে অদিতি। সবই ঠিক আছে। কিন্তু তুমি বার বার আমার স্বামী আমার সংসার আমার শ্বশুরবাড়ি এসব কথা কেন বলছ? ঐদিন ফোনে কথা বলার সময় আমার বাচ্চার কথাও বলেছিলে। যাইহোক তখন তোমাকে বলিনি কিন্তু এখন বলছি আমি বিয়ে করিনি। আমি এখনও সিঙ্গেল....!!!

চলবে....



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png