পুরাতন অ্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন সুস্থ্য আছে। আমি ভালো আছি। তবে এমন একটা সময়ে আছি যখন সবকিছুতে একসঙ্গে ভালো থাকতে কিছুতেই পারি না। কোন না কোন সমস্যা সর্বদা এসেই থাকে। এই যেমন এখন আছিছি নতুন বাসা খোজার ঝামেলায়। ঢাকা শহরে এর থেকে ঝামেলার হয়তো আর কিছু নেই। প্রথমত সেরকম ভালো বাসা পাচ্ছি না দ্বিতীয় অন্য জায়গাই যাওয়ার যে একটা যন্ত্রণা সেটা এককথায় বলে বোঝানো যাবে না। যাইহোক সেসব তো চলতেই থাকবে। আজ আমি আপনাদের সাথে আরও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেব। আশাকরি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
- আজ শুরু করলাম একটু ব্যতিক্রমভাবে আমার নিজের ছবি দিয়েই। তবে এখানে শুধু আমি একা না সাথে আমার এলাকার দুই বন্ধু এবং এক ছোট ভাই রয়েছে। ২০২২ সালের কথা। প্রতিদিন বিকেলে আমরা মাঠে গিয়ে আড্ডা দিতাম। সবুজ ঘাসের উপর বসে থাকতাম। ঐসময়ের ঐ মুক্ত বাতাসে ঘাসগুলো দুলে উঠতো। আমাদের প্রাণ জুড়িয়ে যেত এককথায়।
- তখন আষাঢ় মাস চলছে। সেরকম বৃষ্টি শুরু হয়নি। তবে প্রায় দিনই মেঘে আকাশ কালো হয়ে আসে। এইরকম একদিন দুপুরের পরের কথা। চারিদিক কালো হয়ে গেল। শুরু হলো বাতাস। ফসলের ক্ষেত সেই বাতাসে দুলতে শুরু করল। কী সুন্দর কী চমৎকার সেই দৃশ্য। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলার কথা তো শুনেছেন এবং আশাকরি খেলেছেন। কিন্তু কখনও বৃষ্টির মধ্যে ক্রিকেট খেলা দেখেছেন?? আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বৃষ্টি হলে খেলা বন্ধ রাখে। এটা আমার এলাকার ফটোগ্রাফি। আমার এলাকায় ঈদগাহ ময়দান টা কংক্রিটের তৈরি। একদিন বৃষ্টির সময় বাচ্চারা দেখি ঐভাবেই ক্রিকেট খেলছে। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- বরফ গোলা জিনিসটা আমার বেশ ভালো লাগে। তবে অনেক দিন খাওয়া হয় না। যখন কলেজে পড়তাম গরমের সময় প্রায়ই চলে যেতাম কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ওখানে। এবং ওখানে গিয়ে খেতাম এই ফরফ গোলা। একদিন আমি এবং আমার আরও দুই বন্ধু তুহিন ও নাভিদ একসঙ্গে গোলা খাচ্ছিলাম। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- ২৫ শে বৈশাখ। ইংরেজিতে ৮ ই মে ঐসময়ে শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি টা বেশ দারুণ ভাবে সাজানো হয়। এবং প্রতিবছর নিয়মিত ভাবে ওখানে মেলা হয়। একবার দিনের বেলায় গিয়েছিলাম ঐ মেলায়। ওখানে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম। বেশ সুন্দর ছিল পুরো দৃশ্য টা।
- তখনও বর্ষার পানি পুরোপুরি আসেনি। সবেমাএ পানি আসছে এমন অবস্থা। এবং মাঠের পানি এবং বিলের পানি এমন অবস্থায় রয়েছে যেকোনো মূহুর্তে দুইটা একাকার হয়ে যাবে। ঐরকম একটা সময়ে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে সব সময় ভীষণ ভালো লাগে। তার মধ্যে যদি হয় প্রাকৃতিক বন্ধু-বান্ধব আরো অন্যান্য ধরনের ফটোগ্রাফি তাহলে তো আরো ভালো লাগে। আজকে আপনি সব ধরনের ফটোগ্রাফি পুরানো অ্যালবাম থেকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনা ও খুব সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে।
দারুন রকমের ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। তবে আপনার এই অ্যালবামের তৃতীয় ফটোগ্রাফি টি একদম ভিন্ন রকম হয়েছে। দারুন দেখাচ্ছে কিন্তু। যাই হোক প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনাও দারুন দিয়েছেন। মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট ছিলো।
ওয়াও আপনি আজকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি কিন্তু চোখ জুড়ানো ছিল। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে যা বলে বোঝাতে পারবো না।
ভাইয়া আপনি পুরাতন অ্যালবাম থেকে দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে ভাইয়া।ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পুরনো অ্যালবামে দারুন দারুন ছবি সংরক্ষিত ছিল দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। অনেক ভালো লেগেছে দেখে।